যে বিলে শাপলা হাসে, শাপলা ভাসে সাতলার বিল, উজিরপুর,বরিশাল Bangladesh

in nature •  6 years ago 

শাপলা বিলের রঙিন হাসিতে উজ্জ্বল সাতলা গ্রাম। বরিশালের উজিরপুর উপজেলার এই গ্রামে টলটলে পানিতে ভরা সেই বিল। বছরের একটা সময়ে কয়েক একর এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে লাল টুকটুকে শাপলা। সন্ধ্যা নদীর প্লাবন ভূমি এই ছোট্ট গ্রাম, যা এখন সবার কাছে ‘শাপলা গ্রাম’ হিসেবে পরিচিত। গ্রামের নিম্নাঞ্চল বর্ষার পানিতে ডুবে গেলে জুলাই থেকে শাপলা ফোটা শুরু হয় এবং নভেম্বর পর্যন্ত ফুল ফুটতে থাকে। এই সময়ে প্রতিদিন অগণিত ভ্রমণপিপাসু ও গবেষক ছুটে আসেন এই বিলের ধারে।

বরিশাল সদর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়নের উত্তর সাতলা গ্রাম। গ্রামের নামেই বিলের নাম—সাতলা বিল। তবে শাপলার রাজত্বের কারণে সেটি এখন শাপলা বিল নামেই বেশি পরিচিত। ইতিমধ্যে বরিশালের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিলের কথা ছড়িয়ে পড়েছে অন্যান্য স্থানে, বিশেষ করে শহরে ইট- পাথরে বন্দি জীবন কাটানো মানুষ প্রশান্তির আশায় ছুটে আসে এ বিলে। শীত মৌসুমে পর্যটকের ভিড় বাড়ে। পর্যটকদের প্রশান্তি বিলানো ছাড়াও এই বিল ও তার শাপলা স্থানীয়দের অন্নেরও জোগান দেয়।

সম্প্রতি বিল ঘুরে দেখা যায়, আগাছা ঠেলে অনেকেই নৌকা নিয়ে বিলের গহিনে যাচ্ছে। বিল থেকে শাপলা তুলে জমা করছে নৌকায়।প্রায় ২০০ একর জমির ওপর প্রাকৃতিকভাবে বিলটি গড়ে উঠেছে। স্থানীয়দের অনেকে জীবিকার জন্য বছরের একটা বড় সময় বিলের মাছ ও শাপলার ওপর নির্ভরশীল। বিলে ঠিক কত আগে থেকে এভাবে শাপলা জন্মাতে শুরু করেছে, সে তথ্যও দিতে পারেনি স্থানীয়রা। এ বিলে তিন ধরনের শাপলা জন্মে—লাল, সাদা ও বেগুনি রঙের। তবে লাল শাপলাই বেশি। সাধারণত সেপ্টেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত বিলে শাপলা থাকে। সাতলা গ্রামের গৃহিণী হেলেনা বেগম বলেন, লাল শাপলার কদর থাকলেও এটি রান্না করতে অতিরিক্ত ঝামেলা পোহাতে হয়। লাল শাপলা সরাসরি রান্না করার পরও কিছু কালচে রং থাকে। তাই রান্নার আগে তা সিদ্ধ করে নিতে হয়। তিনি বললেন, আগে বিলে প্রচুর শাপলা জন্মালেও এখন পলি পড়ে বিল ভরাট হতে থাকায় পানি কমে যাচ্ছে, ফলে আগের চেয়ে কমে যাচ্ছে শাপলার উত্পাদন। বিলের বিভিন্ন অংশে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষের কারণেও শাপলা কমে যাচ্ছে।

লঞ্চে বরিশাল গিয়ে সেখান থেকে বাসে শিকারপুর। এরপর অটোতে উত্তর সাতলা। ঢাকা থেকে বাসে গেলে উজিরপুরের নুতনহাট নেমে সেখান থেকে অটোতে যেতে পারে। থাকতে হবে স্কুল ঘরে বা কোন গৃহস্তের বাড়িতে। অতিথিপরায়ন মানুষেরা তাতে খুশিই হবে। কিভাবে যাবেন ঢাকা থেকে লঞ্চে বরিশাল এসে মাহিন্দা গাড়ীতে করে সাতলা-বাগধা গ্রামে যাওয়া যায়। বরিশাল নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে সাতলা-বাগধা গ্রামে সরাসরী বাস সার্ভিস আছে। প্রায় ২ঘন্টার মতন লাগে। ঢাকার সাথে বরিশালের সড়কপথে, নদীপথে এবং আকাশ পথে যোগাযোগের ব্যবস্থা আছে। উত্তর সাতলা নানাভাবে যাওয়া যায়।

সামনে নভেম্বর মাসে প্রচুর শাপলা থাকবে এই বিলে। এখন কিছুকিছু এলাকায় ফুল ফোটা শুরু করছে। একটু শীত পরলে শাপলা ফুল বেশি ফোটে। আর এই ফুটন্ত শাপলা দেখতে হলে ভোর ৮টার মধ্যে গেলে ভাল দেখা যায়, পরে এগুলো ফুটন্ত থাকে না।

image
image

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Hi! I am a robot. I just upvoted you! I found similar content that readers might be interested in:
https://www.nhl.com/player/evgeny-kuznetsov-8475744

seriously are you how could you say that its similar are you carzy what the fucking shit you are talking please cheack it again