"সুন্দর কোনো এক দিনের সকাল ১০:১৬। কান্ধে ব্যাগ নিয়া চা খাওয়া শেষ কইরা একটু বড় ডিস্টেন্সের হাঁটা দেবো বলিয়া ঠিক করিতেছি, এমন সময় খালি পেটে থাকা মোবাইলটা কান্না জুড়ে দিলো। খাইছে, খুবই আকাঙ্ক্ষিত নাম্বার, কিন্তু রিসিভ করতে ভুই পাই। অবশ্য রিসিভ নাই কইরাও থাকন যায় না। সবুজ বাটন টিপি দিলাম।
: হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।
: এই বিয়ে করবা আমাকে? (আমি )
হাত থেকে মোবাইল পইড়া তিন টুকরা; কোনো মতে তুইলা নিয়া ঝাইড়া ফোন ফ্যাক্সের দোকানের দিকে দৌড়, এরপর ত্রিশ সেকেন্ড পরে দিলাম কল
: হ্যালো, তুমি ঠিক আছো? তুমি এখন কই? (আমার প্রশ্ন)
: আমি এখন মামার গলির সামনে দাঁড়িয়ে, বিয়ে করতে চাইলে আধা ঘন্টা সময় দিলাম চলে এসো।
ফোন কেটে গেলো; এক মুহুর্ত চিন্তা করলাম, মানিব্যাগে হাত দিলাম; নাহ, আজকে এনেছি , ভেতরে ডেবিট কার্ডটাও আছে, বাঁচা গেলো , অটোরিক্সার দিকে দৌড় দিলাম
: হেই হেই খালি.... চলো ফার্মগেট।
: যাওন যাইবো না ঐদিকে এক ট্রিপ মারতেই দিন পার হইয়া যাইবো জামে।
: এক ট্রিপেই তোমার ট্যাকা উঠায় দিমুনি, চলো চলো।
ভ্রুউম ভ্রুউউম; সিএনজি ছেড়ে দিলো; ঠিক ২৪ মিনিটের মাথায় মামার গলির সামনে; দেখলাম রণাঙ্গিনী দাঁড়িয়ে আছে, হাতে একটা ছোট পার্স
(প্রথমে ওঁর প্রশ্ন)
: পরিচিত কোনো কাজি অফিস চেনো?
: তোমার কী মনে হয়, আমি আগেও কাজি অফিসে বিয়ে করেছি?
: ত্যাড়া ত্যাড়া কথা বলবা না, বিয়ে করতে এসেছো বিয়ে করে চুপচাপ আমাকে নিয়ে যাবা। (মেজাজ পুরাই ফরটি নাইন )
: আচ্ছা ঠিক আছে। কাছে বিজ্ঞান কলেজের গলিতে গেলে একটা কাজি অফিস চিনি দোতালায়, ঐখানে যাবা?
: চলো
: আচ্ছা চলো, তবে সেজান পয়েন্ট হয়ে যাই
: কেনো ওদিকে ঘুরে কেনো?
: বিয়ে করতে হবে না, টাকা লাগবে না? বুথ থেকে টাকা তুলবো।
: তোমার ডিবিবিএল এর বুথ হলিক্রসের সামনেও পাবা, ঘুরে যাওয়ার দরকার নেই চলো। (চোখ পাকিয়ে ঝাড়ি)
(ওভার ব্রিজ দিয়ে হাঁটছি, কিছুক্ষণ উসখুস করে জিজ্ঞাসা করলাম)
: তোমার বিয়ে করার সিদ্ধান্তে আমি যারপরনাই আনন্দিত; আচ্ছা বাসায় কী কিছু হয়েছে?
: (ওঁ চুপ)
: এই মানে বলছিলাম কী, বিয়ে করে কী তোমার বাসায় তুমি চলে যাবে?
: (কড়া ভাষায়) তুমি কী বলতে চাও? মেয়েরা কী বিয়ে করে বাবার বাড়িতে থাকার জন্যে বা যাবার জন্যে?
: না না না; তা তো অবশ্যই না। তবে কী না আমার বাসায় তো তোমাকে নেওয়া যাবে না (একটু রিস্ক আছে ), তবে এটা নিয়ে আমি চিন্তিত না, কতো ঘর-বাসা আছে। হুঁহ!
