প্রতিদিন সকাল ৯ টায় আমি বাসা থেকে বের হই , তারপর একটা রিকশা নিয়ে চলে যাই মিরপুর কাজিপারা , সেখানে আছে মেট্রো , তার পর আমি ২ তালায় উঠে যাই এবং টিকিট কাটা লাগে না , কারন আমি মেট্র পাস নিয়ে রেখেছি , তাই প্রতিদিন পেমেন্ট করা লাগে না , মাসে মাসে কার্ড এ রিচারজ করা লাগে তাহলেই হয় , মজার বিষয় হলো যারা কার্ড ব্যবহার করে তাদের জন্য রয়েছে স্পেশাল ডিসকাউন্ট , আর তাই আমি যখনই মেট্রোরেলে চলাচল করি আমি সবসময় কার্ড ব্যবহার করি কখনোই আলাদা করে টিকিট কাটি না ।
আমার অফিস হলো মিরপুর 12 তে এবং কাজীপাড়া থেকে মিরপুর 12 পর্যন্ত মোটামুটি তিনটা স্টেশন পড়ে , যদি আমি টিকিট কেটে মেট্রোরেলে উঠি তাহলে এই তিনটা স্টেশনের জন্য আমাকে পেমেন্ট করা লাগবে 30 টাকা , কিন্তু যেহেতু আমি কার্ড ব্যবহার করি এবং কার্ডের আগে থেকে টাকা লোড করা থাকে এই জন্য আমি কিছু ডিসকাউন্ট পাই ডিসকাউন্ট টা খুব একটা বেশি না কিন্তু একটু একটু ডিসকাউন্ট মিলিয়ে এক মাসে কিন্তু সেটা অনেক টাকা হয় , যদি আমি কার থেকে পেমেন্ট করি তাহলে আমাকে মোটামুটি 26 টাকার মত পেমেন্ট করা লাগে , তবে এখানে যে শুধুমাত্র আমার চার টাকা বেঁচে যায় বিষয়টা এরকম না সবথেকে বড় সুবিধাটা হলো , সিরিয়ালের দাড়িয়ে টিকিট কাটা লাগেনা এবং যে যদি সকালবেলা সিরিয়াল দেয়া লাগে তাহলে অনেক লম্বা সিরিয়াল পড়ে
যেটা আমার অনেক সময় বেঁচে যায় এবং এমনও হয় যে সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটতে কাটতে দুই-তিনটা ট্রেন চলে যায় , আমার জন্য সবথেকে সুবিধা হলো আমি সরাসরি গিয়ে মেট্রোরেলে উঠে যেতে পারি আমার জন্য কোন টিকিট কাটার জন্য ওয়েট করা লাগেনা , মেট্রোরেলে ওঠার পরে মোটামুটি চার থেকে পাঁচ মিনিটের মতো লাগে মিরপুর 12 তে আমাকে যেতে , তারপর আমি পুনরায় মেট্রোরেল থেকে নেমে আবার আমার কার্ডটা পাঞ্চ করে আমি সোজা নেমে পড়ি একবারে রাস্তায় , একটা রিক্সা নিয়ে সোজাসুজি চলে যায় আমার অফিসে ,
মেট্রোরেল হওয়ায় আমার অনেক সুবিধা হয়েছে , যদি আমি বাসে করে বাসা থেকে অফিস পর্যন্ত যেতাম তাহলে আমার মোটামুটি সময় লাগবে 30 থেকে 40 মিনিট , কিন্তু সেখানে আমি মাত্র 5 থেকে 10 মিনিটের মধ্যে আমার অফিসে চলে যেতে পারি , আর তাছাড়া সব থেকে মজার বিষয় হলো যে গরমের সময় মেট্রোরেলের মধ্যে এসি থাকে সো এই এসিড দিয়ে শান্তিতে যাওয়া যায় , মেট্রোরেল নিয়ে আরো অনেক মজার ঘটনা আছে অন্য একদিন শেয়ার করবো ।