পাকিস্তানের আরব সাগরে ভয়ঙ্কর ক্রজ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা

in news •  7 years ago 

পাকিস্তান নৌসেনা উত্তর আরব সাগরে ক্রুজ মিসাইল পরীক্ষা করা হল । হিম্মত থেকে এটি ছোঁড়া হয়। শক্তি প্রদর্শন করার জন্যই পাকিস্তান এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায় বলে মনে করা হচ্ছে। অস্ত্রের নাম হারবা নাভেল ক্রুজ মিসাইল।
এটি সারফেস-টু-সারফেস অ্যান্টি শিপ মিসাইল। এটি শুধু সমুদ্রে নয়, স্থলেও আঘাত হানতে পারে।
পিএনএস হিম্মতের দৈর্ঘ্য ৬৩ মিটার লম্বা।বিকালে ক্রুজ মিসাইলটি সফলভাবে এটি ছোঁড়া হয়। নাভাল স্টাফ চিফ অ্যাডমিরাল জাফর মহেমুদ আব্বাসি একথা জানিয়েছেন দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এটি একটি বড় রকম কৃতিত্ব। হারবা ক্রুজ মিসাইল পরীক্ষার পর পাকিস্তান নৌ দফতর স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে। পাকিস্তানের জাতীয় সুরক্ষার জন্য এটি জরুরি ছিল বলে মন্তব্য করেছেন আব্বাসি।
পাকিস্তানে নিরাপত্তা সহযোগিতা বন্ধের ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের পাকিস্তানে নিরাপত্তা সহযোগিতা বন্ধ করার কথা ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সন্ত্রাসীদের 'স্বর্গরাজ্য' বলে টুইটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কটাক্ষের পর এবার পাকিস্তানে মার্কিন নিরাপত্তা সহায়তা বন্ধের ঘোষণা এলো। এ নিয়ে দুই দেশের কয়েকদিনের বাক বিতণ্ডার পর স্টেট ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে সহায়তা বন্ধের বিষয় নিশ্চিত করা হয়।
পাকিস্তানে তৎপর কথিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আফগান তালেবান এবং হাক্কানী মিশনের তৎপরতা বন্ধে দেশটির ব্যর্থতার ফলেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়।
আভাস মিলেছিল এ বছরের একেবারের প্রথম দিনেই, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি টুইট বার্তায়। এবার এলো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। নিজ দেশে সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধে ব্যর্থ হওয়ায় এবার প্রায় সব ধরনের মার্কিন নিরাপত্তা সহায়তা বন্ধ করা হলো।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ক্কানী নেটওয়ার্ক এবং আফগান তালেবান গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে পাকিস্তানের ব্যবস্থা না নেয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র হিদার নুরেট সংবাদ মাধ্যমকে বিষয়টির ব্যাখ্যা দেন।
নুরেট বলছেন যে, " আজ নিশ্চিত করে বলতে চাই যে আমরা পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা, দুঃখিত- নিরাপত্তা সহায়তা বন্ধ করছি।
যতদিন পর্যন্ত না দেশটির সরকার তাদের দেশে তৎপর আফগান তালেবান গোষ্ঠী ও হাক্কানী গ্রুপের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নেবে। তারা এই অঞ্চলটিকে অস্থিতিশীল করছে এবং মার্কিন নাগরিকদের টার্গেট করে আসছে। এ জন্যেই পাকিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রে নিরাপত্তা সহায়তা বন্ধ রাখা হবে।"
যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তে মিত্র হিসেবে পরিচিত পাকিস্তানের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি বড় আঘাত। তবে আফগানিস্তান এবং ভারত প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপের। কেবল মাত্র চীন এ বিষয়ে পাকিস্তানের পক্ষে রয়েছে।
এর আগে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রতারণার আশ্রয়, সন্ত্রাস দমনে ব্যর্থতা ও তালেবানদের আশ্রয় দেবার অভিযোগে সাহায্য বন্ধ করে দেবার হুমকি দিয়ে টুইট করেছিলেন ট্রাম্প।
সেখানে তিনি লিখেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র ১৫ বছর ধরে বোকার মতো পাকিস্তানে ৩৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ সাহায্য দিয়ে এসেছে। যার বিনিময়ে তারা কিছুই পায়নি।
অবশ্য এর আগেই ট্রাম্প প্রশাসন পাকিস্তানে ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ সহায়তা পাঠাতে দেরী হবে বলে জানিয়েছিল।
যদিও স্টেট ডিপার্টমেন্টের বক্তব্যে নুরেট ডলারের হিসেবে ঠিক কত পরিমাণ নিরাপত্তা সহায়তা বন্ধ রাখা হচ্ছে তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!