HELLO
MY DEAR FRIENDS
This is @mahmudul20 from bangladesh
আজ আমি বাংলাদেশের সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা সম্পর্কে কিছু কথা লিখবো, আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
উপস্থাপনা অনুষ্ঠানে কথা বলতে গিয়ে একটু গলা টা কাপলো।চোখের কোণে জমলো জল।আর কখনো মাইক্রোফোনের সামনে দাড়া হবে না।ধারাভাষ্যকার কখনো এসে খুজে নিবে না মাশরাফি কে অবধারিতভাবে।ক্যামেরার চোখ তাক করে থাকবে না মাশরাফির দিকে।সব শেষ হয়ে গেছে অধিনায়কত্ব থেকে অবশর নেওয়ার পর। তুলে দিয়ে শেষ আচর টা দেওয়ার সময় একটুও কি খারাপ লাগেনি মাশরাফির। মন টা ভেঙে শত সহস্র টুকরো হয়নি? কিন্তু আমাদের তো হয়েছে ক্যাপ্টেন।নড়াইলের সেই স্বপ্নবাজ ছেলেটা যার নেশা ছিল স্কুল পালিয়ে চিত্রা নদীতে ঝাপ দেওয়া।প্রতিবেশির বাড়ি থেকে লিচু কলা চুরি করা।বিকাল বেলা কাঁদায় ভরা ফুটবল মাঠে নেমে পড়া।সে কি- না ক্রিকেটার হয়ে গেল?বাংলাদেশের ক্রিকেটে তার মতো আগুয়ান পেসার এর আগে তো দেখা যায়নি।বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ডিওন ইব্রাহিম আর গ্রান্ড ফ্লাওয়ার এর স্টাম্প উপড়ে দিয়ে বার্তা টা দিয়েছিলেন মাশরাফি। তিনি রাজত্ব করতে এসেছেন ক্রিকেটে।তিনি প্রতিপক্ষকে ধরে দেবানে বলে উরিয়ে দেবার জন্য এসেছেন ক্রিকেটে।
ইনজুরির ছোবল বারবার হানা দিয়েছেন তার ক্যারিয়ারে।বারবার মুখ থুবড়ে পড়েছেন মাশরাফি। সবাই বলেছিল মাশরাফি ফুরিয়ে গেছে। ডাক্তার বলে দিয়েছিলো মাশরাফি আর হাটতে পারবে না।
মাশরাফি নিজে মুচকি হেসেছেন।ফিরে এসেছেন দুর্দান্ত প্রতাপে।ভাঙাচুরা একটা দলকে তিনি পরিনত করেছেন সমীহ যাগানো প্রতিপক্ষ হিসেবে। দলের প্রতিটা ক্রিকেটার বুকের মধ্যে জ্বেলে দিয়েছেন এক একটা আগুন।সে আগুনের নাম-
"আমরা করবো জয়"।
সতীর্থ আর জুনিয়রদের আগলে রেখেছেন সবসময়।
খারাপ পারফরম্যান্স এর দিনেও ঢাল হয়ে দাড়িয়েছেন তাদের সামনে।বট বৃক্ষ হয়ে ছায়া দিয়ে গেছেন। সৌম্যর ব্যাটে রান ছিলো না।
তামিমকে নিয়ে সমালোচনা হয়েছে।রিয়াদ কে দল থেকে ছেটে ফেলার চক্রান্ত হয়েছে।প্রত্যক টা জায়গায় মাশরাফি এসে তাদের পক্ষে হয়ে কথা বলেছেন।সুযোগ দেবার চেষ্টা করেছেন।আজ তামিম জোড়া সেঞ্চুরি করার ক্ষমতা রাখে।লিটনের ব্যাটে ঝড় উঠে।এসবের পিছনে মাশরাফি বিন মুর্তজা নামে মানুষটার অসিম অবদান।সেটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না।
