গোপন অঙ্গে চুলকানি সমস্যার কারণ ও প্রতিকার

in how •  7 years ago 

গোপন অঙ্গে চুলকানির সমস্যা নারী জীবনের অত্যন্ত স্বাভাবিক একটি ঘটনা। বেশিরভাগ নারীই নজ্জায় এই বিষয়টি চেপে যান কিংবা মোটেও গুরুত্ব দেন না। তাঁরা জানেন না যে বেশিরভাগ নারীকেই জীবনে কখনো না কখনো এই সমস্যাটির মোকাবেলা করতেই হয় এবং এটি আসলে রোগের লক্ষণ! একটু খানি সচেতনতাই আপনাকে বাঁচিয়ে দিতে পারে অনেক গুলো শারীরিক সমস্যা থেকে। লজ্জা নয়, সচেততা জরুরী। চলুন, আজ জানি গোপন অঙ্গে চুলকানির কারণ, প্রতিকার ও আপনার করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত।

যেসব কারণে হতে পারে চুলকানি

সাধারণ যেসব কারণে গোপন অঙ্গে চুলকানি হতে পারে সেগুলো হচ্ছে অ্যালার্জি। টাইট কাপড় পরিধান, কোন সাবান বা পারফিউমের রিঅ্যাকশন, ঘামে ভেজা কাপড় দীর্ঘ সময় পরে থাকা ইত্যাদি। এছাড়াও ইস্ট ইনফেকশন বা ব্যাকটেরিয়ার কারণেও হতে পারে এই চুলকানি।হতে পারে হরমোনের সমস্যা বা কোন ত্বকের রোগের কারণেও। মেনোপজের পরও গোপন অঙ্গে হতে পারে এমন চুলকানি। গোপন অঙ্গ যথেষ্ট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার পরও যদি প্রতিদিন ঘনঘন চুলকানি হতে থাকে যা মোটেও স্বাভাবিক নয়, তাহলে আপনার উচিত এখনোই সচেতন হয়ে যাওয়া।

কখন যাবেন ডাক্তারের কাছে?

যদি গোপন অঙ্গে গন্ধ ও চুলকানির উপস্থিতি একত্রে টের পান, তাহলে দেরি না করে ডাক্তারের কাছে যাওয়াই উত্তম। পশ্চাৎ দেশের মত যোনিতেও অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যাকটেরিয়া থাকে। কিন্তু খারাপ ব্যাকটেরিয়ার গ্রোথ যখন বাড়তে থাকে তখন বাজে গন্ধ ও জ্বালাপোড়া হতে থাকে, এটা একটি রোগের লক্ষণ যাকে বলে bacterial vaginosis। অন্যদিকে ইস্ট ইনফেকশনের কারণে যদি চুলকানি হয়ে থাকে, তাহলে চুলকানির সাথে গন্ধ থাকতে পারে, থাকবে ঘন সাদা স্রাব। ইস্ট ইনফেকশন অত্যন্ত স্বাভাবিক ঘটনা। যৌন সম্পর্ক, অ্যান্টি বায়োটিক খাওয়া, এমনই দুর্বল ইমিউন সিস্টেমের কারণেও হতে পারে এই সমস্যাটি। এগুলো সমস্যা দেখা দিলে ডাক্তারের কাছে তো যাবেনই, চুলকানির সাথে যদি প্রস্রাব ত্যাগেও কষ্ট হয় বা যৌন মিলনে ব্যথা অনুভব করেন, তাহলেও দেরি না করে দ্রুত যাবেন ডাক্তারের কাছে।

এছাড়াও ঘরে যা করতে পারেন

১) সর্বদা বিশেষ অঙ্গটি পরিষ্কার রাখবেন। অন্যদের চাইতে একটু বেশিই যত্ন করবেন। প্রত্যেকবার টয়লেটের কাজ সারার পর উষ্ণ পানি ও ভালো সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে ভালো করে মুছে জায়গাটি শুকনো রাখবেন।

২) একদম ঢিলেঢালা সুতির অন্তর্বাস পরিধান করুন। দিনে দুবার অন্তর্বাস বদলে ফেলুন। এছাড়া ঘামে ভেজা অন্তর্বাস বেশি সময় ব্যবহার করবেন না।

৩) গোপন অঙ্গের জন্য একদম মাইলড কোন সাবান বা পরিশকারক ব্যবহার করুন। নিউট্রিজেনার লিকুইড সোপ বা গন্ধ বিহীন বিদেশী সাদা ডাভ সাবান ব্যবহার করতে পারেন। এমন কিছু ব্যবহার করবেন যাতে সুগন্ধী নেই।

৪)মিষ্টি জাতীয় খাবার কম খাবেন। কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারও কম খাবেন। ইস্ট ইকফেকশন হয়ে থাকলে এতে অনেকটাই কাজ দেবে।

৫) রাতের বেলা অন্তর্বাস পরে ঘুমাবেন না। বিশেষ করে গরমের দিনে।

৬)গোপন অঙ্গে পাউডার ব্যবহারের অভ্যাস থাকলে বেবি পাউডার ব্যবহার করুন।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!