চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি নেভির সামরিক মহড়ার আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দক্ষিণ চীন সাগরে অস্ত্র ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন করাসহ বিভিন্ন অস্থিতিশীল আচরণের জন্য এভাবে মুখ ফিরিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পেন্টাগন গতকাল বুধবার এমন ঘোষণাই দিয়েছে।
চীন গত জানুয়ারি মাসে প্রশান্ত মহাসাগরে বিশ্বের অন্যতম বড় আন্তর্জাতিক সামরিক মহড়ায় অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের আমন্ত্রণে সাড়া দেওয়ার কথা জানায়।
২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত শেষ মহড়ায় চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি পাঁচটি জাহাজ দিয়েছিল। ২৬ দেশের সেনাবাহিনী এতে অন্তর্ভুক্ত ছিল। ২০১৪ সালে এই মহড়ায় চীন প্রথম অংশ নেয়। সে সময় চীন চারটি জাহাজ পাঠায়। সেই সঙ্গে গুপ্তচরবৃত্তির জন্য আরও একটি জাহাজ ওই মহড়ার এলাকায় পাঠায়।
পেন্টাগনের মুখপাত্র নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল ক্রিস্টোফার লোগান এক বিবৃতিতে জানান, দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের চলমান সেনা মোতায়েনের কারণে এবার পিএলএ নৌবাহিনীকে তাঁরা আমন্ত্রণ জানাননি। তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে জোরালো প্রমাণ আছে, ভিয়েতনাম ও তাইওয়ানের দাবি করা এলাকায় চীন বিমান ও জাহাজবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ও ইলেকট্রনিক জ্যামিং সিস্টেম মোতায়েন করেছে। চীন উডি দ্বীপে বোমারু বিমান স্থাপন করেছে। এতে উত্তেজনা আরও বেড়েছে।
লোগান আরও বলেন, সামরিক বাহিনী মোতায়েনসহ চীনের এসব সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড দেশটির প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের প্রতিশ্রুতি ভাঙার শামিল। যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক মহলের কাছে চিন পিং বিতর্কিত দ্বীপগুলোয় সামরিক কর্মকাণ্ড চালাবেন না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।