আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় বন্ধুগণ, কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক ভালো আছি। আজকে আরও একটি নতুন ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়ে গেলাম। আশা করি সবাই শেষ পর্যন্ত আমার পাশে থাকবেন।
আমার শখের ড্রাগন বাগান। ড্রাগন এক ধরনের ফণীমনসা (ক্যাক্টাস) প্রজাতির ফল। এই ফলটি কয়েকটি রংয়ের হয়ে থাকে তবে লাল রঙের ড্রাগন আমাদের দেশে বেশি প্রচলিত। ড্রাগন একটি বিদেশি ফল। একটা সময় বাহিরের দেশ থেকে আমাদের দেশে ড্রাগন ফল আমদানি করা হতো। সেই ফল দিয়েই আমাদের দেশের মানুষের চাহিদা মিটানো হতো, কিন্তু পরিপূর্ণভাবে দেশের মানুষের চাহিদা মেটানো সম্ভব হতো না। এখন আমাদের বাংলাদেশেও ব্যাপকভাবে ড্রাগন ফল চাষ করা হচ্ছে। আমাদের দেশের মানুষের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশও আমরা ড্রাগন ফল রপ্তানি করতে পারছি। ড্রাগন ফল বিদেশে রপ্তানি করে ভালোভাবে বৈদেশিক মুদ্রা লাভ করা সম্ভব।
আমি আমার শখের ড্রাগন বাগানে গিয়েছিলাম। বাগানে গিয়ে দেখি গাছের মধ্যে অনেক ড্রাগন ফল পেকে লাল হয়ে রয়েছে। তখন এটি দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিল। প্রত্যেকটি গাছেই ড্রাগন পেকে লাল হয়ে ঝুলছিল। আমি গাছ পাকা কিছু ড্রাগনের ফটোগ্রাফি করলাম। নিজে খাওয়ার জন্য কিছু গাছপাকা ড্রাগন নিজ হাতে কাটার দিয়ে কাটলাম। এই অনুভূতিটা অন্যরকম ছিল। নিজে ড্রাগন বাগান লাগিয়ে, সেটা ঠিক মতো পরিচর্যা করে সেই গাছের ফল নিজ হাতে কেটে খাওয়ার অনুভূতি আলাদা। আমি এক ক্যারেট ড্রাগন ফল কেটেছি। কিছু ড্রাগন ফল আমার নিজের ও আমার ফ্যামিলির লোকজনের খাওয়ার জন্য রেখেছি এবং কিছু ফল আমার আত্মীয়-স্বজনদেরকে দিয়েছি।
ড্রাগন ফল দেখতে খুবই চমৎকার। ড্রাগন ফল পেকে গিয়ে যখন লাল রং ধারণ করে তখন এটিকে দেখতে অসাধারণ লাগে। সেই সাথে ড্রাগন ফল খেতে খুবই মিষ্টি এবং সুস্বাদু।ড্রাগন ফল সবদিক থেকেই পুষ্টিগুণে ভরপুর। ড্রাগন ফলে প্রয়োজনীয় এন্টি-অ্যাক্সিডেন্ট রয়েছে যা মানব দেহে সুস্থতার জন্য অপরিহার্য। ড্রাগন ফলটি ফাইবার সমৃদ্ধ ও ফ্যাট ফ্রি। ফ্যাট না থাকার কারণে এই ফলটি নিয়মিত খেলে মানবদেহের চর্বি কমবে এবং সেই সাথে ডায়েট কন্ট্রোল হবে। ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে নিয়মিত ভিটামিন সি খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
ড্রাগন ফল রঙিন হওয়ার কারণে এর মধ্যে অনেক পরিমাণে আইরন রয়েছে নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে মানবদেহের রক্তশূন্যতা দূর হবে। এছাড়াও নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, চোখে ছানি পড়ার ঝুঁকি কমায় এবং দৃষ্টিশক্তি ভালো করে, এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। ড্রাগন ফলের কালো যে বীজ রয়েছে তার মধ্যে ওমেগা থ্রি ও ওমেগা নাইন ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা মানব দেহের হাটের জন্য খুবই উপকারী।
এছাড়াও ড্রাগন ফলের মধ্যে মানবদেহের অনেক উপকারিতা রয়েছে। তাই আমাদের সকলের উচিত নিয়মিত একটি করে ড্রাগন ফল খাওয়া। আমাদের দেশের কিছু অসাধু ড্রাগন চাষিরা অতি লাভের আশায় ড্রাগন ফলের মধ্যে টনিক/হরমোন জাতীয় তরল পদার্থ স্প্রে করে। এই টনিক দেওয়া ফলগুলো মানব দেহের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। তাই আমাদের সকলেরই উচিত এই ধরনের ক্ষতিকারক তরল পদার্থগুলো স্প্রে না করা। প্রাকৃতিক ও অথেনটিক ভাবে ড্রাগন ফল উৎপাদন করা।
প্রিয় বন্ধুগণ, আজকে এ পর্যন্তই। আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
I use for photography and work:
মোবাইল | I phone 12 pro max | ফটোগ্রাফার | @najmulislam10 |
---|---|
লোকেশন | ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা | বাহিরে |