প্রত্যাশা বাড়াল দ্বিতীয় পৃথিবীsteemCreated with Sketch.

in life •  7 years ago 

plannet1476087552.jpgসৌরজগতের বাইরে প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়ার সেরা সম্ভাবনা এবার সম্ভবত পাওয়া গেছে। কারণ পৃথিবী থেকে মাত্র ৪ আলোকবর্ষ দূরে প্রাণ ধারণের উপযোগী ‘প্রক্সিমা বি’ নামক যে পাথুরে গ্রহটি এ বছরের আগস্টে বিজ্ঞানীরা আবিস্কার করেছিলেন, সেই গ্রহটিতে তরল সমুদ্র থাকার সম্ভাবনার কথা সম্প্রতি জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
ফ্রান্সের সিএনআরএস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, গ্রহটির তাপমাত্রা এবং পৃথিবীর সঙ্গে অন্য বিষয়গুলোর সাদৃশ্য থাকায় গ্রহটিতে তরল সমুদ্র থাকার সম্ভাবনা প্রবল, এমনকি পানির অস্তিত্বও থাকতে পারে।
পৃথিবীর মতো পাথুরে পরিবেশ এবং সমুদ্র ও পানির অস্তিত্বের সম্ভাবনার ফলে মনে করা হচ্ছে, গ্রহটিতে প্রাণের অস্তিত্বের বাস্তবিক সম্ভাবনা রয়েছে। তাই গ্রহটিকে অভিহীত করা হয়েছে, দ্বিতীয় পৃথিবী হিসেবে।
সৌরজগতের বাইরে এখনো পর্যন্ত আবিষ্কৃত এক্সোপ্ল্যানেটগুলোর মধ্যে এটিই পৃথিবীর সবচেয়ে নিকটতম। গবেষকদের দাবী সৌরজগতের বাইরের এই গ্রহটিতে প্রাণের অস্তিত্ব অনুসন্ধানের অভিযান ভবিষ্যতে সম্ভব হতে পারে।
বিজ্ঞানীরা প্রমাণ পেয়েছেন, আমাদের নিকটতম নক্ষত্র প্রক্সিমা সেন্টরিকে প্রদক্ষিণ করছে নতুন এই গ্রহটি। ভবিষ্যতের আরো অনেক অগ্রগতির সময়ে পৃথিবী থেকে মহাকাশচারীদের পদচারণা ঘটতে পারে গ্রহটিতে। এসব কিছুই হতে পারে কারণ প্রক্সিমা সেন্টরি নক্ষত্রটি অনুজ্জ্বল এবং এর ৪.৬ মিলিয়ন মাইল দূরত্ব থেকে প্রদক্ষিণ করছে গ্রহটি।
যেহেতু প্রক্সিমা সেন্টরি নক্ষত্রটি অনুজ্জ্বল বামন নক্ষত্র, সূর্যের চেয়ে অনেক কম তাপের এবং প্রক্সিমা বি গ্রহটি উপযুক্ত দূরত্বে অবস্থিত হওয়ায় এর তাপমাত্রা খুব গরম নয় আবার খুব ঠান্ডাও নয়, সেহেতু মনে করা হচ্ছে গ্রহটিতে প্রাণের অস্তিত্বে সম্ভাবনা প্রবল।
ইউরোপিয়ান সাউদার্ন অবজারভেটরি টেলিস্কোপ ব্যবহার করে এ বছরের আগস্টে আবিষ্কৃত রোমাঞ্চকর এই নতুন বিশ্বকে ‘প্রক্সিমা বি’ নাম দিয়েছেন গবেষকরা। লন্ডনের কুইন মেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. গুইলিম অ্যানগালাডার নেতৃত্বে ৩০ জন আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের একটি দল গ্রহটি আবিষ্কারে কাজ করেছেন।
হাজারের বেশি এক্সোপ্ল্যানেট এখন পর্যন্ত আবিস্কৃত হয়েছে, কিন্তু এটি অন্যগুলো থেকে ভিন্ন। এটি আমাদের নাগালের মধ্যে মাত্র চার আলোকবর্ষ দূরে। যদিও চার আলোকবর্ষ অনেক দীর্ঘ একটা পথ, ২৫ ট্রিলিয়ন মাইলেরও বেশি। বর্তমানে যে প্রযুক্তির রকেট রয়েছে, তাতে এই দূরত্ব পারি দিতে সময় লেগে যাবে ৭৬ হাজার বছর! তবে আগামী কয়েক দশকের মধ্যেই ভবিষ্যত প্রজন্মের অতিদ্রুত মহাকাশযান, গ্রহটি ভ্রমণে সক্ষম হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

??