গত ৭ অক্টোবর ‘প্রতিশোধের অংশ’ হিসেবে ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। এ সময় তারা আড়াই শতাধিক ব্যক্তিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে আসে। পরবর্তীতে নভেম্বরের যুদ্ধবিরতির সময় শতাধিক জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়। বাকি জিম্মিদের মুক্তি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে দুই পক্ষ। এরই মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৭০ জন জিম্মি নিহত হয়েছে বলে খবর প্রকাশ পেয়েছে। খবর আল জাজিরা।
হামাসের সামরিক শাখা আল কাসসাম ব্রিগেড দাবি করছে, অবরুদ্ধ ছিটমহলে ইসরায়েলের বোমাবর্ষণে সেখানে আটক থাকা সাতজন জিম্মির মৃত্যু হয়েছে। কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবাইদা শুক্রবার (১ মার্চ) টেলিগ্রাম অ্যাপে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, তারা ওই সাতজনের মধ্যে তিনজনের পরিচয় নিশ্চিত করতে পেরেছেন। তবে এসব জিম্মি কবে নিহত হয়েছে সে ব্যাপারে পরিষ্কার কিছু বলা হয়নি। জিম্মিদের দায়িত্বে থাকা হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর চালানো তদন্তে জিম্মিদের মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
দোহা ইনস্টিটিউট ফর গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজের নিরাপত্তা ও সামরিক অধ্যয়নের অধ্যাপক ওমর আশুর এক সাক্ষাৎকারে বলেন, জিম্মিদের মুক্তির কথা বললেও ইসরায়েলি সরকারের কাছে এটি দ্বিতীয় অগ্রাধিকার। তাদের প্রথম অগ্রাধিকার হচ্ছে গাজা থেকে হামাস ও তাদের সহযোগী বিভিন্ন দল বা গোষ্ঠীকে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করে ফেলা। এ জন্য তারা যে কোনো পন্থা অবলম্বন করতে রাাজি। কিছু জিম্মির প্রাণহানিকেও খুব বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না।
যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালেও ইসরায়েল এ ব্যাপারে কোনো ধরনের তাড়াহুড়া করতে রাজি নয়। তারা বলছে, জিম্মিদের তালিকা না দেওয়া পর্যন্ত তারা যুদ্ধবিরতিতে আগ্রহী নয়।
একজন ঊর্ধ্বতন ইসরায়েলি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ইসরায়েলের একটি সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, যারা যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে কাজ করছে, তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, হামাস গাজা উপত্যকায় জীবিত থাকা ইসরায়েলি বন্দীদের তালিকা না পাঠানো পর্যন্ত তারা যুদ্ধবিরতি আলোচনায় এগোবে না।