দুগ্ধ খামার স্থাপনে প্রথম করণীয় হচ্ছে গাভীর জাত নির্বাচন। এ ক্ষেত্রে যে বিষয় গুলি মাথায় রাখতে হবে।
1= গাভীর মায়ের দুধ উৎপাদনের ইতিহাস
2=গাভীর ওলান বড়সড় ও দুধের শিরাগুলো মোটা হলে ভালো হয়
3= গায়ের চামড়া মসৃন পাতলা ঢিলেঢালা
4= হাড় মোটা কিন্তু বেশী মাংসল নয়
5= পাজরের হাড়গুলো সুস্পষ্ট দেখা যাবে।
এ ছাড়াও বাংলাদেশে পালিত দুধেল গাভীর জাতের মদ্ধে উল্লেখ যোগ্য হচ্ছে হলস্টিয়ান -ফ্রিজিয়ান, জার্সি, লালসিন্ধি, শাহিওয়াল, ইত্যাদি।
@ গাভীর বাসস্থান
1= ভুমি থেকে উঁচু ও শুষ্ক স্থানে খামার স্থাপন করতে হবে।
2= পর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশন এর ব্যবস্থা থাকতে হবে, যাতে পানি ও বর্জ্য জমতে না পারে।
3= পর্যাপ্ত আলো ও বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
4= ঘর পূর্ব -পশ্চিম লম্বালম্বি হওয়া ভালো এতে প্রচুর সূর্যের আলো পাওয়া যায়।
@খাদ্যে ব্যবস্থাপনা
গবাদি পশু পালনে মোট খরচের সিংহভাগই খাদ্যে ও পূষ্টির সাথে জড়িত। সঠিক খাদ্য ব্যবস্থাপনা খাদ্যর অপচয় রোধ করে। তাই লাভজনক খামার প্রতিষ্ঠার জন্য পশুর খাদ্য ব্যবস্থাপনা হতে হবে যথাযথ। পশুর দৈনিক খাদ্য তালিকায় প্রধানত 6 টি খাদ্য উপাদান থাকা আবশ্যকীয়।
+শক্তি + আমিষ + আশ + ভিটামিন + মিনারেল + পানি
পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি Free of Choice হিসেবে সরবরাহ করতে হবে। পানির পরে সবচেয়ে বেশী মাত্রায় যে উপাদানটি দরকার তা হলো শক্তি, তারপর আমিষ ও শর্করা । ভিটামিন ও মিনারেল তুলনামূলক কম পরিমাণে লাগলেও তা অত্যাবশ্যকিয়।
খাদ্যের মান বৃদ্ধির জন্য ১০০ কেজি মিশ্রণের সাথে ১০০ গ্রাম ডিবি ভিটামিন যোগ করতে হবে ।গাভীর দৈহিক ওজনের ১ শতাংশ হারে দানাদার খাদ্য দিতে হবে। এছাড়াও দুধ উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রথম ১ লিটার দুধের জন্য ১ কেজি দানাদার খাদ্য ও পরবর্তী প্রতি ২.৫ লিটার দুধের জন্য ১ কেজি দানাদার খাদ্য দিতে হবে। এছাড়াও প্রতিটি গাভীকে ১০-১৫ কেজি কাচা ঘাস ও ৩-৪ কেজি খড় খাওতে হবে।
@ Imrankhan