সবার আগে বুঝতে হবে মেয়েরা ক’প্রকার ? বয়সের দিক থেকে আমরা মেয়েদের এখানে তিন ভাগে ভাগ করব। প্রথম ভাগ যাদের বয়স ১৪ থেকে ১৯। এর পরের ভাগ হল ২০ থেকে ২৫ এবং তারপর ২৬ থেকে মোটামুটি ৩২। বয়সের ভিত্তিতে মেয়েদেরকে এই তিন ভাগে করে আমরা যে সমীক্ষা করেছি তার একটি ধারণা এখানে তুলে ধরা হল।
প্রথম ভাগ অর্থাৎ বয়স ১৪ থেকে ১৯।
এই সময় মেয়েদের বয়স কম এবং জীবন সম্পর্কে অভিজ্ঞতা বলতে গেলে শূন্য। সকালে মায়ের ডাকে ঘুম থেকে উঠে, মোবাইলে গান শুনতে শুনতে ছোট বড় বাথরুম সেরেই তাদের ছুটতে হয় স্কুল বা কলেজে। এদের মাথায় কোনো দায়িত্ব নেই। চিন্তা বলতে চুল পড়ে যাচ্ছে, গালে ব্রণ দেখা দিয়েছে ইত্যাদি। দুঃখ বলতে শ্যামলী অমন সুন্দর একখানা বয়ফ্রেন্ড জুটিয়ে নিল, আমার এখনও হল না ? এদের দুচোখে স্বপ্ন। সিনেমার নায়িকার মধ্যে এরা নিজের ছবি দেখতে পায়। এদের চোখে হিরো হতে গেলে আপনাকে কি করতে হবে ?
১) আপনার অবশ্যই বাইক থাকতে হবে। বাইক ছাড়া কোনো রকম ভাবেই আপনি এই মেয়েদের মন জয় করতে পারবেন না। পড়াশোনায় আপনি কেমন, আপনি ভালো গান জানেন ইত্যাদির কোনো ভ্যালু এদের কাছে নেই। এরা সেসবের কদর করতেও জানে না। বাইকটাই এখানে ফ্যাক্টর। বাইক থাকা মানেই আপনি ৬০% এগিয়ে গেলেন।
২) আপনাকে অবশ্যই দেখতে সিনেমার নায়কের মত হতে হবে। গায়ের রঙ ফর্সা না হলেও চলবে কিন্তু আপনার বাইসেপ ট্রাইসেপ ইত্যাদি থাকতে হবে। খালি গায়ে স্যান্ডো মার্কা গেঞ্জী পড়ে আপনি যদি বাইক চালিয়ে সিগনাল ভেঙ্গে ট্রাফিক আইনের চোদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করে এদের সামনে দিয়ে ভোঁ করে ছুটে যেতে পারেন তাহলে এরা আপনাকে নিয়েই রাত জেগে স্বপ্ন দেখবে।
৩) আপনার পকেটে থাকাটা ভীষণ দরকার। উপরের সবকটি গুণ আপনার কাছে আছে কিন্তু পকেট ফাঁকা তাহলে উপরের কোনো কিছুই আর আপনাকে বাঁচাতে পারবে না। মামুণিকে দিনে কুড়ি বার এস এম এস বা ফোন করতে হবে। ৩৬৫ দিনের নানা রকম কার্ড দিতে হবে। রেগে গেলে চকোলেট দিতে হবে। মাল্টিপ্লেক্সে সিনেমা দেখাতে হবে। যদি অনেক রেগে যায় তাহলে শপিং করিয়ে দিতে হবে।
আপনার কাছে যদি এই গুণগুলি থাকে তাহলে আপনি নিমেষে যে কোনো মেয়েকে নিজের বশে করতে পারবেন।
এবার আসা যাক দ্বিতীয় বিভাগের মেয়েদের কথায়।
