এটি একটি স্কুল প্রতিষ্ঠান। স্কুলের তিন তলা ভবনের দক্ষিণের দিক এটি। স্কুলটি বেশ পুরনো । দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে এই স্কুলটি শহরে নাম করা সব স্কুল গুলোর মধ্যে টিকে আছে। এই স্কুলের মাঠে বেশ কতগুলো ফুল গাছের চারা রয়েছে তার মধ্যে সবথেকে বেশি জবা ফুল । আপনারা এই ফটোগ্রাফিটিতে দেখতেই পারছেন সেই জবা ফুলগুলোকে । একেবারে লাল টকটকে রঙে এই জবা ফুলগুলোকে দূর থেকে দেখতে খুবই সুন্দর লাগছিল তাই ভাবলাম এই ফুল এবং প্রতিষ্ঠানটির একটি ফটো ক্যাপচার করা যাক।
উপরের ওই ফটোগ্রাফিটিতে যে চারতলা ভবন দেখতে পেয়েছেন ওই চার তালা ভবনটি থেকে এই ফটোগ্রাফিটি করা। একই জায়গার দুইপাশ থেকে ফটোগ্রাফিটি দেখতেই পারছেন আপনার কতটা ভিন্ন এসেছে। অথচ এই দুইটি জায়গায় কিন্তু একই স্থান। শুধুমাত্র এই পাশ আর ও পাস থেকে ফটোগ্রাফিটি করা। সবুজ ঘাসের মধ্যে ঝোপের মত ওই গাছগুলোর কারণে ফটোগ্রাফিটি সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া ঘন জঙ্গলে ঘেরা গাছগুলোর কারণে পরিবেশটা একেবারে শান্ত ও নিরিবিলি লাগছে। চার তালার ওপর থেকে এ ফটোটি ক্যাপচার করার কারণে চারপাশের এলাকাটি খুব ভালোভাবে দেখা যাচ্ছে।
পথের ধারে হাটতে সময় হঠাৎ চোখে পড়ল এই ফুল গাছগুলোর। এই ফুল গুলোর নাম আমার জানা নেই তবে ফুল করে দেখতে ভারী সুন্দর। ছোটবেলায় ঝোপ ঝাড়ে অনেক জায়গায় এ ফুলগুলো দেখেছি আমার তখন এই ফুলগুলো দেখে মনে হতো এগুলো হয়তো এমনিতেই হয় এগুলো রোপন করার কোন প্রয়োজন নেই। তবে এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। এটি কোন জংলি গাছ নয় বরং এটিকে রোপন করলেই এই গাছগুলো উঠে। যাইহোক এই ধরনের ফুলগুলো অনেক রঙের হয়ে থাকে। এই ফুলগুলোকে আমি বেশিভাগ হলুদ এবং গোলাপি রঙের হতে দেখেছি তবে অনেক সময় এই ফুলের বিভিন্ন রঙের সংমিশ্রণে হয়ে থাকে। তবে এরকম সম্পূর্ণ লাল এই ফুলটি আমি খুব কমই দেখেছি। যাই হোক ছোট এই ফুলগুলো দেখতে অসম্ভব সুন্দর আর এই ফুলগুলো একটি বিল্ডিং এর সামনের খালি অংশ রোপন করা হয়েছে যার কারণে পুরো বিল্ডিং এর সৌন্দর্য পাল্টে দিয়েছে এই ফুল গাছটি। খুবই আকর্ষণীয় লাগছিল এই বিল্ডিংটিকে শুধুমাত্র এই ফুলটির কারণে।
ছোটবেলায় শুনেছি টিকটিকির রক্ত নাকি সাদা রঙের হয়। তবে জানা নেই এই বিষয়টি কতটুকু সত্য। যাইহোক এমন কোন বাড়ি নেই যে দেওয়ালে টিকটিকি নেই। দেয়ালে দেয়ালে টিকটিকির বাসা। দিন নেই রাত নেই সব সময় তাদের দেয়ালে দেয়ালে ছুটে বেড়ানো খুব সহজে চোখে পড়ে। প্রায় সময় আবার লেজকাটা টিকটিকে চোখে পড়ে। আমার আবার লেজকাটা টিকটিকি দেখলে প্রচন্ড ভয় লাগে । যাই হোক একদিন বিকালের দিকে মোবাইলটা হাতে নিয়ে জানালার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। তখন হঠাৎ চোখে পড়ল এই টিকটিকিকে। এই টিকটিকি টিকে দেখে প্রথমে প্রচন্ড ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম পরে অবশ্য খুব খারাপ লাগছিল টিকটিকির এই দুর্দশা দেখে। দরজা বা কোন কিছুর সাথে চাপ খেয়ে তাএ মাথায় এমন আঘাত তৈরি হয়েছে।
বেশ ভালোভাবে আহত হয়েছে। অনেকক্ষণ ধরে টিকটিকিটি এই জানালার ধারে বসে আছেই। খুব একটা নাড়াচাড়া করছে না। তাই আমি ওকে কাঠি দিয়ে একটু নাড়া দিতেই ধীরে ধীরে সামনে এগিয়ে আবার স্থির হয়ে থাকে। বোঝাই যাচ্ছে আঘাত পাওয়ার কারণে তার শরীরে বেশি জোর নেই। এরপর আমি কিছু একটা ভেবে হাতে থাকা মোবাইলটি দিয়ে কিছু ফটোগ্রাফি করি। আসলে প্রায় সময় এরকম আঘাত প্রাপ্ত টিকটিকি চোখে পড়ে। একবার তো আমার সামনে একটা টিকটিকি দরজার চিপায় পড়ে লেজ কেটে নিচে পড়ে গিয়েছিল। টিকটিকিটা আমাকে দেখে পালিয়ে গেলেও আর লেজটি তখনো পর্যন্ত মেঝেতে পড়ে ছটফট করছিল।
ক্যামেরা মডেল - Galaxy A52
লোকেশন - বাংলাদেশ।