World News Bengali 'ব্রাসেলসে পরমাণু চুক্তি নিয়ে ইরানের সঙ্গে তিন দেশের আলোচনা'

in news •  6 years ago 

rashed041.png

ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদর দপ্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে আলোচনার পর ইরানের সঙ্গে সম্পাদিত আন্তর্জাতিক পরমাণু চুক্তির কার্যকারিতা নিয়ে আশা ব্যক্ত করেছেন ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ।

আজ বুধবার ইউরোপের তিন দেশ—যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ২০১৫ সালে সম্পাদিত আন্তর্জাতিক পরমাণু চুক্তির ভবিষ্যৎ কার্যকারিতা নিয়ে আলোচনায় বসেন। এর আগে পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে আসার কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে ব্রাসেলসে এই জরুরি বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। আলোচনার পর ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ বলেন, ‘পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বের হয়ে গেলেও আমরা এই চুক্তি রক্ষা করতে চেষ্টা চালিয়ে যাব। তবে এই চুক্তির ভাগ্য নির্ভর করছে আগামী দিনে আমাদের পারস্পরিক আলোচনার সাফল্যের ওপর।’ ইরানের সঙ্গে ইউরোপীয় দেশগুলোর অর্থনৈতিক সম্পর্ক যেন আবারও কোনো সংকটে না পড়ে, সে বিষয়ে গ্যারান্টির বিষয়ে তিনি কথা বলেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তাবিষয়ক প্রধান ফেদেরিকা মোঘেরিনি জানিয়েছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা চুক্তিটির সমাধান করার জন্য আরও আলোচনা করবেন। এ বিষয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার জন্য একটি খসড়া তৈরি করা হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এ বিষয়ে সমাধান খোঁজার জন্য একমত হয়েছেন। ইউরোপীয় দেশগুলো ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক লেনদেন বজায় রাখার এবং ইরানি তেল রপ্তানি ও ইউরোপীয় ব্যাংকগুলোতে রপ্তানি খাতের লেনদেন অব্যাহত রাখতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।

২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে সম্পাদিত আন্তর্জাতিক পরমাণু চুক্তি থেকে ৮ মে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণার পর থেকে ইউরোপের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সংকটময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ইউরোপীয় দেশগুলো আন্তর্জাতিক পরমাণু চুক্তিটি বহাল রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে ইউরোপীয় দেশগুলোর সুস্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়ে ইরান ৬০ দিন সময় বেঁধে দিয়েছে।

নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশ চীন, রাশিয়া, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন দীর্ঘ আলোচনার পরই ইরানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক পরমাণু চুক্তিটি হয়েছিল। এই চুক্তির পরপরই ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিশ্বের অনেক দেশ ইরানের ওপর অর্পিত নানা অর্থনৈতিক অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয় এবং দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক লেনদেন চালু করে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার ঘোষণার পর থেকেই ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা ইউরোপের বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে ইরান থেকে ব্যবসা গুটিয়ে ফেলার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। অন্যথায় এসব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে অন্তরায় সৃষ্টি করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

ব্রাসেলসে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের নিজেদের রাজনীতিকে অন্যদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি পরমাণু চুক্তিটির সঙ্গে অন্য যেসব দেশ জড়িয়ে রয়েছে, তারা যেন চুক্তি মোতাবেক তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারে, সে ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রকে সজাগ হতে বলেছেন।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!