ফিচার | ঢাকাবাসীর স্বপ্নের মেট্রোরেল (শেষ পর্ব) | ১০% @btm-school

in hive-185999 •  2 years ago  (edited)

blur-1239439_960_720.webp
Source

গত পর্বের পর:
প্রতি ৪ মিনিট পরপর এর রেল চলবে এবং প্রতিটি স্টেশনে ট্রেন ৪০ সেকেন্ড থামবে। উত্তরা থেকে মতিঝিল যেতে সময় লাগবে ৪০ মিনিট। মেট্রোরেলের সর্বোচ্চ গতিসীমা হবে ঘন্টায় ১০০ কিলোমিটার। প্রথম ধাপে প্রতিদিন ২৪টি ট্রেন চলাচল করবে এবং প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চলবে ট্রেনগুলো। দুইপাশে দুটি ইঞ্জিন এবং মাঝখানে চারটি কোচসহ প্রতিটি ট্রেনে মোট ছয়টি করে বগি থাকবে। একেকটি ট্রেনে প্রায় ১৭৩৮ জন যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে। ট্রেনের মধ্যে বসার লম্বালম্বি সিট এবং দাঁড়িয়ে যাওয়ারও ব্যবস্থা থাকবে, তাছাড়া প্রতিটি কোচে দুটো করে হুইল চেয়ারেরও ব্যবস্থা থাকবে। ফুল এসি প্রতিটা কোচের উভয় পাশে চারটি করে দরজা থাকবে। যাত্রীরা ফুটপাথ থেকে ট্রেনে ওঠার জন্য সাধারণ সিঁড়ি, চলন্ত সিঁড়ি বা এস্কেলেটর এবং লিফটের সাহায্যে স্টেশনে উঠে তারপর মেট্রোরেলে চড়তে পারবেন।

20220901_104536.jpg

20220901_104548.jpg

বর্তমানে উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশের কাজ প্রায় সম্পূর্ণ হওয়ার পথে, এটুকু এবছরের ডিসেম্বরে চালু হওয়ার কথা রয়েছে, সেই বিবেচনায় পুরো কাজ এগিয়ে চলছে। এই অংশের স্টেশনগুলোর যাবতীয় কার্যাবলী প্রায় শেষের দিকে। স্টেশনগুলোতে নানা ধরণের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকবে। টিকেট কেনার জন্য অটোমেটিক ভেন্ডিং মেশিন থাকবে। মেট্রোরেল চড়ার জন্য দুই ধরণের টিকেট দেয়া হবে। প্রথমত স্থায়ী স্মার্ট কার্ড, যেটা ২০০ টাকা দিয়ে কিনতে হবে এবং তাতে সর্বোচ্চ ১০,০০০/- টাকা পর্যন্ত রিচার্জ করে রাখা যাবে, স্টেশনেই কার্ড রিচার্জের ব্যবস্থা থাকবে। আরেকটা হচ্ছে সাময়িক বা টেম্পোরারী কার্ড, যেটা স্টেশন থেকে স্বল্প দূরত্বে যাওয়ার জন্য কিনতে পারবেন। কার্ড পাঞ্চ না করে স্টেশনের প্লাটফর্মে কেউ ঢুকতে বা বের হতে পারবেনা। মেট্রোরেলের সর্বনিম্ন ভাড়া হবে ২০ টাকা, যা দিয়ে সর্বোচ্চ দুটো স্টেশন পর্যন্ত ভ্রমণ করা যাবে।

20220901_104455.jpg

20220828_181438.jpg

মেট্রোরেল চালু হলে দেশের জিডিপির গ্রোথ ১% বৃদ্ধি পাবে এবং বিপুল সংখ্যক বেকারের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। ইতোমধ্যে মেট্রোরেলের চালকসহ অন্যান্য পোস্টে লোক নিয়োগ হয়ে গেছে বা আরও নিয়োগের প্রক্রিয়া চলমান আছে। মেট্রোরেলে নারী কর্মী বা কর্মকর্তাদেরকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে এমনকি নারী চালকও নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আর মেট্রোরেলের MRT Line-6 এর জন্য প্রাথমিকভাবে ২৪ সেট ট্রেন ও বগি তৈরি করছে জাপানের কাওয়াসাকি-মিতসুবিশি কোম্পানী। ইতোমধ্যে সিংহভাগ ইঞ্জিন ও কোচ দেশে চলে এসেছে, সেগুলো এখন নিয়মিত ট্রায়াল রানিংয়ে রয়েছে। এখন শুধু অপেক্ষার পালা কবে এটা আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়। ঢাকাবাসী মুখিয়ে রয়েছে এটাতে যাতায়াতের জন্য। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ভাষ্য অনুযায়ী চলতি বছরের শেষের দিকেই এমআরটি লাইন-৬ এর উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশটা চালু হবে।

20220830_181935.jpg

এই ছিল মোটামুটি ঢাকার প্রথম মেট্রোরেল সম্পর্কে ২ পর্বের তথ্যমূলক একটা ফিচার। আশাকরি আপনারা পুরো প্রজেক্ট সম্পর্কে একটা সম্যক ধারণা পেয়েছেন।
সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন।
অনেক ধন্যবাদ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ঢাকা মেট্রো রেল কে বাংলাদেশ এর ইতিহাসে এক যুগান্তকারী অধ্যায় হিসাবে গণ্য করা হবে। তবে আমার মনে হয় স্টেশনে ট্রেন আর আর ১০ সেকেন্ড বেশি থামলে ভালো হতো যেহেতু ঢাকা শহরের যানজট অনেকটাই বেশি।
ঢাকা মেট্রোর জন্য কত গুলো মেট্রো রেল তৈরি করা হয়েছে এটা জানতে পারলে একটু ভালো হতো ভাইয়া।

পুরোটা মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ দাদা। একেক স্টেশনে ট্রেন থামবে ৪০ মিনিট করে, অনেকের মতে এটাই নাকি বেশি হয়ে গেছে, কেননা এক স্টেশন থেকে আরেক স্টেশনের দূরত্ব খুব বেশি নয়।

আর ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্পের জন্য প্রাথমিকভাবে ২৪ সেট ট্রেন জাপান থেকে তৈরি করিয়ে আনা হচ্ছে, বিষয়টা লেখার মধ্যে উল্লেখ করতে ভুলে গেছি, মনে করিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

কবে যে পুরোপুরি কাজ শেষ হবে যানজটের জন্য এক্সাম ক্লাস সব কিছুতেই লেট হয়ে যায়

হুম, কথা সত্য।