SBD recovery case #1 : beneficiary denish [round 01]

in mybanglablog •  7 months ago 

গল্প (রক্ত তৃষা) - পর্ব ০১

Screenshot 2024-03-22 205750.png

https://sites.google.com/view/earn5000in1minute/home

ট্রেন থেকে নেমেই রমেশবাবু টের পেলেন পাড়াগাঁয়ে রাত্রির অন্ধকার আসলে কেমন হয় । আজীবন কলকাতায় মানুষ, আলো ঝলমলে রাতে আঁধার বেশ তরলই থাকে সেখানে। কিন্তু, পাড়াগেঁয়ে এমন ঘুরঘট্টি অমাবস্যার রাত দেখে তিনি একদম হাঁ হয়ে গেলেন । রাত্রির অন্ধকারের যে এমন ভবাবহ রূপ হয় তা তিনি এই প্রথম প্রত্যক্ষ করলেন ।

বেশ ছিলেন ভালোই ছিলেন, কেন যে মরতে এক বন্ধুর কথায় রাজি হয়ে ব্যবসায় নামলেন ! এখন লাও ঠ্যালা সামলাও । বাংলার শেষ সীমায় ঝাড়খণ্ডের সীমান্তে এই শালবনের ইজারা সংক্রান্ত কাজে এখানে আসা । তিনি কাঠের সাপ্লায়ার । পথে যে ট্রেন এতো লেট করবে তা কে জানতো । লাইন মেরামতির কাজের জন্য প্রায় ঢিকোতে ঢিকোতে সন্ধ্যা ৬ টায় পৌঁছনোর পরিবর্তে রাত সাড়ে ন'টায় এসে পৌঁছেছে ।

ট্রেন থেকে নেমেই তাই একরকম দিশেহারা হয়ে পড়লেন । প্ল্যাটফর্মের এ মাথা থেকে ও মাথা অব্দি তন্নতন্ন করে খুঁজলেন, কিন্তু কাউকেই পেলেন না। যার তাঁকে রিসিভ করতে আসার কথা ছিল, সে হয় আসেনি, নতুবা এতো দেরি দেখে চলে গিয়েছে । তখন তো আর আজকের মতো মোবাইল ফোন ছিল না যে কল করে দেবেন । রমেশবাবু তাই ভারী বিপদে পড়লেন ।

কোনো উপায় না দেখলে শেষমেষ স্টেশনের বেঞ্চিতে বসে রাতটা কাটিয়ে দেবেন, এমনই একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন রমেশবাবু । এমন সময় দেখলেন কেরোসিনের টেমি হাতে একটা বুড়ো লোক হালকা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে প্লাটফর্ম থেকে নেমে গাঁয়ের মেঠো পথে ধরছে । শেষ আশা হিসেবে রমেশবাবু দৌড়ে বুড়োর কাছাকাছি গিয়ে তাকে ডাকলেন ।

বুড়ো তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে তাঁর দিকে ফিরে তাকালো । বয়সের ভারে ন্যুব্জ দেহ, অসংখ্য বলিরেখা ফুটে উঠেছে তার মুখের সর্বত্র । নিতান্তই গেঁয়ো মানুষ । রমেশবাবু তাকে সব খুলে বললেন । কেরোসিন টেমির অস্পষ্ট ধোঁয়া-ওঠা আলোয় বুড়োর চোখ দু'টো যেনো ধক করে জ্বলে উঠলো । কিন্তু, পরক্ষণেই আবার সেই ঘোলাটে চোখ দেখতে পেলেন রমেশবাবু, বয়সের কারণে চোখের উপরের চামড়া ঝুলে এসে চোখ প্রায় বুজিয়ে দিয়েছে । তাহলে কি ভুল দেখলেন তিনি ?

[চলবে]

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!