বন্ধুরা,
বর্তমানে আমাদের দেশ ও আমাদের দেশের মানুষেরা আমরা খুবই সংকটের মধ্য দিয়ে দিন পার করতেছি।হ্যাঁ বন্ধুরা আমি আমাদের বাংলাদেশের কথা বলতেছি।বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশ চরম সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।আর এই সংকটময় হওয়ার একমাত্র কারণ হচ্ছে মহামারী করোনা ভাইরাস।করোনা ভাইরাস আমাদের দেশে মহামারি আকার ধারণ করেছে।এই মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে পুরো দুই মাস চার দিন আমাদের দেশের লকডাউন ছিল।দীর্ঘ এই লকডাউনের সময় আমি দেখেছি আমাদের দেশের মানুষের হাহাকার।
Image Source pixabay.com
লকডাউনের জন্য সকলের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে গেল।মানুষের ঘরে খাবার নেই, চুলায় আগুন জ্বলে না।একটি ত্রাণের গাড়ি দেখলেই গাড়িতে হুমরি খেয়ে পড়তেছে মানুষ।যেমন আমি টাঙ্গাইল শহরের বেবিস্ট্যান্ড নামক এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকি।বেবিস্ট্যান্ড এলাকায় আমি অনেক অসহায় মানুষদের দেখেছি।যারা এমনিতেই খুবই গরীব।তার ওপর আবার লকডাউন।আমার একটি পরিবারকে দেখে খুবই দয়া হয়েছিল।সেই পরিবারের কর্তার স্ত্রী মাত্রই একটি সন্তান জন্মদান করেছে।কিন্তু তাদের ঘরে কোনো খাবার ছিল না।তারা ওষুধ কিনেও খেতে পারছেনা।আমার এক বড় ভাই আরিফ তাদেরকে ১০০ টাকা দিয়ে কিছু চাল কিনে দিলো।আমি তাদেরকে ৫০ টাকা দিয়েছিলাম।
কিন্তু আমার এর বেশি সামর্থ ছিলনা।কারণ আমার বাবা টাঙ্গাইল শহরে ছোটখাটো একটি কাজ করে।আমার বাবা দিন এনে দিন খায়।তার মাসিক কোনো বেতন নাই।আর লকডাউনের জন্য পুরো দুই মাসের বেশি সময় ধরে সবকিছু বন্ধ থাকায় যারা দিন আনে দিন খায় তাদের কি অবস্থা আপনারা ভালভাবেই বুঝতে পারবেন।আবার আমাদের সংসারে আমার একটি ছোট কন্যা আছে।তার দুধ খাওয়ার জন্য ভালো খরচ হয়।আমার বাবার কাজ কর্ম তো বন্ধই।তাই এই সময় আমি এখানে ব্লগ তৈরি করে যে অর্থ উপার্জন করি তা দিয়েই আল্লাহর রহমতে
আমি সংসার চালিয়ে নিচ্ছি।আমি না হয় এখানে কাজ করে আমার সংসার কোন রকম ভাবে চালিয়ে নিচ্ছি।কিন্তু যারা একেবারেই কিছু করতে পারতেছেনা এই সময়ে তাদের কি অবস্থা বলুন।আমার এলাকাতে অনেক দরিদ্র লোক আছে যাদের দেখলে চোখে পানি চলে আসে।আবার এমন কিছু লোক আছে মধ্যবিত্ত যারা কারো কাছে হাত পেতে চাইতেও পারে না আবার মুখ ফুটে বলতেও পারেনা।
অবশ্য গত ৩১ মে আমাদের দেশের লকডাউন শিথিল করা হয়েছে।কিন্তু এই লকডাউন শিথিল করাতেও অধিকাংশ মানুষের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে রয়েছে।অনেক মানুষ অভাবের তাড়নায় রয়েছে।আমাদের বাংলাদেশে দরিদ্রতম একটি দেশ।এদেশে এমনিতেই বেকারত্বের হার অনেক বেশি।এভাবে দীর্ঘদিন লকডাউন থাকলে বেকারত্বের হার আরও অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে।তাই এই সময় লকডাউন শিথিল করা ছাড়া সরকারের হাতে কোন অপশন ছিল না।কিন্তু লকডাউন শিথিল করাতে করোনা ভাইরাস আরো ভয়াবহ রূপে সরিয়ে পড়তেছে আমাদের বাংলাদেশ।এমন পরিস্থিতিতে সরকার আবার লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।হয়তো এ সপ্তাহেই নতুনভাবে লকডাউনের করা ঘোষণা আসবে।তাই আমি খুবই চিন্তিত খেটে খাওয়া মানুষের জন্য, গরীব মানুষের জন্য,তাদের জীবন কিভাবে চলবে।
আমার মন চায় আমি তাদের পাশে দাঁড়াই।তাদের কিছু খাবার কিনে দেই, তাদের কিছু ওষুধ কিনে দেই।আমাদের দেশে সরকারিভাবে ত্রাণের কার্যক্রম থাকলেও কিছু ধান্দাবাজ ও অসৎ নেতাকর্মীদের জন্য এই ত্রাণ গরিবরা পাচ্ছে না।একেবারে পরিষ্কার কথা।আমি এমন অনেক দেখেছি যাদের ঘরে খাবার আছে তারাই ত্রাণ পাচ্ছে, আর যাদের ঘরে একেবারে খাবার নাই তারা কিছুই পাচ্ছেনা।তাই এই সময় ব্যক্তিগতভাবে অসহায়দের পাশে আমাদের দাঁড়ানো উচিত।আসুন আমরা সবাই এই সময় অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার চেষ্টা করি।এই সময় কিছু কিছু মানুষের কাছে ১০০ টাকা অনেক বড় মূল্যবান হয়ে দাঁড়িয়েছে।আমি মনে করি এই সময় 1000 Hive বাংলাদেশি টাকায় অনেক বড় একটা অংক।আমি @bdcommunity কে ধন্যবাদ জানাই এরকম প্রতিযোগিতা করার জন্য।এটি একটি মহান সিদ্ধান্ত, মহান প্রতিযোগিতা।আমি চিন্তা করেছি যে এই সময় যদি আমি এই অংকটা(1000 Hive) পেয়ে যাই তাহলে আমি আমার এলাকার অতি অসহায় দরিদ্রদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সাহায্য করবো।
আর আমি এই সময় দেশের প্রভাবশালী ও বিত্তবানদের বলব আপনারা যার যার সাধ্যমতো দেশের অতি অসহায় ও দরিদ্রদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সাহায্য করুন।আর আমি দেশের কিছু নেতাকর্মীদের বলব আপনারা ধান্দাবাজি বন্ধ করুন অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ান।
সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে এখানেই শেষ করছি।সবাই ভালো থাকবেন।আমি সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।আশাকরি আবার দেখা হবে।
Hi @mdaminulislam, your post has been upvoted by @bdcommunity courtesy of @zayedsakib!
Support us by setting us as your witness proxy and/or by delegating STEEM POWER.
JOIN US ON
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit