নমস্কার সবাইকে বন্ধুরা,
আশাকরি আপনারা সবাই ভালো আছেন, সুস্থ আছে। আমিও অনেক ভালো আছি। আজ আমি আমার জীবনের দেখা একটি অসাধারণ ঐতিহাসিক জায়গার সাথে আপনাদের কে পরিচয় করবো। জায়গাটি হলো ভিক্টরিয়া মেমোরিয়াল, আপনারা হয়তো অনেকেই এটি সামনে থেকে দেখেছেন অথবা এটির নাম শুনেছেন। আজ আমি ভিক্টরিয়া মেমোরিয়ালে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
দিনটা ছিল ১২/২৯/২০১৯ শীতকাল। আমার বাড়িতে বাংলাদেশ থেকে এক মামা ও দিদি এসেছে কলকাতা ঘুরতে। তাদের কলকাতার কিছু দর্শনীয় স্থানগুলো দেখার অনেক দিনের সখ। তারা আমাকে বললো তাহলে চল আজ কোনো এক ঐতিহাসিক জায়গা থেকে ঘুরে আসি। আমিও ভাবলাম অনেক দিন তো কোথাও যাওয়া হয়না যাই ঘুরেই আসি। কিন্তু কলকাতায় তো প্রচুর ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান আছে তাহলে কোথায় যাওয়া যাই, সবাই একটু ভাবনা চিন্তা করে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এ যাওয়ার পরিকল্পনা করলাম । আমার বাড়ি থেকে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এর দুরুত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটার তাই একটু সকাল সকাল বেরোনোর চেষ্টা করলাম। সকালে হালকা কিছু ব্রেকফাস্ট ও স্নান করে ঘড়ির কাঁটার ৮ টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলাম । ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল পৌঁছাতে হলে অনেক গুলো অটো, বাস ও ট্রেন আমাদের কে পাল্টাতে হবে । বাড়ি থেকে অটো ধরে প্রথমে বনগাঁও জংশন এ পৌছালাম তার পর ৯.০৫ এর বনগাঁও-শিয়ালদহ লোকাল এ উঠে পড়লাম। এবং শুরু হলো আমাদের গন্তব্য স্থান ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এর যাত্রা। সকালে হালকা কিছু খেয়ে আসার কারণে ঘন ঘন শুধু খিদে লাগছিলো যে কারণে ট্রেনে ওঠা বাদাম ভাজা , ঝালমুড়ি আরো বিভিন্ন ধরণের খাবার সামগ্রী খেয়ে কোনো রকমে খিদা মেটালাম। ১০টা ৪৭ নাগাদ আমার দমদম জংশন স্টেশনে নেমে পড়লাম। আবার আমরা দমদম জংশন থেকে মেট্রো রেল ধরলাম ময়দান এর উদ্যেশে। আধা ঘন্টার মধ্যেই আমরা পৌঁছে গেলাম ময়দান মেট্রো স্টেশন। আর মাত্র কিছু সময় এর অপেক্ষা তার পরেই পৌঁছে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে। ময়দান স্টেশন থেকে হাটতে শুরু করলাম কিছুটা দূরে আসে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এর চূড়া দেখতে পাই তখন আমাদের মন উল্লাসে ভোরে ওঠে ,জোশ আরো দ্বিগুন বেড়ে যাই। ২০ মিনিট হাঁটার পর অবশেষে আমার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল পৌঁছাতে পারি।
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এ এন্ট্রি :
প্রায় ৩-৩.৫ ঘন্টার যাত্রা এখন আমাদের সফল আমরা অবশেষে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে প্রবেশ করেছি। বিশাল এক এরিয়া নিয়ে বিস্তৃতত এই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল। প্রথম দৃষ্টিতেই আমি মুগ্ধ পুরো। অসাধারণ তার আর্কিটেকচার, অসাধারণ তার ভাস্কর্য। সত্যিই আমি অনেক খুশি হয়েছিলাম সেদিন এমন একটা দর্শনীয় স্থানে পৌঁছাতে পেরে।
ভিক্টরিয়া মেমোরিয়াল নিয়ে সংক্ষেপে বর্ণনা করতে হলে আমি বলতে পারি সেটি এককথায় অসাধারণ একটি স্থাপত্য। ভিক্টরিয়া মেমোরিয়াল এর চারিদিকে শুধু সবুজ গাছে ভরা। আর আছে দুটি ছোট ছোট লেক। ভিক্টরিয়া মেমোরিয়াল বিল্ডিং এর মধ্যে আছে অনেক অনেক ঐতিহাসিক সামগ্রী।
এই ছিল আমার জীবনের কাটানো সারণিও কিছু মুহূর্ত, যেটা আমি কোনো দিন ভুলতে পারবো না।
যদি কেউ কখনো কলকাতায় আসেন তবে অবশ্যই একবার হলেও ভিক্টরিয়া মেমোরিয়াল অবশ্যই দেখে আসবেন।
ধন্যবাদ!!
আপনার মাধ্যমে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল সম্পর্কে অনেক তথ্য পেলাম।
অনেক সুন্দর উপস্থাপন হয়েছে, অনেক ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক অজানা তথ্য জানলাম তোমার মাধ্যমে ভাই
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাগনে অসাধারণ একটা পোস্ট। চালিয়ে যাও। সাথে আছি আমরা সবাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক অনেক ধন্যবাদ মামা ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পুরোটা পড়লাম কিন্তু যেতে তো আর পারবো না
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit