শীতের মেজাজে দিনগুলো কিভাবে কেটে যাচ্ছে , বোঝাই যাচ্ছেনা। তাই নাহ?
Hlw বন্ধুরা, আশা করি সবাই ঠিক আছো। আবারও চলে এসেছি আজকের activities এর গল্প নিয়ে।
চলো শুরু করা যাক।
সকাল
সকালে ঘুম থেকে উঠেছি আটটা নাগাদ। তারপর প্রতিদিনের মতো ফ্রেশ হলাম। ছাদে গেলাম গাছগুলোতে জল দিলাম। তখনো চারিদিকে কুয়াশা। আজ সকালে সে রকম ঠাণ্ডা লাগছিল না। কারণ হাওয়া বাতাস কম ছিল।নিচে এসে গরম জল বসালাম ভেপার নেওয়ার জন্য।
সত্যি বলতে বন্ধুরা এই দুদিনে আমার সর্দি কাশি অনেকটা কমে গেছে। হ্যাঁ হয়তো গলাটা এখনো ব্যথা আছে হালকা। কিন্তু প্রথম দিনের তুলনায় অনেকটা বেটার। আর সব কিছুরই ডাক্তার ভে পার। ঠান্ডা লাগলে তাই আমি সব সময় এই কাজটা করে থাকি।ওষুধ জিনিসটা আমার কাছে একেবারেই বিরক্তিকর।
যাই হোক তারপরে ঈশানকে ঘুম থেকে তুললাম। বাবাকে ঘুম থেকে ডাকলাম। দুজনাই ঘুমের কুমির। দুজনেই বেশ সময় নেয় ঘুম থেকে উঠতে। যাইহোক অনেকক্ষণ পরে ওরা উঠলো। মা তারপরে চা করছিল।
সবাই মিলে বসে চা খাওয়া হলো।
তারপর আমি যথারিতি ঈশানকে পড়াতে শুরু করলাম।বেশ অনেকক্ষণ পরানোর পর যখন দশটা পার হয়ে গেছে, মা আমাদের খেতে ডাকলো। বাবা স্নান সেরে উঠে আমাদের সকলের সাথে খাওয়া-দাওয়া করলো। তারপর প্রতিদিনের মতো বাবা কাজে বেরিয়ে গেল।
আমি ভেবে পাইনা এই ঠান্ডার মধ্যে ও মা কত সকালে উঠে স্নান করে পুজো সেরে ফেলে।
দুপুর
তারপর আমি ছাদে বসে বসে শীতের রোদের আরাম নিচ্ছিলাম। ভাবছিলাম মেহেন্দি করব। কিন্তু আবার ইচ্ছা করছিল না। শীতের আলসেমি বড় আলসেমি।
মায়ের চারা গাছ গুলোতে এখন ফুল ফুটেছে। নার্সারিতে গিয়ে আরো কয়েকটা গাছ নিয়ে আসতে হবে।
কিছুক্ষণ ছাদে থাকার পর আমি ঈশান কে স্নান করিয়ে দিলাম। তারপর আমি নিজে স্নান করে নিলাম। স্নান সেরে উঠে ছাদে গিয়ে বসলাম। তখন বেশ হালকা হাওয়া দিচ্ছিল। কিন্তু সাথে ছিল মিষ্টি একটা রোদ। এই মিষ্টি রোদে বসে বসে বইয়ের পাতা ওল্টাতে দুটো চারটে গল্পের বই পড়তে বেশ ভালো লাগে। কিছুক্ষণ ধরে গল্পের বই পড়লাম।
এই করতে করতে সময় চলে গেল ।খাওয়ার সময় হয়ে আসলো। বাবা আজকে বেশ দেরী করল বাড়ি ফিরতে। দুটো 30 পার হয়ে গেছে। আমরা সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করলাম।
তারপর প্রতিদিনের মতো একটু শুয়ে পড়লাম। ফোন ঘাটতে ঘাটতে কখন ঘুমিয়ে গেছি জানিনা।
সন্ধ্যা
ঘুম থেকে ওঠার পর দেখি 5:15 বাজে।আমি তাড়াহুড়ো করে ঘর থেকে বেরিয়ে বারান্দার লাইটগুলো জ্বালালাম ।চারিদিকে তখন অন্ধকার। আশেপাশের বাড়িগুলো থেকে শঙ্খ ধ্বনি শোনা যাচ্ছে। আমিও তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে সন্ধ্যা পূজো সেরে নিলাম। দেখতে দেখতে কখন যে পার হয়ে গেলো বোঝাই গেল না। ঈশান কে ওর স্যার পড়াতে আসলো।
আমি তারপরে আমার বই খাতা নিয়ে পড়তে বসে গেলাম।
রাত
শীতের আমেজে কম্বল মুড়ি দিয়ে পড়াশোনা। এই এতো সুখের পড়াশোনায় যদি কাজ হয়। বাবা তো আমাকে দেখলেই বকে। বলে যে এত সুখ করে পড়াশোনা করা যায় না। যাইহোক বেশ অনেকক্ষণ পড়াশোনা হল।
মাঝে মা এসে চাওমিন দিয়ে গেছিল। সাথে কফি। যদিও কফিটা আমি করেছিলাম। বাড়ির মধ্যে ঈশান আর মা কফি খেতে খুব ভালোবাসে। আমিও ভালোবাসি কিন্তু অতটা না।শীতের এই কয়েকটা দিন বাড়িতে বেশ ভালোভাবে চা করা হয়। চা করার সময় চায়ের মধ্যে আদা, লবঙ্গ, যষ্টিমধু, কাবাবছিনি, তুলসী পাতা, গোলমরিচ দেওয়া হয়।
এই জিনিসগুলো তে প্রচন্ড উপকার হয়। প্রথমত সর্দি কাশি হয় না। শীতের আমেজে একটা তেজালো চা।
যাইহোক পড়াশোনা হওয়ার পর ঈশান কম্পিউটারে গেম খেলতে শুরু করলো। আমিও কিছুক্ষণ বসে বসে ফোন ঘাটতে লাগলাম। একে-ওকে ভিডিও কল করা। ইউটিউবে ভিডিও দেখা। এসব করে-করে সময় পেরিয়ে গেল।
এখন আমি একটু আগেই খাওয়া-দাওয়া সেরে তোমাদের সাথে আজকের ডায়েরি শেয়ার করছি। কিছুক্ষণ পরে শীতের কাঁপুনি নিয়েই ঘুমিয়ে পড়বো। আজকের মত শুভরাত্রি।
Thank you for taking part in The Diary Game on Steem.
And thank you for setting your post to 100% Powerup.
Keep following @steemitblog for the latest updates.
The Steemit Team
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
You have been upvoted by @rishabh99946 A Country Representative from INDIA I am voting with the Steemit Community Curator @steemcurator07 account to support the newcomers coming into steemit.
Follow @steemitblog for the latest update on Steem Community and other writing challenges and contest such as The diary game Season 3 , Better Life, etc. Also keep engaging with others to win #onepercent & #twopercent votes
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit