আমি নিত্যানন্দ পাহাড় ।
এই ব্লগে আমি প্রথম আর এটাই আমার আজকের প্রথম পোস্ট।
কেমন হলো আপনারা নিচের কমেন্ট বক্সে আমাকে জানাবেন।
১৯৫৯ সাল। চেনা সেনাপ্রধান নির্দেশ দিলেন গুলি করে মারো তিব্বতীদের। আনুমানিক 10000 তিব্বতির মৃত্যু হয়েছিল। তিব্বত রক্ত স্নাত হয়েছিল। এত বিষন্ন নিশ্চুপ সূর্যাস্ত বোধহয় তিব্বতে এর আগে কখনো হয়নি।
তিব্বত অনেক আগে থেকেই বৌদ্ধদের ধর্ম আচারণে স্থান ছিল তারা কুড়ি শতকের আগে থেকেই স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে নিজেদের আত্মপ্রকাশ করার চেষ্টা করেছিল। একটা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে নিজেদের আত্মপ্রকাশ করার জন্য যা যা দরকার সবই ছিল তিব্বতিদের ।তাদের একটা আলাদা ধরনের কালচার ,লেখার ভাষা এবং একটা অন্যরকম রাজনৈতিক ব্যবস্থা ছিল যা ছিল কয়েক শতক ধরে। তাদের জাতীয় পতাকা, টাকা, নিজস্ব স্টাম্প ও ছিল। ১৯৫০সালে চীন তিব্বত আক্রমণ করার পরিকল্পনা করে। কারণ হিসেবে তারা বলে যে ৮০০ বছর আগে তিব্বত চীনের অংশ ছিল তাই তিব্বতকে চীনের অংশ হিসেবেই থাকতে হবে। তিব্বত কে কখনোই স্বাধীনতার মর্যাদা চীন দেবে না।
তিব্বত এর আগেও অনেকবার বাইরের শক্তি দ্বারা আক্রমণিত হয়েছিল। ব্রিটেন, মঙ্গল এবং তার সাথে চীনের দারা ও আক্রান্ত হয়েছিল।
প্রেসিডেন্ট তখন মাও যে দং যিনি একটা নতুন চীন দেশের জন্ম দিয়েছিলেন। তিনি প্রেসিডেন্ট হয়ে দেশের হাল ধরার পরে চীনকে রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধের হাত থেকে একটা নতুন পরিচয় রিপাবলিক অফ চায়না দিয়েছিলেন। এবং সেই সাথে চীনের থেকে যেসব অঞ্চলগুলো বাইরে চলে গেছিল তিনি তাদেরকে আবার একত্রে নিয়ে আসার জন্য উদ্যোগী হন। তিব্বত ৮০০ বছর আগে নাকি চীনেরই অংশ ছিল। তাই তিব্বত যখন নিজেদেরকে স্বাধীন রাষ্ট্র বলে ঘোষণা করতে চলে তখনই চীন তাদেরকে বাধা দেয় এবং তাদের সাথে একটা চুক্তিতে আসতে চায়। যা seventeen point agreement নামে পরিচিত। এই চুক্তি অনুযায়ী চীনরা তিব্বতে বৌদ্ধদেরকে সম্মান করবে এবং তিব্বতিরা নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী তিব্বত শাসন করতে পারবে এর বিনিময়ে তিব্বতে
চীন মিলিটারি বেস তৈরি করার অধিকার এবং বৈদেশিক সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণের অধিকার পাবে।
কিন্তু চীন তাদের কোন কথা রাখে না তারা তিব্বতিদের নেতাদের হাতের পুতুল বানিয়ে রেখে দেয় তাদের যে স্বাধীন শাসনের চুক্তি হয়েছিল তা তারা মানে না। তিব্বতে শাসনকর্তা নিযুক্ত হতো চীনের পছন্দ মত ।এর ফলে তিব্বতের সমস্ত কিছুই চীন নিয়ন্ত্রণ করা শুরু করে। ধীরে ধীরে তিব্বতিরা অসহিষ্ণু হয়ে ওঠে চীনের এই অত্যাচারে।