ঘোড়া

in hive-198612 •  2 years ago 
পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকে অনেক প্রাণী পৃথিবীতে এসেছে।এমন অনেকগুলো প্রাণীর পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। পৃথিবীর ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য প্রত্যেকটি প্রাণী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পৃথিবীর ভারসাম্য প্রাণী জগতের উপর নির্ভর করে। ডাইনোসর থেকে শুরু করে বর্তমান প্রজন্মের যতগুলো প্রাণী এই পৃথিবীতে রয়েছে সবগুলোই এ পৃথিবীর কোন না কোন প্রয়োজনে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। প্রাণীদের মাধ্যমে পৃথিবীর ভারসাম্য বজায় থাকে। পৃথিবীর প্রত্যেকটা কাজে প্রাণীরা তাদের দায়িত্ব পালন করে। প্রাণী জগতের মধ্যে কিছু প্রাণী রয়েছে যে প্রাণীর সাথে মানুষের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।কিছু কিছু প্রাণী রয়েছে যে প্রাণীগুলো মানুষের সাথে বসবাস করে। ![1663078312928.jpg]() এই ধরনের প্রাণী গুলোকে গৃহপালিত প্রাণী বলা হয়। মানুষ তাদের সুবিধা অনুযায়ী এই প্রাণীগুলোকে ব্যবহার করে থাকে।গৃহপালিত প্রাণী গুলোর মধ্যে গরু ছাগল মহিষ ঘোড়া অন্যতম। এই প্রাণীগুলো মানুষের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক জড়িয়ে থাকে।গৃহপালিত প্রাণীর মধ্যে কিছু প্রানী এমন রয়েছে যেগুলো তার মনিবের প্রতি খুবই ভক্তি সালি হয়।প্রভুভক্ত প্রাণীগুলোর মধ্যে কুকুরকে আমরা সবচেয়ে বেশি প্রভুভক্ত মনে করি। কারন আমরা দেখেছি মনিবের বিপদে কখনো সবসময় এগিয়ে আসে সেই হাতে কুকুর আর জেগে পাহারা দেয়।কিন্তু কুকুরের চেয়ে বেশি প্রভুভক্ত একটি প্রাণী রয়েছে যেটা সম্পর্কে আমাদের ধারণা নেই বললেই চলে।সেই প্রাণীটি ঘোড়া।কুকুর তার মনিবের প্রতি যতই ভক্তি দেখাক না কেন মালিকের জন্য ঘোড়া যতটুকু বিপদের সম্মুখীন হয় কুকুর কখনো হয়না। ![20220901_181126.jpg]() গৃহপালিত প্রাণী গুলির মধ্যে ঘোড়া হচ্ছে একমাত্র প্রাণী জাকির সিপাহীরা যুদ্ধের ময়দানে ব্যবহার করে থাকে।আর একজন সিপাহির ঘোড়া তার সবচাইতে বড় হাতিয়ার।ঘোড়ার একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো সে সবসময় নিজেকে প্রস্তুত রাখে। তাই ঘোড়া সবসময় দাঁড়িয়ে ঘুমায়।তার মালিক যখন যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয় তখন ঘোড়া যুদ্ধে যাওয়ার জন্য নিজেকে তৈরী করে রাখে।একটি সিপাহীর ঘোড়া ধারালো তলোয়ারের সামনে তার মালিকের সাথে যুদ্ধের ময়দানে যেতে ভয় করে না।সিপাহীর সাথে দ্রুতগতিতে ধুলোয় উৎক্ষিপ্ত করে দ্রুতগতিতে সে যুদ্ধের ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়ে। সে তার জীবনের পরোয়া করে না।সিপাহি কে যদি কেউ যুদ্ধের ময়দানে হারাতে চায় তাহলে সর্বপ্রথমে ঘোড়ার ওপর আক্রমণ করতে হবে।সিপাহীর মৃত্যুর আগে সিপাহীর ঘোড়া তার জীবনের সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে তার মালিকের প্রাণ বাঁচাতে চেষ্টা করে।পৃথিবীতে অন্য কোন প্রাণীর মধ্যে এমন বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায় না।তাই বাংলায় একটি প্রবাদ আছে বাপকা বেটা সিপাহী কা ঘোড়া। একজন সিপাহের ঘোড়া তার ছেলের মতই। ছেলে যেমন বাবার বিপদে নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে সহযোগিতা করার চেষ্টা করে। ![images.jpg]() ঠিক তেমনি একজন সিপাহের ঘোড়া যুদ্ধের ময়দানে তার জীবনের বিনিময়ে হলেও তার মনিবকে রক্ষা করার জন্য সর্বাত্মক ভাবে চেষ্টা করে। সুতরাং এইটা থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে পৃথিবীতে অন্য যেকোনো গৃহপালিত প্রাণীর চেয়ে ঘোড়া সবচেয়ে প্রভু ভক্ত এবং অন্য সব প্রাণীর চেয়ে ত্যাগী একটি প্রাণী।পবিত্র কোরআনে ঘোড়ার এই বৈশিষ্ট্য নিয়ে আধিয়াত নামে একটি সূরা নাযিল করা হয়েছে। যে সূরাটার বাংলা অর্থ হলো ভ্রাম্যমান অস্ব্যরাজি অর্থাৎ দ্রুত বেগে চলন্ত ঘোড়া।এই সূরার মধ্যে সিপাহীদের ঘোড়া সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন মহান আল্লাহ।
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png