আমরা চুপচাপ হাঁটছি। আমি পুরোপুরি চিন্তিত না এইটা ঠিক না, প্রথম চিন্তা বিয়ের আগমুহুর্তে মত আবার না পাল্টায়; দ্বিতীয় চিন্তা, হঠাৎ এমন বিয়ের জন্য ডাকার কারণ কী?, তৃতীয় চিন্তা মাসের এই মাঝে বাসা ভাড়া পাওয়া যাবে না, ভালো হুটেলে থাকলে ট্যাকা যাইবো বর্ষাকালের গাঙের পানির মতো। এই চিন্তা করতে করতেই বুথের সামনে এসে দুজনে বুথে ঢুকলাম
: এই বিয়ে করতে কতো টাকা লাগতে পারে, কতো তুলবো? (আমার প্রথম প্রশ্ন)
: তোমাকে বলি নি আমি আগে বিয়ে করিনি, আমি জানি না? (রাগ পড়ার লক্ষণ কণ্ঠস্বরে, চিন্তিত বিয়ে করাটাই বাতিল না করে দেয় )
: আচ্ছা আচ্ছা, আমি শুনেছিলাম হাজার চারেক নাকি লাগে, আমি হাজার পাঁচেক তুলছি।
: অ্যাই শোনো সাক্ষীর বন্দোবস্তো তো হয় নি, তোমার কেউ আছে? (আবার আমার প্রশ্ন)
: আমি কাউকে আনি নি, আনবো না, তুমি ব্যবস্থা করো। এবং দয়া করে তাড়াতাড়ি করো, আমি টেনশন নিতে পারছি না।
ঠিক পঁয়তাল্লিশ মিনিট পর কাজির সামনে। আমি আর ওঁ, সাথে দুই সাক্ষী। এক বড় ভাইরে অফিস থেকে ডেকে আনলাম, আর ফ্রেন্ডরে জজ কোর্ট থেইকা, সে আবার কিছুদিন হয় জাজ হিসেবে ঢুকছে। আইসাই তাঁর কথা, তোর শালা কপাল ভালো, সদরঘাট থেইক্কা রওনা দিলাম, রাস্তার জ্যাম নাই গাড়িতে পঁয়ত্রিশ মিনিটেই পৌঁছাইয়া গেলাম। বড় ভাইয়ের কথা, তুমি মিয়া পুরাই আনপ্রেডিক্টেবল , দুপুরের খাওন খাইতে যামু, এদিকে বিয়ার সাক্ষী হয়া গেলাম। কিছু নি খাওয়াইবা?
: তোমাকে বলি নি আমি আগে বিয়ে করিনি, আমি জানি না? (রাগ পড়ার লক্ষণ কণ্ঠস্বরে, চিন্তিত বিয়ে করাটাই বাতিল না করে দেয় )
: আচ্ছা আচ্ছা, আমি শুনেছিলাম হাজার চারেক নাকি লাগে, আমি হাজার পাঁচেক তুলছি।
: অ্যাই শোনো সাক্ষীর বন্দোবস্তো তো হয় নি, তোমার কেউ আছে? (আবার আমার প্রশ্ন)
: আমি কাউকে আনি নি, আনবো না, তুমি ব্যবস্থা করো। এবং দয়া করে তাড়াতাড়ি করো, আমি টেনশন নিতে পারছি না।
ঠিক পঁয়তাল্লিশ মিনিট পর কাজির সামনে। আমি আর ওঁ, সাথে দুই সাক্ষী। এক বড় ভাইরে অফিস থেকে ডেকে আনলাম, আর ফ্রেন্ডরে জজ কোর্ট থেইকা, সে আবার কিছুদিন হয় জাজ হিসেবে ঢুকছে। আইসাই তাঁর কথা, তোর শালা কপাল ভালো, সদরঘাট থেইক্কা রওনা দিলাম, রাস্তার জ্যাম নাই গাড়িতে পঁয়ত্রিশ মিনিটেই পৌঁছাইয়া গেলাম। বড় ভাইয়ের কথা, তুমি মিয়া পুরাই আনপ্রেডিক্টেবল , দুপুরের খাওন খাইতে যামু, এদিকে বিয়ার সাক্ষী হয়া গেলাম। কিছু নি খাওয়াইবা?