শেষ বিকেলের মায়া - আমার লেখা ছোট একটি গল্প - পার্ট ০৬

in new •  4 months ago 

প্রত্যেকের কাছে আমার দুষ্টুমির পাকা বারই থাকে। সামারাহকে প্রথম যেদিন ৬ মাস থেকে ৫ বছর অনেকের ক্ষেত্রে ১০ বছর পর্যন্ত বাসটা পূব মায়াকাড়া হয়। আধো আধো বুলি, টলটল পায়ে ছাঁটা, বোকা বোকা পাকা পাকা প্রশ্ন কথা। হেটি ছুটি দুষ্টুমি... এই বয়সের সব কথা কম করা-মাদের মান খুব করে গেঁথে যায়। আশপাশের সবার মনেই তা রেকর্ড। আমি ফিরেছিলাম প্রশ্ন এক যুগ পর। আমার আত্মীয়-স্বজন কাউকেই চিনতে পারছি না। কিন্তু পাকা কথার হাজার স্মৃতি ভরা ছিল। এমন দেখেছিলাম সেদিনের ওর কথাগুলো প্রায়ই নিজে নিজে মনে করে হাসি। সাবাহ এর কথা মনে পড়ে। মারয়ামকে একটু দেখতে ইচ্ছে করে।

রাইসা তার আয়েশার পাকা পাকা কথাগুলো কানে বান্ধতে থাকে বার বারা বানিজের 'মুন ফুল্লিহহহ' বলে ছুটে এসে ছোট্ট দুটি হাত তুলে ‘কোলে কোলে” বলতে থাকার দৃশটি সেখে ভাসে। মিচি কারও পাকা পাকা কথা শুনে হাফসা, আসমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে। সেদিন ফারিহার দুষ্টুমি দেখে আম্মি বলছিল, 'মুন জোটকে ছিলাম। আরো আগে বুলি বলে টলটল পায়ে দূরত মা- এই পিঠি, পাকনা বুড়া-বৃদ্ধি আমরাই যখন বড় হই, যুক্তিতে বুদ্ধিতে যখন খুব এগিয়ে যাই। অনেক সময় আমরা বাবা-মা অথবা বড়দের সাথে এমন ব্যবহার করে বসি, যা হয়তো সেই মানুটোর জন্য সহ্য করা খুব কঠিন। বাবা-মাদের জন্য সন্তান সত্যিই খুব বড় পরীক্ষা। যে বাবা-মা হয়তো আমাদের মুখের অঙ্কটি কথা শুনে হেসে উঠত, তারাই এখন আমাদের তীক্ষ্ণ শন্দে স্তন নিশ্চুপ হয়ে থাকে। হয়তো মনে মনে ভাবে, 'এই তো সেই পিচ্চিটা, যার এই কথার সেদিন আমরা খুব হেসেছিল ম। ২ এ শব্দ উচ্চারণই করতে পারত না। কত কষ্ট করে ওকে এই শব্দটা শিখিয়েছি। যার আর এই শব্দগুলো কতটা বারালো কণ্ঠে আমার দিকেই ছড়ে দিচ্ছে।'

শাহেদ কাজ শেষ করে শুতে যাচ্ছিল। হঠাৎ খেয়াল করল এতক্ষণের কালার শব্দ যেন রোল পেরিয়া আার কানকে বিরক্ত করতে আসছে না। ওরা দিন শাহেদ। যাক, এত দিনে মেয়েটা তাহলে একটু ঘুমোতে পারছে। ঐশীর সাথের সময়টা তাহলে
কাজে লাগছে ওর।

IMG_6570.jpg

লাইট অফ করতে যাবে এমন মন মানে হলো কিছু একটার পর হলো। চেয়ার টানাটানির। এত রাতে কে চেয়ার টানলে। ধ্যাত! ভুল শুনেছে হাতো। কিন্তু অকারণেই মনটা কেমন উপপুশ করতে লাগল। তাই না চহিতেও পা বাড়াল দেব কমের দিকে।
পা সরাতেই খুব বীভৎস এক দৃশ্যের সাক্ষী হাত হলে। শাহেদকে। সেতু নিম্নের গলা ও ২্যানের মধ্যে ওনার মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন করেছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই দেয়ালের সাথে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে চিরতরে পালাবার পরিকল্পনা ওর।
শাহেদ মুহুর্তের জন্য পার হয়ে দারিয়ে রইল। হিতাহিত জ্ঞান শূন্য মস্তিষ্ক নিয়ো। পরক্ষণেই নিজের সমস্ত অস্তিত্ব নিয়ে ছুটে গিয়ে সেতুর পাড়ের নিচের চেয়ার শক্ত করে পরে দাঁড়াল।

বিদদুটে নীরবতায় ঠিক কতটা সময় কেটেছে দু'দনের কেউই তা বলতে পারবে না। সালমা হেতু একেবারে অনুগ্রহ হয়ে সঙ্গে এঙ্গ নিসেই। খাটের এক কোণে নদে তেবে যাওয়া হল। নিঃশব্দ এক। কিছুক্ষন পর পর হেচকির মতো করে টানছে।
শাহেদ চেয়াব ধরে রাখার দায়িত্বে ইস্তফা নিয়ে সেতুর পাশে গিয়ে বসল।
কেমন যেন ওমট নীরবতা নেমে আছে চার দেয়ালের চাহনিতে। লাইট, ফ্যান, এমনকি খাবার পাশে যত্ন করে রাখা ফুলের টবটাও যেন চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে। বাংলার গ্রিল জাঁক নিতে চেষ্টা করছে। বাইরে অসময়ে বৃষ্টি হচ্ছে টিপটিপ। এই মধ্যে সুন্দর একটা অর্ধেক চাঁন মেঘের আড়াল থেকে ফিরে তাকাচ্ছে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!