আমি আমার বন্ধু মিতুকে বলেছিলাম আমার মায়ের সাথে যখন সে অবসর পাবে। আমার মা খুব একা বোধ করেন কারণ তিনি বৃদ্ধ। মিতু উত্তর দিয়েছিলেন যে তিনি ঘরের কাজ নিয়ে খুব ব্যস্ত এমনকি টিভি শো দেখতেও। আমি সত্যিই দুঃখিত ছিলাম এবং আমার জীবন শেষ করার কথা ভেবেছিলাম কারণ আমার মায়ের যত্ন নেওয়ার জন্য আমার কেউ নেই। কিন্তু তারপর আমি মিতুর কাঁধে হাত রেখে তাকে বললাম যে সে যদি আমাদের বাবা-মায়ের যত্ন নিতে সাহায্য করে তবে সে ঈশ্বরের দ্বারা পুরস্কৃত হবে। মিতু তখন ব্যাখ্যা করে যে আমাদের ধর্মে, আসলে বাবা-মায়ের দায়িত্ব তাদের সন্তানদের যত্ন নেওয়া, অন্যভাবে নয়। বুঝলাম মিতুর সাথে শেয়ার করার মত আর কোন জ্ঞান আমার নেই, তাই চুপচাপ কাজে চলে গেলাম। আমি দিনের বেলা কাজ করি এবং রাতে বাড়িতে আসি যখন আমার মা ইতিমধ্যে ঘুমিয়ে থাকে, তাই আমি তার সাথে বসার সুযোগও পাই না। মনে হয় আমি ছোটবেলায় ব্যর্থ হয়েছি। এভাবেই কেটে যায় দিনগুলো। সুখবর হলো মিতু অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। আমি তার অনেক যত্ন নেওয়ার চেষ্টা করেছি। আল্লাহর রহমতে আমরা একটি মেয়ের বাবা-মা হয়েছি।
আমি ওর নাম রাখলাম তোহফা। তোহফার বয়স যখন দেড় মাস, তখন আমার মা ও মেয়ে দুজনেই খুব জ্বরে অসুস্থ হয়ে পড়ে। একদিন সকালে আমার মা লাঠি নিয়ে আমাদের রুমে এসে মিতুর পাশে বসলেন। তিনি আমাকে একটি বালতিতে জল আনতে বললেন। আমি পানি নিয়ে এলাম আর মা মিতুর মাথায় ঢেলে দিল। তারপর একটা বিশেষ কাপড় বানিয়ে মিতুর মাথায় পরিয়ে দিল। কিছুক্ষণ পর মা তোহফাকে কোলে নিয়ে নিজের ঘরে চলে গেল। আমি মিতুকে ফিসফিস করে বলেছিলাম যে আমাদের ধর্মে আমাদের পিতামাতার সেবা করার কথা বিশেষভাবে বলা হয়নি, তবে অন্যের সেবা করা ঈশ্বরকে খুঁজে পাওয়ার একটি উপায়। মিতু কান্নাকাটি শুরু করে এবং তার আগের আচরণের জন্য আমার কাছে ক্ষমা চায়। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে এটি আর ঘটবে না। আমি ইতালির একজন বৃদ্ধ মহিলার সম্পর্কে একটি গল্প শেয়ার করেছি যিনি ক্রিসমাসে পুলিশকে ডেকেছিলেন কারণ তিনি একাকী বোধ করছেন। একাকীত্ব বয়স্ক মানুষের জন্য একটি বড় সমস্যা। আমাদের মনে রাখা উচিত যে একদিন আমরা সবাই বৃদ্ধ হব।