প্রিয়,
পাঠকগণ,
কেমন আছেন আপনার সবাই, আশাকরি সবাই ভালো আছেন।আপনাদের সকলকে মকর সংক্রান্তির অনেক শুভেচ্ছা জানাই।
আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমাদের চিড়িয়াখানায় কাটানো একটা দিন।
আমি, আর আমার দিদির ফ্যামিলির সবাই মিলে ঘুড়তে গিয়েছিলাম কিন্তু দিদির ছেলে (তাতান) যায়নি কারণ সারাদিন থাকতে ওর কষ্ট হবে, তাই ও বাড়িতে ওর ঠাকুমার সাথেই ছিলো।
আমি এর আগে কখনো চিড়িয়াখানায় যায়নি,এই প্রথমবার। ইচ্ছে ছিলো ছোটো থেকে কিন্তু পরিস্থিতির কারনে কখনো হয়ে ওঠেনি। তাই আজ সেখানে গিয়ে তিতলি খুব খুশী হয়েছে, আর আমারও বেশ ভালোই লেগেছে। যদিও চিড়িয়াখানায় যাওয়ার বয়েস পেরিয়ে গেছে, তবুও মনের কোণের ইচ্ছেটা পূরণ হয়েছে এই আর কি।
সেখানে গিয়ে জানতে পারলাম "শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব"ও এই চিড়িয়াখানা ভ্রমণ করেছিলেন। জেনে ভালো লাগলো যে তার মতন একজন মানুষের পদছায়া ওই ভূমিতে পড়েছিল -
আমরা মোটামুটি ৯.৩০ মিনিট নাগাদ বাড়ি থেকে বেড়িয়েছি, তারপর ট্রেন ধরেছি, সেখান থেকে আবার মেট্রো করে কালীঘাট স্টেশন নেমেছি,সেখানে পুজো দিয়ে ট্যাক্সি ধরে সোজা পৌছালাম চিড়িয়াখানা।
সেখানে পৌঁছে একটু খাওয়াদাওয়া করে নিয়ে আমরা ঘুড়তে শুরু করলাম,এক এক করে অনেক কিছু দেখলাম, কিছু কিছু ফটো তোলা সম্ভব হলেও অনেক কিছুরই ফোটো তোলা যায়নি। তিতলি ভীষণ মজা করেছে, গোটা চিড়িয়াখানা সে নিজে হেঁটে হেঁটে দেখেছে, একবারও কোলে ওঠার বায়না করেনি।
আমার যেটা দেখে সবথেকে ভালো লেগেছে সেটা হলো কচ্ছপ, কচ্ছপটা অনেক বড়ো। বহু বছরের পুরোনো।তাছাড়া কুমীর, হরিণ,জেব্রা, জিরাফ, বাঘ, হাতি,সাদা ময়ূর, ইমু পাখী আর ও অনেক রকম পাখি, সাপ, গন্ডার, জলহস্তী আর ও অনেক কিছু দেখলাম।
মাঝে আমরা আবার খেয়ে নিয়েছিলাম, তারপর বাস ধরে সোজা শিয়ালদহ স্টেশন, এবং সেখান থেকে ট্রেন ধরে সোজা বাড়ি। অর্থাৎ তিতলির সাথে সাথে প্রথম বার আমারও চিড়িয়াখানা ভ্রমণ হলো।
কিছু ছবি আমি শেয়ার করবো আশাকরি দেখে আপনাদেরও ভালো লাগবে।
হরিণ, হাতি,জিরাফ, কচ্ছপ,জেব্রা, বাঘ-
ঈমুপাখি, এবং ঈমু পাখির ডিম-
কুমীর গুলো রোদে শুয়ে আছে-
কাঠের গুঁড়ির আড়ালে লুকিয়ে থাকা সাপটি অনেক মোটা-
রঙিন পাখি-
আমরা-
আশাকরি আপনদের দেখে ভালো লাগলো।ভালো থাকবেন সবাই।শুভরাত্রি।