এদের বয়স ২০ থেকে ২৫। এদের মধ্যে অধিকাংশই ইতিমধ্যে প্রেমে এক-দুবার ঘা খাওয়া পাবলিক। গোটা দু-তিন বছর প্রেম করে বুঝে গেছে বাইক আর বাইসেপে প্রেম হয় না। ওটা করার জন্যে একটা সুন্দর মন থাকা জরুরী। কথায় আছে এমনি শেখার চেয়ে ঠেকে শেখা বেশী ভালো। তাই এই বয়সের মেয়েরা একটু বেশী সতর্ক। এরা সহজে ধরা দেয় না। এরা এমন ছেলেই বাছতে চায় যাকে সে সত্যি সত্যি জীবন সঙ্গী করতে পারবে। বাড়িতে বাবা মায়ের সামনে প্রেজেন্ট করতে পারবে। এদের চোখে নিজেকে মেলে ধরতে হলে আপনাকে নীচের পদক্ষেপ গুলি অনুসরণ করতে হবে।
১) আপনাকে শান্ত স্বভাবের হতে হবে। অতি মাত্রায় চঞ্চল বা বাচাল হলে চলবে না। তাই বলে আবার বোরিং হলেও চলবে না। আপনাকে মুড বুঝতে হবে এবং সেই ভাবে নিজেকে আপডেট হতে হবে। আপনার মধ্যে যেন হাসানোর ক্ষমতা থাকে। তাই বলে বাজে ঘিসাপিটা জোকস বা রগরগে মোটা দাগের ইয়ার্কি মারা চলবে না। হাসি হতে হবে বুদ্ধিদীপ্ত। জীবনের রোজকার ঘটনার মধ্যেই আপনাকে হাসি খুঁজে বার করতে হবে।
২) সারাক্ষণ তার খোঁজ খবর নেবেন না। কি করছ? কেন করছ? কোথায় আছো? এসব প্রশ্ন যত কম করবে তত ভালো। এই বয়সের মেয়েরা একটু স্বাধীনচেতা হয়। বেশি ঘ্যানঘ্যান করলে পাখি উড়ে পালাবে। তাই বলে আবার খোঁজ খবর নেওয়া বন্ধ করবেন না।
এরপর আসা যাক আমাদের শেষ বিভাগে।
অর্থাৎ ২৬ থেকে ৩২। এদের পাওয়াটা একটু সহজ এবং এদের দাবীও খুব বেশী নয়। এরা হল সেই মেয়ে যারা দু’জায়গাতেই ঘা খেয়েছে। যার বাইক ছিল সেও বাইক থেকে নামিয়ে ভেগেছে এবং যার গীটার ছিল সেও সুর ঠিকঠাক বাঁধতে পারেনি। এদের চাহিদা তাই সামান্য। সাধারণ, ভদ্র, মোটামুটি একটা চাকরী বা ব্যবসা আছে এরকম ছেলেই এদের বেশী পছন্দ। খাওয়া পরার চিন্তা না থাকলেই এদের চলবে। যদি এই সামান্য চাহিদা টুকুও আপনি পূরণ করতে অক্ষম হন এবং তার সাথে রোজ নানা কারণে খিটিমিটি লাগিয়ে থাকেন তাহলে আপনি কিসের পুরুষ? আর কিসের মানুষ? আপনার কিছুই হওয়ার নয়।
তবে সবকিছুরই যেমন ব্যাতিক্রম থাকে তেমনি এরও আছে। পৃথিবীতে নিয়ম থাকলে অনিয়মও থাকবে। বহু এমন মেয়েকেও দেখা যায় তিরিশে এসেও যার এখনও বাইক এবং বাইসেপ প্রীতি ফুলদমে চালু আছে। এরাই নরম্যালি পাড়ার চ্যাংড়া ছেলেগুলোর মাথা খায় এবং তাদের নিয়েই দুপুর বেলায় দরজায় খিল দেয়।
আবার প্রচুর ১৬ বছরের কন্যাকেও পাওয়া যায় যাদের নিজ বয়সের গীটার হাতের ছেলেটার থাকে গম্ভীর ইংরাজী প্রফেসরকে বেশী ভালো লাগে। এবার আপনার ভাগ্যে কে জুটেছে এবং সে কেমন সেটা আপনাকেই বুঝতে হবে এবং সেই অনুযায়ী দাওয়াই নিতে হবে।
Image credit google