তার কারণেই বিশ্ব কাপের নকআউট পর্বে গেছে বাংলাদেশ।
চ্যাম্পিওনস ট্রফির সেমিফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। বিশ্ব ক্রিকেটে সমীহ জাগানো এক দলে পরিনত হয়েছে টাইগাররা।এসব কি ভুলে যাওয়া সম্ভব? মাত্র কয়েকটা ম্যাচে ফ্রম নেই তাতেই কত শত কটু কথা শুনতে হল তাকে। "বয়স হয়েছে" , "ফিটনেস টা খুব ভালো অবস্থানে নেই"।তবুও হার না মানা মনের জোরে হাঁটুতে মোটা টেপ বেধে রানিং স্ট্রেচিং করেন।জিমে সময় কাটান।নেট প্রাকটিসে মাঝারি রানআপ নিয়ে ছুটে আসেন। কারন তিনি এখনো ক্রিকেট কে উপভোগ করেন।খেলতে চান নিজেকে উজার করে দিয়ে।কিন্তু দলে জায়গা দখল করার কোনো ইচ্ছে নেই তার। পারফরম্যান্স ভালো না হলে তাকে বাদ দেওয়া হোক, এটা তার সোজাসাপটা কথা।তাই অধিনায়কত্ব টাও ছেড়ে দিলেন।তাকে যাতে অটো চয়েস মনে না করতে পারে কেউ।তার রাজনীতিতে আসা, খেলোয়াড় থাকা অবস্থায় এমপি হওয়া টাকে ভালো ভাবে নিতে পারেনি অনেকেই।মাশরাফি কে ক্ষোভের আগুনে পুড়তে হয়েছে এ জন্য।অধিনায়ক মাশরাফির শেষটা আবেগে আক্রান্ত হবার মতোয় ছিলো।
ম্যাচ শেষে তাকে কাঁধে তুলে নিলেন সবাই মিলে।যেভাবে শচীন কে কাঁধে তুলে নিয়েছিলো ভারত জয়াবর্ধনে আর সাঙ্গাকরা কে কাঁধে তুলে নিয়েছিলো শ্রীলংকান সতীর্থরা।সেভাবে মাশরাফি কে সম্মান জানাতে চাইলেন সবাই।এই কাঁধে ম্যাশ বাংলাদেশের প্রত্যাশার ভার বইছে।১৬ কোটি মানুষের স্বপ্নে ভার বইছে তার দুই হাঁটু। এই টুকু তো মাশরাফির পাওনা। presentation এ সবার পরনে ২ নাম্বার জার্সী।পেছনে মাশরাফির নাম লেখা। সামনে লেখা Thank you Captain.চোখ দুটো অশ্রু স্নাতো হলো।গলার কাছটায় দলা পাকিয়ে আবেগ যেনো চিৎকার জানান দিতে চাইলো অদের সঙ্গে Thank you captain.আমাদের ১.৫ যুগের টাইমলাইনে মাশরাফি ছিলেন।আরো কিছু দিন থাকবে হয়তো।কলার উঁচিয়ে ছুটে আসা দেখে আমরা ক্রিকেটার হতে চেয়েছি।পেসার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছি।এদেশে কত সহস্র কিশোর তরুণ মাশরাফি হওয়ার স্বপ্ন দেখেছেন তার হিসাব নেই।
কিন্তু তবুও একটা প্রশ্ন থেকে যায়, কে আসলে বেশি ভালো? ক্রিকেটার মাশরাফি নাকি এমপি মাশরাফি?
Source
এইতো গত এশিয়া কাপের কথা ভাঙা হাত নিয়ে তামিম ব্যাটিং করতে নেমেছেন মাশরাফির এক কথায়।তামিমের গ্লাভস, প্যাড পড়িয়ে প্রস্তুত করে দিলেন মাশরাফি নিজেই। ইনজুরি জর্জর দল টা যেনো সাকিবের অভাবে প্যানিক না হয়ে পড়ে।সে জন্য অধিনায়ক মাশরাফি চেপে গেলেন সব কিছু।ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলে মুশফিক এসে বলেন, "মাশরাফি ভাই বলেছে হারার আগে হেরে যাওয়া যাবে না"। মুস্তাফিজ শেষ ওভারে ক্রাম্প নিয়েও দুর্দান্ত বোলিং করে ম্যাচ জিতিয়েছেন। বলেন মাশরাফি ভাই বলেছেন তাই বল তো করতেই হবে।লিটন হাফ সেঞ্চুরি করার পড়ে মাশরাফির উদ্দেশ্য বুকে হাত দিয়ে ইঙ্গিত করেন, হয়তো ধন্যবাদ জানান। তার উপর ভরসা রাখার জন্য। বুকে হাত দিয়ে মাশরাফিকে তার পাল্টা জবাব দিতে দেখে আমাদের চোখের কোণ ভিজে যায়।সেখানে জল জমে।বাংলাদেশের ক্রিকেটে যতো বড় অর্জন তার প্রায় সব কিছুর সাথেই জড়িয়ে আছে মাশরাফির নাম।অনেকগুলো এসেছে তার হাত ধরেই।অথচ তিনি কৃতিত্ব নিতে নারাজ।
অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফির শেষ ওয়ানডে, সেই ম্যাচে তিনি উইকেট নিলেন, ঝাপিয়ে পড়ে রান বাঁচালেন।তবুও তার ডেডিকেশন নিয়ে প্রশ্ন উঠে।সে-সব কে তিনি পাশ কাটিয়ে নিজের মতো করে পারফরম্যান্স করার চেষ্টা করেন।
এমন একটা দিন নিশ্চয়ই আসবে যেদিন কলার উঁচিয়ে মাশরাফি কে আর ছুটে আসতে দেখা যাবে না।এমন একটা দিন নিশ্চয়ই আসবে যেদিন সাদা ক্রিকেট বল হাতে মাশরাফি আর রানআপ নিবে না। এমন একটা দিন নিশ্চয়ই আসবে, যেদিন সকালে উঠে তাকে রানিং, স্ট্রেচিং আর করতে হবে না।দের ঘন্টা সময় নিয়ে হাঁটু তে টেপ বাধতে হবে না।গল্প টা নাড়া দিবে চিরদিনের জন্য। আমরা জানি সেদিন টা আসবে,কিন্তু মানতে পারিনা।১০ বছর ধরে মাশরাফি টেস্ট খেলেন না।হুট করে টি২০ ছাড়ার ও কয়েকবছর হয়ে গেল।কই মানিয়ে নিয়েছি তো।মিস করি, মনে পড়ে কিন্তু ব্যাথা হয় না আর।জীবন তো এমনই মানিয়ে নেওয়ার।তবুও শান্তনা খুজে পাই একটা জায়গায় মাশরাফি তো ওয়ানডে খেলছে এখনো।একদিন সেটাও শেষ হয়ে যাবে।অধিনায়কত্ব টাও ছেড়ে দিলেন এবার।দিন ঘনিয়ে আসছে, এক কুড়ি, দুই কুড়ি গুনে দিন মাস বছরের হিসেব বের করে ফেলা যাবে।কিন্তু মন মানছে না মানবেও না।আমাদের অনেকের কাছে ক্রিকেটের শব্দের প্রতিশব্দ মাশরাফি।
বছর কয়েক পড়ে কোনো এক আলসে বিকেলে অফিস ফেরত ক্লান্ত শরির টা এলিয়ে দিয়ে চোখ দিবো টিভির পর্দায়।লাল সবুজের জার্সী ধারি খেলবে হয়তো।যারা মাশরাফির ছায়াতলে বেড়ে উঠেছেন।তাকে বড় ভাই মানে জারা।ওরাই হয়তো একটা সময় দলের প্রাণভমরা হবে। রুবেল, মুস্তাফিজ হয়তো স্টাম্প ভেঙে দিবেন।মিরাজ, সাকিব টপাটপ উইকেট তুলে নিবে।সৌম্য, লিটন রা চার ছক্কার ফুলঝুরি সাজাবেন।১০ হাজার ওয়ানডে রানের মাইলস্টোন টা ছুয়ে ফেলবেন তামিম।দল টাকে এক সুতোয় গাথবেন সাকিব। তবুও কোনো কঠিন মুহূর্তে, কোনো আসন্ন বিপদের মুখে আপনার কথাই মনে পড়বে সবার আগে।
ইশ!
এখন মাশরাফি থাকলে কি হতো?
বন্ধুরা এখানেই শেষ করছি।
You have been upvoted by @tarpan A Country Representative, we are voting with the Steemit Community Curator @steemcurator07 account to support the newcomers coming into steemit.
Follow @steemitblog for the latest update. You can also check out this link which provides the name of the existing community according to specialized subject
There are also various contest is going on in steemit, You just have to enter in this link and then you will find all the contest link, I hope you will also get some interest,
For general information about what is happening on Steem follow @steemitblog.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit