মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযানের ঘটনায় প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গার সে দেশে ফিরে যাওয়া প্রায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এই সংকটের সমাধান আপাতত হচ্ছে না বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। তাই বর্তমান পরিস্থিতিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে জোর কূটনৈতিক তৎপরতার বিকল্প নেই বলে সতর্ক করেছেন। অন্যথায় এ সমস্যা বাংলাদেশে ঘাড়ে স্থায়ীভাবে চেপে বসতে পারে বলে মনে করছেন তারা।
গত বছরের ২৫ আগস্ট থেকে রাখাইনে সন্ত্রাস দমনের নামে নৃশংস গণহত্যা শুরু হলে ৬ লাখ ৯০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে সীমান্তসংলগ্ন বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়। এর আগে একই কারণে পালিয়ে আসা আরও প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজারে অবস্থান করছিল। বাংলাদেশের পক্ষে বিপুলসংখ্যক এই শরণার্থীর বোঝা বহন করা অসম্ভব বলে তাদেরকে মিয়ানমারে ফেরাতে দ্রুত দ্বিপক্ষীয় কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু হয়।
রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারকে রাজি করাতে গত বছরের ২৩ অক্টোবর বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল দেশটিতে সফরে যান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ওই সফরে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয় ও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে প্রত্যাবাসন চুক্তি করতেও সম্মত হয়। পরে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে এ বিষয়ক একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।