ক্যাম্পাসে আমি সারাজীবন থাকবো না। ৪ টা বছরের জন্য একটা কোর্স করতে এসেছি৷ মাস্টার্স করলে সর্বোচ্চ ৫ বছর ক্যাম্পাসে থাকবো। ৫ বছর পর আমরা কে কোথায় থাকবো, জীবন আমাদের কোথায় নিয়ে যাবে সেটা এইমুহূর্তে কেউ বলতে পারছি না।
এখন স্টেশনে বসে যাদের সাথে আড্ডা দিচ্ছি, স্টলে বসে কার্ড খেলছি— ৫ বছর পর কাউকে একসাথে পাবো না। এই মানুষগুলার মেয়াদকাল মাত্র ৫ বছর। এই সময়ে তারা আমার জীবনকে রঙিন করে তুলছে।
তাহলে কেন কোনো কারণ ছাড়া একজনকে রাইভাল বানাবো? সামান্য সরি বলাতে যদি একটা ঝামেলা মিটে যায়, তাহলে সরি কেন বলবো না? বিশ্ববিদ্যালয়ের হেডাম ক্যাম্পাসের ভিতরেই, ৫ বছর পর এই হেডাম কি ধুয়ে পানি খাবো? এখন যার সাথে হেডাম দেখাচ্ছি, ৫ বছর পর হঠাৎ দেখা হলে কি তাকে হেডাম দেখাবো?
ক্যাম্পাস ৫ বছরের। মানুষ তো সারাজীবনের। ডিপার্টমেন্টে, হলে, ক্যাম্পাসে অযথা শত্রু বানানো, রাইভাল বানানো, হেটারস বানানো কতটা যুক্তি যুক্ত?
আমি সিনিয়রদের সাথে মিশবো, জুনিয়রদের সাথে মিশবো, বন্ধুদের সাথে মিশবো। আমি মানুষ বানাবো– শত্রু নয়।