নমষ্কার , সবাই কেমন আছেন? আশা করি খুব ভাল আছেন। আপনাদের আর্শীবাদে আমিও ভাল আছি। আজকে আপনাদের বলব মংলা পৌঁছানোর পর আমরা যা যা করলাম।
মংলা পৌঁছানোর পর আমরা নদীর পারে গেলাম এখন আমাদের গন্তব্য হচ্ছে মংলার সেই বিখ্যাত পশুর নদী পার হয়ে ডাংমারি গ্রামের পাশাপাশি গ্রামে যাওয়া। যদিও ঐ জায়গাটার নাম আমার মনে নাই। তো যে কথা সে কাজ একটা বোট আমরা ভাড়া করলাম ঐখানে যাওয়ার জন্য। যাওয়ার পথে চোখে পরতেছে সে অসংখ্য দাড়ানো লাইটার জাহাজ কোনটা পন্য খালাস করেছে কোনটা করবে। ঐগুলোর পাশ দিয়ে আমাদের বোটটা আমাদের নিয়ে চলল।
২৫ মিনিটে আমরা পৌছে গেলাম ডাংমারি গ্রামে। ঐখানে থেকে আমাদের রিসোর্টে যেতে আর ৩০ মিনিট সময় লাগবে। আমরা যখন ঐখানে গেলাম তার আগে ঐখানে অনেক বৃষ্টি হয়েছে তাই কোন ব্যাটারি চালিত গাড়ি পাচ্ছিলাম না। তার পিছে আর একটা কারণও আছে যেহেতু গ্রামরে নিরিবিলি পরিবেশ রাস্তা কিছু জায়গার ইট কিছু জায়গায় এখন কাদাঁ যুক্ত। বৃষ্টি হলেও রাস্তা চলাচলের জন্য অনেক সমস্যা তৈরি হয় যার কারণে গাড়ি পেতে খুব কষ্ট হয়ে যায়। পরে আমরা আমাদের রির্সোটে কল দিয়ে বললাম গাড়ি পাচ্ছিলাম না। পরে ওরা আমাদের জন্য কল করে গাড়ির ব্যবস্থা করেছে। আমরা গোলকানন রির্সোটের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলাম।
প্রায় ৩০ মিনিট পরে আমরা গোলকানন রিসোর্টে গিয়ে পৌছাঁয়লাম। যাওয়ার সাথে সাথে ওরা আমাদের ফুলে মালা দিয়ে বরণ করে নিল এই ব্যপার টা আমাদের খুব ভাল লেগেছে। জীবনে অনেক জায়গায় ভ্রমণ করলাম কিন্তু এই ভাবে কোথাও ঘটেনি আমাদের সাথে হয়ত আগের পর্বে আমি ছবি শেয়ার করেছি আপনাদের সাথে। আমরা যখন রিসোর্টে পৌঁছায়লাম তখন আমরা খুব দুর্বল হয়ে পরেছি তার ২টা কারণ ছিল এক অনের প্যারা খাওয়া লাগেছে এই ভ্রমণে আর অন্য কারণ হচ্ছে আমরা ২৪ ঘন্টার মত ভাত না খেয়ে আছি পুরো ভ্রমনে আমরা হালকা খাবার খেয়ে ছিলাম কারণ ঈদের জন্য বেশির ভাগ ভাতের হোটেল বন্ধ ছিল পরে তারা হুরা করে হালকা ফ্রেস হয়ে কেমনে দুপুরের খাবার খাব সেই দিকে ব্যাস্ত ছিলাম যায় হোক হালকা ফ্রেস হয়ে আমরা চলে গেলাম দুপুরের খাবার খেতে।
খেতে গিয়ে খাবারের ম্যেনু দেখে আমাদের পেটের খিদে আরও বেড়ে গেল, ম্যেনুতে ছিল কচুর লতির ভাজি সাথে ছিল সুন্দরবনের বিখ্যাত গলদা চিংড়ি মাছ, দেশি মুরগী সাথে চুইঝাল, দুই রকমের মাছ, ফ্রেস শাক বাজি তাও চিংড়ি মাছ দিয়ে এত সব খাবার দেখে আমাদের সাবার খিদে বেড়ে গেছে পরে সাবাই খাওয়া দাওয়া শেষ করে গেলাম রেস্ট নিতে নদীর পারে। নদীর ঔপাড়ে সুন্দরবন এত কাছ থেকে দেখে সত্যি অসাধারণ লাগছিল দেখতে থাকলাম কিছু দেখা যায় কিনা। যাই হোক গল্পের বাকী অংশে বাকী ঘটনা শেয়ার করব আপনাদের সাথে। সবাই ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ।
সুন্দরবন বেড়ানোর ইচ্ছা আমার ভীষণ। আপনার লেখা দেখে যাওয়ার ইচ্ছা আরো বেড়ে গেলো দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সুন্দরবন ভ্রমনের আপনার এই ধারাবাহিকটি ভালই হচ্ছে। আগামী পর্বে আশাকরি আরও ভাল কিছু তথ্য পাবো, সেই সাথে আপনার এই ট্যুরের পুরো খরচের ব্যাপারটা শেয়ার করবেন, যেমন: যাতায়াত খরচ, লঞ্চ বা জাহাজের খরচ, বোটের ঘুরে বেড়ানোর খরচ, হোটেলে থাকার খরচ ইত্যাদি। তাহলে আমাদের মধ্যে যারা এখনো সুন্দরবন যায়নি তারাও একটা খরচের আইডিয়া পেয়ে যাবেন। আর রোমেন, সুন্দরবনে গিয়ে স্পেশালি কি কি দেখলেন বা ওই এলাকা থেকে কি কি নতুন অভিজ্ঞতা লাভ করলেন তা জানাতে ভুলবেন না।
আমার বাড়ি সাতক্ষীরা, সুন্দরবনের কাছেই। আমার বাড়ি থেকে মাত্র ৭০ কিলোমিটার। তবে আমি অনেক আগে স্কুল-কলেজে থাকতে ১-২ বার গিয়েছি সেখানে বেড়াত। রিসেন্ট বছরগুলোতে সেখানে অনেক উন্নয়ন হয়েছে, নতুন নতুন হোটেল-রিসোর্ট হয়েছে, সেগুলা আমার দেখা হয়নি। খুব শীঘ্রই আবারও যাবো সেখানে ইনশাআল্লাহ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সুন্দরবন সম্পর্কে ছোট বেলায় স্কুল বইতে অল্প কিছু পড়েছিলাম তাও আমদের ইন্ডিয়ার সাইডের সুন্দরবন নিয়ে। বাংলাদেশ এর সুন্দরবন সম্পর্কে কিছুই জানতাম না আমি। আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে আরো বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছি বাংলাদেশর সুন্দরবন কত সুন্দর।
অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা সুন্দরবন সম্মন্ধে এত কিছু তুলে ধরার জন্য।
আপনার পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়া সব পড়লাম বাট চুইঝাল কি?
এইটার প্রথম শুনলাম
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এটা একধরনের লাউ শাকের ডাটার মত ঐখানে খুব জনপ্রিয় খাবার
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বুজতে পেরেছি
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit