ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারে দ্বিতীয় বারের মতো বাংলাদেশের প্রথম বাণিজ্যিক স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু -১ উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ২টা ১৪ থেকে ৪টা ২১ মিনিটের মধ্যে যেকোনো সময় স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হবে। এরআগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে প্রথম চেষ্টা কারিগরি জটিলতায় আটকে যায়।
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির প্রধান শাহজাহান মাহমুদ শুক্রবার রাতে ফ্লোরিডা থেকে জানান, মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেসএক্স এর পূর্ব ঘোষণা মতই সব এগোচ্ছে।
মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেসএক্স স্যাটেলাইটটি মহাকাশে পাঠানোর কাজ করছে।
তাদের ‘ফ্যালকন-৯’ রকেটে করে বঙ্গবন্ধু-১ যাত্রা শুরু করবে।
এটি নিয়ন্ত্রণ করা হবে বাংলাদেশের গাজীপুর থেকে। এ জন্য গাজীপুরের জয়দেবপুরে তৈরি করা হয়েছে গ্রাউন্ড কন্ট্রোল স্টেশন।
বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিসিএসসিএল) স্যাটেলাইট মহাকাশে কাজ শুরু করার তিন মাসের মধ্যে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। পুঁজিবাজারে এ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ছাড়ার পরিকল্পনার কথাও ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে এসেছে।
বর্তমানে বিদেশি স্যাটেলাইটের ভাড়া বাবদ বাংলাদেশকে গুণতে হয় ১ কোটি ৪০ লাখ ডলার। নিজস্ব উপগ্রহ উৎক্ষেপণের পর বাংলাদেশ সেই নির্ভরশীলতা কাটিয়ে উঠে অর্থ সাশ্রয় করতে পারবে বলে সরকার আশা করছে।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে রয়েছে মোট ৪০টি ট্রান্সপন্ডার। এর ২০টি বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য রাখা হবে এবং বাকি ২০টি ট্রান্সপন্ডার ভাড়া দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে নেপাল, মিয়ানমার ও ভুটানের কাছে স্যাটেলাইট সেবা দিয়ে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা আয়ের সম্ভাবনা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।