‘বই’ শব্দের সমার্থক শব্দ হল গ্রন্থ, পুস্তক, কেতাব, পুঁথি, বহি, পাণ্ডুলিপি ইত্যাদি। ইংরেজিতে Book বলা হয়। মানুষের চিন্তাধারাকে পরবর্তী প্রজন্মের নিকট পৌঁছে দেয় বই। মানুষ তার মনের ভাব, অনুভূতি, জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞতার বিবরণ বইয়ের মাধ্যমে সংরক্ষণ করে। বই হল সংস্কৃতি, সভ্যতা ও যোগাযোগের অন্যতম বাহন।
বই এক শতাব্দী থেকে পরবর্তী শতাব্দীগুলোতে জ্ঞানকে বহন করে নিয়ে যায়। মানুষের সঙ্গে মানুষের, প্রবীণের সঙ্গে নবীনের, সমাজের সঙ্গে সমাজের, অতীতের সঙ্গে বর্তমানের, বর্তমানের সঙ্গে ভবিষ্যতের যোগসূত্র রচনা করতে পারে বই। প্রাচীন কালে পাথর, মাটির ফলক, চামড়া, গাছের পাতা, কাঠের টুকরো, ধাতুর পাত ইত্যাদি বস্তু বই হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ নিজের মনের ভাব স্থায়ীভাবে রেখে দেবার চেষ্টা করে আসছে। আদিম গুহাবাসী মানুষের পাহাড়-পর্বতের গুহাগাত্রে চিত্রাংকন থেকে এর আরম্ভ। পরবর্তীকালে প্রাচীন এশিয়া, পারস্য, মিশরীয়সহ সব সভ্যতায় এই প্রচেষ্টা লেখালেখির রূপ লাভ করে। আজ পর্যন্ত মানুষ তার ধারণা, চিন্তা-ভাবনা, বিশ্বাস-আবেগ, যুক্তি-বিজ্ঞান বিষয়ে নিজস্ব মত প্রকাশ করছে এবং তা স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ভারতীয়রা সর্বপ্রথম তালপাতা ব্যবহার করতে শেখে। বাংলাদেশ, ভারত ও মায়ানমারে লিখন উপাদান হিসেবে তালপাতা যথেষ্ট পরিমাণে ব্যবহার করা হতো। আমাদের দেশের বহু প্রাচীন গ্রন্থ তালপাতার উপর লেখা।
কাগজ: কাগজ শব্দটি এসেছে প্যাপিরাস শব্দ থেকে। প্যাপিরাস এর প্রতিশব্দ পেপার (Paper)। বাংলায় একে বলা হয় কাগজ। আজকের দিনে আমরা যাকে কাগজ বলি তার জন্ম হয়েছিলো যিশু খ্রিষ্টের জন্মের ১০০ বছর পরে। চীনারা সর্বপ্রথম কাঠ থেকে কাগজ আবিষ্কার করে। এছাড়া বিভিন্ন প্রকার আঁশ থেকেও কাগজ তৈরি হয়। আনুমানিক ১০৫ খ্রিষ্টাব্দে চীনে সর্বপ্রথম কাগজ তৈরি শুরু হয়। আধুনিক কালে কাঠ, বাঁশ, আখের ছোবড়া ইত্যাদি দিয়ে কাগজ তৈরি করা হয়।
এই সব ডিজাইন আমার নিজেক করা। @abubakkor .
আমার সামগ্রিক রেটিং