THE DIARY GAME OF STEEM || BETTER LIFE : 13/12/2020 || এই বছরের প্রথম নিমন্ত্রণ❄️steemCreated with Sketch.

in hive-196725 •  4 years ago 

Hi, friends, কেমন আছো সকলে? আশা করছি আজকের দিনটা সবার ভাল কেটেছে। আমিও ঠিকঠাক আছি। আমার আজকের দিনটা বেশ জমজমাট ছিল। চলো দেখে নেওয়া যাক আমার আজকের দিনের activities।

সকাল

সকালে ঘুম থেকে উঠতে উঠতে 8:30 বেজে গেল। তারপর প্রতিদিনের মতো ছাতে গিয়ে ফুল গাছ গুলোতে জল দিলাম।

IMG_20201212_162304.jpg

হালকা হালকা কুয়াশা ছিল। কুয়াশা বেশি পড়েনি। তারপর নিচে এসে জল গরম করলাম। ঈশান কে ঘুম থেকে তুলে দিলাম।
প্রতিদিনের মত ওকে পড়াতে বসালাম। মা চা করল। বাবা ঘুম থেকে উঠলো তখন। সবাই মিলে চা খাওয়া হলো।

তারপর আমি ঈশানকে পড়াতে বসালাম। আজকে রবিবার বলে ওর আজকে ছুটি। আজকে ওর স্যার পড়াতে আসবে না। তাই ঈশান আজকে কিছুতেই পড়তে চাইছিল না। বড্ড দুষ্টুমি করছিল। আমার হাতে মার খেয়েছে। সে যাই হোক আমি জোরজার করে অংক কাজটা কমপ্লিট করিয়ে নিলাম।
তারপর যখন দশটা পার হয়ে গেছে মা খেতে ডাকলো।

খাওয়া-দাওয়া শেষ করে, ঈশান গেম খেলতে শুরু করলো কম্পিউটারে। আমিও এবার আমার বইখাতা নিয়ে বসে পরলাম।

দুপুর

বেশ কিছুক্ষণ পড়াশোনার পর। যখন আমাদের বাড়ির বাগানটাতে হালকা রোদ এসেছে, তখন সেই রোদে বসে অনেক্ষণ পর ঘাটাঘাটি করেছি। দিদার সাথে ফোনে কথা বলা বোনের সাথে গল্পগুজব বন্ধুদের সাথে চ্যাটিং।

এইসব করতে করতে যখন সাড়ে বারোটা বাজে তখন ঈশানকে স্নান করালাম। ওর স্নানের পর আমিও নিজে স্নান করে নিলাম। তখন ছাদে বেশ রোদ ঝলমল করছে। স্নান সেরে উঠে ছাদে গিয়ে বসলাম।

হলুদ ছানা

IMG_20201209_140049.jpg

তারপর যখন আড়াইটে বাজে বাবা বাড়ি ফিরল। সবাই মিলে দুপুরের খাওয়া-দাওয়া করা হলো। আর প্রতিদিনের মতো খাবার পর আমি ঈশান ঘুমিয়ে পড়লাম।

সন্ধ্যা ও রাত

ঘুম থেকে ওঠার পর সন্ধ্যা পুজো করলাম। আজকে আমাদের আগে বিয়ে বাড়িতে নিমন্ত্রণ রয়েছে। বাড়ি থেকে বেশ খানিকটা দূরে। আমাদের পরিবার আর আমার পিসির পরিবার সকলের নিমন্ত্রণ।সবাই মিলে ভেবেছিলাম আমাদের গাড়িতেই একসাথে হই হুল্লোড় করতে করতে যাওয়া হবে।

কিন্তু পরে সেটা বদলে গেল পিসির আলাদা গাড়িতে গেল আমরা আলাদা বাড়িতে গেলাম। কারণ সবাইকে এক গাড়িতে ধরছিল না। সন্ধ্যাপূজার সারার পর মা কফি করলো। কফি খেয়ে রেডি হয়ে নিলাম। এই শীতের মধ্যে বেশি সাজুগুজু করতে আমার ভাললাগেনা। তার ওপর মাক্স। সব থেকে বড় কথা এই বছরে এই নিমন্ত্রণ প্রথম বিয়ের নিমন্ত্রণ।

যাই হোক আমাদের রওনা হতে হতে সাতটা বেজে গেল। এখান থেকে 45 মিনিট এক ঘন্টার মত সময় লাগবে ওখানে যেতে। যাবার পথে মিষ্টির দোকানে খেজুরের গুড়ের সন্দেশ তৈরি হচ্ছিল দেখে বেশ লোভ লাগলো। সাথে সাথে কিনে নিলাম আটটা সন্দেশ। গাড়ির মধ্যে বসে বসে সন্দেশ খাওয়া হয়ে গেল।

আমার দিদির বড় মেয়ে আমাদের গাড়িতেই যাচ্ছে। ও সাথে থাকলে আমার খুব মজা হয়। যাইহোক ওখানে পৌঁছলাম। আমি এর আগেই বলেছি আমার পিসিদের বাড়িতে যেতে খুব ভালো লাগে।ভীষণ হাসি খুশি আর অনেক গল্প আড্ডা হয় ওখানে। যেহেতু বিয়েবাড়িতে সেরকম কাউকে চিনিনা। তাই দাদা বৌদি পিসি দের সাথে গল্প আর তাই সময়টা কিভাবে চলে গেল বুঝতেই পারলাম না।

বেশ জমজমাট ভুরিভোজন হওয়ার পরে বেশি দেরী না করে রওনা দিয়ে দিলাম।বাড়ি ফিরতে ফিরতে রাত সাড়ে দশটা বেজে গেল। আজকের সন্ধ্যার রাতটা আমার খুব ভালো কাটলো।

ভীষণ ক্লান্ত হয়ে এখন আমি তোমাদের সকলের সাথে ডায়েরি শেয়ার করছি। আবার কালকে চলে আসব নতুন দিনের নতুন ডায়েরি নিয়ে। goodnight 😊

#India

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you for taking part in The Diary Game on Steem.

And thank you for setting your post to 100% Powerup.

Keep following @steemitblog for the latest updates.

The Steemit Team