হ্যালো বন্ধুরা ,তোমরা কেমন আছো? বসন্তের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। তোমাদের জীবন রঙে রঙে রঙিন হয়ে উঠুক। রং দোলের অনেক শুভেচ্ছা। আবারও অনেকদিন পর তোমাদের সাথে নিজের আজকের দিনের গল্প গুলো শেয়ার করতে এসেছি।
সকাল
আজ সকাল বেলা উঠলাম সাড়ে ছটা নাগাদ। ওঠার পরে দেখি মা পূজার জোগাড় করছে। আমি ফ্রেশ হলাম ।স্নান করে নিলাম। আমি মা কে পুজোয় সাহায্য করতে শুরু করলাম। আজকে আমাদের বাড়িতে গোপাল পুজো আছে।
আজ সাড়ে নটা নাগাদ নগরকীর্তন দল আমাদের বাড়িতে আসবে। তাই আমি আর আমার মা সকালে খুব ব্যস্ত ছিলাম।ঠাকুরকে সাজানো, ভোগ তৈরি করা, এই সব নানান কাজে সকালটা কেটে গেল।
আমাদের বাড়িতে অনেক কীর্তনের লোক পালকি করে, কীর্তন করতে করতে বড় একটা গোপাল ঠাকুর নিয়ে আসলো। ওরা অনেকক্ষণ ধরে বাড়িতে হরিনাম গাইলো। খুবই মজা হল। আমার বাড়ির গোপাল ঠাকুর টাকে আজ বেশ সুন্দর দেখাচ্ছিল।
কাল সারাদিন বসে বসে আমি গোপালের ভোগ তৈরি করেছি ।গোপালের জামা তৈরি করেছি। আমার পাশের বাড়ির কাকিমা গোপাল ঠাকুরের জামা ও আমি বানিয়ে দিয়েছি।
দুপুর
নগরকীর্তন এর দল বাড়ি থেকে যেতে যেতে 12 টা পার হয়ে গেল।সব মিলিয়ে আজকের এই বসন্তের দিন টা উচ্ছ্বাসে মেতে উঠলো। আমি আর মা খুবই ক্লান্ত হয়ে গেছিলাম। তাই হালকা কিছু খাওয়া দাওয়া করে দুজনেই রেস্ট নিলাম।
কিছুক্ষণ পরে ঈশান হঠাৎ এসে আমাদের দুজনকে রং মাখিয়ে দিল। তারপর আবার আমরা সবাই মিলে রং খেললাম। রং খেলার পরে আবার স্নান করতে বাধ্য হলাম। স্নান করে যেন শরীরে একটা তৃপ্তি হলো।
প্রতি বছর আমরা এই দিনে ধুবুলিয়াতে এক অনাথ আশ্রমে রং খেলি । এবছর আর আশ্রমের যেতে পারিনি। কিন্তু বাড়িতে সকাল থেকে যেভাবে আমরা সবাই মিলে আনন্দ করলাম। তাতে আমার মন ভরে গেছে।
বিকেল
তারপর দুপুর বেলা ভাত খেয়ে শুয়ে পরলাম। ঘুম থেকে ওঠার পর ছাদে গেলাম। ছাদে গাছ গুলোতে জল দিলাম। তখনও দেখছি বাড়ির আশেপাশে সবাই রং খেলছে। দেখতে ভারী মজা লাগছিল। এই করতে করতে সন্ধ্যা লেগে গেল।
সন্ধা বেলা
মা সন্ধ্যা পূজা করলো। সন্ধ্যা পূজা শেষ করে মা আর বাবা বেরিয়ে পরলো মন্দিরের উদ্দেশ্যে। আসলে কালকে কিছু জন মিলে গোপাল পূজার নিমন্ত্রণ করে গেছে বাড়িতে। সেই সব মন্দিরেই বাবা-মা ঘুরতে গেল। আমি আর ঈশান তখন পড়তে বসলাম।
ঈশান তো পড়তে চাইছিল না। জোর করে ধরে বেঁধে বসালাম।
ফ্রিজে আইসক্রিম রাখা ছিল। আইসক্রিম বার করে দুই ভাই বোনে খেলাম।
রাত
এসব করতে করতে যখন 9 টা পার হয়ে গেছে বাবা-মা বাড়ি ফিরল। বাড়ি ফেরার সাথে সাথে মা গল্প জুড়ে দিলো। যে মন্দিরে ঘুরতে গিয়েছিল সেখানকার গল্প নিয়েই ,আমি,ভাই আর আমার সামনের বাড়ির কাকা কাকিমা সময় কাটালাম।
তারপর মন্দির থেকে যে প্রসাদ এনেছিল। সেই প্রসাদ খাওয়া হলো। এভাবেই আজকের দিনটা শেষ হলো। আশা করি তোমরাও আজ অনেক মজা করেছ। আর খুব সাবধানে রং খেলেছ। একটু পরেই আমি ঘুমিয়ে পড়বো। কারণ শরীর আমার খুব ক্লান্ত। তাহলে আজকের মত শুভরাত্রি।
@steemcurator01 , Happy holi🌈❤️❤️
happy holi
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
🌻🌈 Thank you 😊
Same to you.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit