প্রাণী জগতের বিচিত্রময় প্রাণীধারা পরিপূর্ণ প্রাণী জগতের রহস্য বোঝা মানুষের জন্য পরিপূর্ণভাবে কখনোই সম্ভব নয়। পৃথিবীতে অনেক প্রাণী রয়েছে যেগুলো মানুষ এখনো পর্যন্ত চোখে দেখেনি।প্রতিনিয়ত বিজ্ঞানীরা নতুন নতুন প্রাণীর আবিষ্কার করছে।লক্ষ লক্ষ প্রজাতির প্রাণীর মধ্যে হয়তোবা আমরা সামান্য কিছু প্রাণীর আবিষ্কার করতে পেরেছি এবং তাদের কর্মকান্ড সম্পর্কে জানতে পেরেছে।প্রাণী গবেষকরা এখনো পর্যন্ত অজানা সকল প্রাণীর পেছনে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে।এবং নতুন নতুন প্রাণী খোঁজার সন্ধানে করার জন্য পরিশ্রম করা যাচ্ছে। পৃথিবীতে স্থল এবং জল দুই জায়গাতেই প্রচুর পরিমাণে প্রাণী রয়েছে। ভূপৃষ্ঠের স্থলভাগের প্রাণী গুলোকে খুঁজে বের করে গবেষণা করা সম্ভব হলেও ভূপৃষ্ঠের চেয়ে অধিক পরিমাণে প্রাণে রয়েছে সমুদ্রের তলদেশে। যে প্রাণীগুলোকে খুঁজে বের করে তাদের কর্মকান্ড জীবন জীবিকা উদ্ধার করা অসম্ভব।পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ সাগর প্রশান্ত মহাসাগর এই মহাসাগরের মধ্যে কত রহস্য লুকিয়ে রয়েছে তা সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কারো পক্ষে জানা সম্ভব নয়। মানুষ যে কয়েকটা প্রাণী আবিষ্কার করতে পেরেছে তার মধ্যে অসংখ্য পোকামাকড় রয়েছে।এ পোকামাকড় গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হলো পিঁপড়া। পিঁপড়ার জীবন কাল থেকে শুরু করে তাদের বিভিন্ন তথ্য আমরা আমাদের বিজ্ঞান বইয়ের পড়েছি।এছাড়াও বিভিন্ন ভিডিওর মাধ্যমে আমরা পিঁপড়া সম্পর্কে জেনেছি।প্রাণিজগতের মধ্যে পিঁপড়া খুবই শক্তিশালী একটি প্রাণী।পিপড়া তার শরীরের ওজনের চেয়ে প্রায় আট গুণ বেশি ওজন নিজের পিঠে বয়ে নিয়ে যেতে পারে।
এটা পৃথিবীর অন্য কোন প্রাণীর পক্ষে সম্ভব নয়।এছাড়াও পিঁপড়ার প্রখর ঘ্রাণ শক্তি রয়েছে অনেক দূর থেকে পিঁপড়া খাবারের সন্ধান সেই খাবারের ঘ্রাণের মাধ্যমে পেয়ে যায়। পিঁপড়া সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য আমরা জানতে পারি পিঁপড়াদের দলনেতা রয়েছে।দলনেতার নির্দেশনা অনুযায়ী পিপড়া বিভিন্ন কাজ করে থাকে পিপড়ার কয়েকটা ভাগে ভাগ করে তাদের কাজ করে। পিপড়ার একশ্রেণীর তাদের বাড়ি পাহারা দেয় এবং এক শ্রেণী খাবারের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়।ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করে পিপড়া খাদ্য সংগ্রহ করে রাখে। বর্ষাকালে যখন খাদ্য সংগ্রহ করা কষ্টসাধ্য হয় তখন সঞ্চিত খাবার থেকে তারা তাদের জীবন অতিবাহিত করে।
সাধারণত মাটিতে ছোট ছোট টিলার মত তৈরি করে পিপড়া তাদের বাসা নির্মাণ করে। পানিতে ভেসে থাকার জন্য পিপড়া একে অপরের সাহায্য নিয়ে ভেলার মত একটি বস্তু তৈরি করে এবং সেটার মাধ্যমে পিপড়া বন্যার সময় অথবা যখন পানিতে তাদের ঘর ভেসে যায় তখন তারা পানিতে ভেসে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলে যায়। পিঁপড়া একটি বুদ্ধিমান প্রাণী বিপদের আবাস দেখতে পেলে পাহারাদার পিঁপড়া, তার সঙ্গে সাথীদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়।নির্দেশনা পাওয়ার সাথে সাথে দলের অন্য পিঁপড়া প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয় এবং নিরাপদ স্থানে সরে দাঁড়ায়। পিঁপড়া মানুষের জন্য উপকারী একটি প্রাণী প্রকৃতির বিভিন্ন পচনশীল দ্রব্য পিপড়া খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে যার ফলে প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় থাকে। প্রাণী জগৎ আসলেই রহস্যময় একটি জগত।এ পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি প্রাণী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সুতরাং পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রাণী মানুষ হিসেবে আমাদের উচিত পৃথিবীর প্রত্যেকটি প্রাণীকে সংরক্ষণ করা তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা। এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের মাধ্যমে একটি সুন্দর পৃথিবী গঠন করা। কারণ আমরা সহ সকল প্রাণী জগৎ মিলে এই পৃথিবী গঠিত
[ copyright free image source :pixaby]
(https://pixabay.com/photos/ant-insect-animal-arthropod-1130497/)