মাইগ্রেন...!! মাইগ্রেন জনিত সমস্যা ও সমাধান

in life •  6 years ago 

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যে কয়েকটি ঘটনা স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মাইগ্রেন। মেয়েদের মধ্যে এ রোগ বেশি দেখা যায়। সাধারণত ২০-৩০ বছর বয়সে এই রোগ শুরু হয়। অনেকে একে আধকপালির বিষ বা ব্যাথা বলে থাকেন। বর্তমানে বিশ্বে শতকরা প্রায় ১১ জন বয়স্ক মানুষ মাইগ্রেন জনিত মাথা ব্যথায় ভোগেন। সাধারণত ২৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সে মধ্যে এর পরিধি বেশি হয়।

মাইগ্রেন এক বিশেষ ধরনের মাথাব্যথা। মাথার যেকোন এক পাশ থেকে শুরু হয়ে তা বিস্তৃত আকার ধারণ করে। এতে মস্তিষ্কে স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহ ব্যাহত হয়। মস্তিষ্কের বহিরাবরণে যে ধমনিগুলো আছে সেগুলো মাথাব্যথার প্রারম্ভে স্ফীত হয়ে ফুলে যায়। এছাড়া মাথাব্যথার সাথে সাথে বমি ও বমি বমি ভাব এবং রোগীর দৃষ্টিবিভ্রম হতে পারে। চিকিৎসকের এর অধীনে এবং নিয়মিত চেকআপের মাধ্যমে এ রোগের চিকিৎসা করা উচিত। মাইগ্রেন-এর ব্যথা চোখের কোন সমস্যার জন্য হয় না।
মাইগ্রেনের কারন:
মাইগ্রেন কেন হয় তা এখনো পুরোপুরি জানা যায়নি। তবে এটি বংশগত বা অজ্ঞাত অন্য কোনো কারনেও হতে পারে। সাধারণত পুরুষ ও মহিলাদের ক্ষেত্রে এই অনুপাত ১:৫ হয়। মহিলাদের মাসিকের সময় এই রোগটি বেশি দেখা দেয়। মাইগ্রেনের আরো কিছু কারন হল-
১। চকলেট, পনির, কফি বেশি খাওয়া
২। জন্মবিরতিকরণ ওষুধ গ্রহণ
৩। দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ
৪। অতিরিক্ত ভ্রমণ
৫। দীর্ঘক্ষণ ধরে অতি উজ্জ্বল আলোতে অবস্থান করা।
৬। অনিদ্রা
৭। অনেকক্ষন ধরে টিভি দেখা
৮। দীর্ঘক্ষন যাবত কম্পিউটারে কাজ করা
৯। মোবাইলে কথা বলা

মাইগ্রেন বয়ঃসন্ধিকাল থেকে শুরু হয় এবং মাঝ বয়স পর্যন্ত কিছু দিন বা কয়েক মাস পর পর হতে পারে। মাথাব্যথা শুরু হলে তা কয়েক ঘণ্টা, এমনকি কয়েক দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। মাথাব্যথা ও বমি বমি ভাব এ রোগের প্রধান লক্ষণ। তবে অতিরিক্ত হাই তোলা, কোন কাজে মনোযোগ নষ্ট হওয়া, বিরক্তিবোধ করা ইত্যাদি উপসর্গ মাথাব্যথা শুরুর আগেও হতে পারে। মাথার যে কোনো অংশ থেকে এ ব্যথা শুরু হয়। পরে পুরো মাথায় ছড়িয়ে পড়ে। এসময় শব্দ ও আলো ভালো লাগে না। কখনো কখনো অতিরিক্ত শব্দ ও আলোতে মাথাব্যথা বেড়ে যায়।

মাইগ্রেন রোগের চিকিৎসা :
প্রথমেই জানতে হবে যে,কারো মাইগ্রেন থাকলে কোন ওষুধে এই রোগ সম্পূর্ণ নিরাময় করা সম্ভব নয়। সাধারণ মাইগ্রেন হলে সাধারণতঃ ব্যথার ওষুধ যেমন প্যারাসিটামল খেলেই কাজ হয়। যদি মাইগ্রেন বার বার হতে থাকে এবং কাজে বাধা সৃষ্টি করে, তবে কিছু শক্ত ব্যথানাশক ওষুধ এবং এর সাথে যাতে বার বার ব্যথা ফিরে না আসে সে জন্য কিছু প্রতিষেধক ওষুধ দেওযা হয়। কখনও কখনও সামান্য চশমার পাওয়ার দিতে হয়। মাইগ্রেনের মতো মাথাব্যথা অন্যান্য জটিল নিউরোলজিক্যাল রোগও হতে পারে। তাই যদি বার বার মাথাব্যথা হয় বা খুব বেশি মাথাব্যথা হয়, তবে কিছু পরীক্ষা করা প্রয়োজন হতে পারে। ডাক্তার পরীক্ষা করে নিশ্চিত হলে এবং ওষুধ দিলে সেগুলো ব্যবহার করতে হবে। তাই মাইগ্রেন জাতীয় ব্যথা হলে অবিলম্বে ডাক্তার দেখানো উচিত এবং সঠিক পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়ার পর ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়া উচিত। মাইগ্রেন ব্যথা কখনও অবহেলা করা উচিত নয়। সকল নিউরোলজিক্যাল, চক্ষু, নাক, সাইনাস, দাঁত ইত্যাদি পরীক্ষা করেই শুধুমাত্র নিশ্চিত হওয়া সম্ভব রোগটি মাইগ্রেন কিনা।
এছাড়াও এভাবে চেষ্টা করতে পারেন-

প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
২ চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগার, ১ গ্লাস পানি, ১ চা চামচ মধু, ১ চা চামচ লেবুর রস।

– ১ গ্লাস পানিতে আপেল সিডার ভিনেগার ভালো করে মিশিয়ে নিন।
– ভিনেগার মিশে গেলে এতে, মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে নিন ভালো করে।
– এই পানীয় মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হলে দিনে ২-৩ বার পান করুন।
মাইগ্রেনের ব্যথা দূর হবে খুব দ্রুত।

ধন্যবাদ আপনার গুরুত্বপূর্ণ ও মুল্যবান সময় দিয়ে পোস্টটি পরার জন্য ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!