কোথায় মানবতা!!

in humanity •  7 years ago  (edited)

জাতিসংঘ নামের বিশ্বসংস্থা নাকি বিশ্বশান্তির উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছিল।তো,বিশ্বশান্তি রক্ষায় জাতিসংঘ এখন কি করছে??
একেকটা ধ্বংসযজ্ঞের পর হা হুতাশ আর কান্নাকাটি ছাড়া বেসিক্যালি জাতিসংঘের করার মত কিছুই থাকে না যদি না পরাশক্তিরা নিজেরা কিছু না করে।
রয়টার্স রাখাইনের বৌদ্ধ গ্রামবাসীদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গণহত্যার একটা প্রামাণ্য প্রতিবেদন দাখিল না করা পর্যন্ত যেন ব্যাপারটা এমন ছিল,কোন গণহত্যাই আদতে হয় নাই।
ব্রিটিশ পার্লামেন্ট নাকি মিয়ানমারের বিরুদ্ধে স্যাংশন দেবে,আমেরিকা নাকি ট্রাভেল ব্যান দেবে।
ব্যাপারটা সিম্পলি পলিটিক্যাল।মনে করার কোন কারন নাই,ব্রিটিশ-ইউএস গভর্নমেন্ট মানবতার কারনে এই ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে।মানবতার কারনে তারা কখনো যে ডোনেশন দেয় না তা না,কিন্তু পলিটিক্যাল এপ্রোচ তারা পলিটিক্যাল কারনেই নেয়।
এইসব নিন্দা প্রস্তাব পাস বা ইকোনমিক স্যাংশন কোন গণহত্যা আজতক ঠেকাতে পারে নাই।
গত এক সপ্তাহে আসাদের বোম্বিংয়ের কারনে ঘাউটায় দুই শতাধিক সিভিলিয়ান নিহত হয়েছে,সিরিয়ার সিভিল ওয়ার শুরুই হয়েছে আসাদের নৃশংসতার মাধ্যমে,যে কিনা ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশের লাখখানেক মানুষ মারতে একটুও দ্বিধাবোধ করে নাই।
ইয়েমেনে ত্রিশ লাখের বেশি মানুষ প্রতিদিন না খেয়ে থাকে।ফিলিস্তিনে লাখ লাখ মানুষ কুকুর বিড়ালের মত বেচে থাকে,কাশ্মীরে নিজভুমে পরবাসী লাখ লাখ মানুষ,তুর্কিস্ত
ানকে জীবন্ত শ্মশান বানিয়ে রেখেছে চীন।
তাহলে,জাতিসংঘ দিয়ে আসলে কি লাভ??
উত্তর,ক্যাওস মিনিমাইজেশান।
এই যে লিবারেলিজমের আফিম খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা তৃতীয় বিশ্ব,এর ঘুমকে দীর্ঘায়িত করতে জাতিসংঘের কোন বিকল্প আসলে নাই।
সেই সাথে,দুনিয়াব্যাপী এন্টি কলোনিয়াল ক্ষোভকে মিনিমাইজ করতেও জাতিসংঘ এক বিশাল ভুমিকা পালন করে।

humanity-star-1.jpg

তাই জাতিসংঘের কাজ বিশ্বশান্তি রক্ষা করা,এই কথা কোন সচেতন মানুষ বিশ্বাস করে না।
পৃথিবীতে আন্তর্জাতিক আইন বলে যেসব ঠুটো জগন্নাথ মার্কা শব্দের বুজরুকি চলে,কোন পরাশক্তিই তার প্রয়োজন হলে সেসব বুজরুকির ধার ধারে না,বল প্রয়োগ করে।বিএসএফ সীমান্তে যখন মানুষ মারে,কোন আন্তর্জাতিক আইন তা ঠেকাতে পারে না।
এর মূল কারন,আন্তর্জাতিক আইন বাস্তবায়ন করার জন্য কোন ফোর্স নাই,যা আন্তর্জাতিক আইন মানতে কাউকে বাধ্য করবে।যার ফোর্স নাই,তার আইন মানার ঠেকাও কারো নাই।দূর্বল রাষ্ট্রগুলো আন্তর্জাতিক আইন মানতে বাধ্য হয় শুধু এই কারনে যে,আন্তর্জাতিক আইন ভাঙলে পরাশক্তিগুলো নিজেদের তৈরি করা সিস্টেমকে ইন্টারাপ্ট করার কারনে তাকে যে শাস্তি দেবে,তা তারা হজম করতে পারবে না।
এই দুর্বলতা পরাশক্তিদের নাই,তাই তাদের জুলুম থেকে দূর্বলকে রক্ষা করার কোন উপায় এই জগতে নাই।
এখানে,দূর্বলকে হয় মার খেতে হবে,নয় মাথা উচু করে টিকে থাকার জন্য সশস্ত্র হতে হবে,যেমনটা উত্তর কোরিয়া হয়েছে।
অথবা,এমন কোন পরাশক্তির আবির্ভাব হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে,যার কাছে ইনসাফ ও ইনসানিয়াতের দাম আছে,এবং সেই দাম অন্যের কাছ থেকে আদায় করার জন্য যে ভায়োলেন্স করা জরুরী,তা করার সামর্থ্য আছে।
নিজে ভাল,তো জগত ভাল,কথাটা জাতীয় বা আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে অচল।
এখানে ন্যায়ের পক্ষে ভায়োলেন্স এবং শুধুমাত্র ন্যায়ের পক্ষে ভায়োলেন্সের মাধ্যমেই ইনসাফ ও ইনসানিয়াতকে রক্ষা করা সম্ভব

U5dr75MbhNvgCGACcfdjtswynoPkCcC.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Monobota kothaw nai vai ..thakle aj rohinggader ei dosa hotona .. jai hok .

Kaj e jai ..

Ekta bot ase amader 0.01 dile 300% ba tar besi back dibe @stmbooster ..try korte paren vai..Payment paben must every 4h por por vote kore ...


Sorry for the late. it happens because of the electricity problem here.
and thanks for promoting your post by us.
Check our recent posts and also do follow us @stmbooster.
thank you

252% upvoted Thanks!