আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 148

in photography •  2 days ago 
আসসালামুআলাইকুম

'দেখি। এর সঙ্গে তো আলাপ নেই।'
'না।'
'এর নাম তিতির। বিভাসবাবুর আবিষ্কার। আর এ হচ্ছে টিনা। এখন বাংলা সিরিয়াল মানেই
'ধ্যাৎ।' টিনা হাত নাড়ল, 'তা হলে ওই কথা রইল। আমি ফোন করব।' টিনা চলে গেলে জৎদা ঘরে ঢুকল আর তখনই তিতিরের ডাক পড়ল। টনি এসে বলল, 'চলুন দিদি, লাইট রেডি।'
ফ্লোরে পৌঁছে তিতির দেখল অশোক আর একটি ছেলেকে সংলাপ পড়াচ্ছে। অপেক্ষা করল তিতির। অশোক শেষ করে চেঁচিয়ে বলল, 'অল লাইটস। প্রথমে একটা মনিটর নেব। তিতির, তুমি এখানে দাঁড়াও। ওই যেখানে পল্লব এসে তোমাকে প্রস্তাব দিচ্ছে। মনে আছে?'
তিতির মাথা নাড়ল। তারপর অশোকের দেখানো জায়গায় গিয়ে দাঁড়াল। যে ছেলেটি পল্লব করছে সে হঠাৎ বলল, 'অশোকদা, এটা কী হল? এই ভদ্রমহিলার সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেবেন না?'
অশোক বলল, 'ওহো! এ হল তিতির, আর এর নাম কৌশিক।'
কৌশিক হাত বাড়াল, 'প্ল্যাড টু মিট ইউ।'
বারো
বাড়ানো হাত স্পর্শ না করাটা এই মুহূর্তে অভদ্রতা। তিতির হাত বাড়াতেই কৌশিক আঙুল স্পর্শ করেই ছেড়ে দিল, 'নমস্কার। আমি আপনার কাজের প্রশংসা শুনেছি। নতুন বলে কেউ নাকি ভাবতে পারছে না।'
তিতির বুঝতে পারছিল না এই রকম সময়ে কী বলা উচিত। অশোক বলল, 'এর মধ্যে তুমি
প্রশংসাও শুনে ফেললে কৌশিক। ও তো সবে স্টুডিয়োতে পা দিয়েছে।' কৌশিক বলল, 'প্রশংসা বা নিন্দে টাটকা টাটকা ছড়িয়ে পড়ে।'

1734673993349.jpg

For work I use:


মোবাইল
Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার
@taskiaakther
লোকেশন
ঢাকা, বাংলাদেশ
ছবি তোলা
বাহিরে

অশোক বলল, 'যাক গে। যাও, শুরু করো।'
কৌশিক বলল, 'একবার রিহার্সাল দিলে ভাল হত না?'
অশোক থমকে গেল, 'কনফিডেন্স পাচ্ছ না?'
'আমার জন্য বলছি না। ইনি নতুন!' কৌশিক বলল।
'ওর কথা ভেবো না বলো, শুরু করো, মনিটার।'
সংলাপগুলো এরকম লেখা ছিল-!
কৌশিক: এসো। কেমন আছ বলো।
তিতির: আছি!
কৌশিক: এই শব্দটার মধ্যে হতাশার সুর পাচ্ছি।
তিতির: মোটেই নয়। আমি হতাশাবাদী নই।
কৌশিক: তাই?
তিতির: আমায় ডেকেছ কেন?
কৌশিক: হ্যাঁ, সে কথাটাই কীভাবে বলব বুঝতে পারছি না।

1734673993376.jpg

For work I use:


মোবাইল
Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার
@taskiaakther
লোকেশন
ঢাকা, বাংলাদেশ
ছবি তোলা
বাহিরে

তিতির: বুঝতে না পারলে বলার দরকার কী!
কৌশিক: বেশ, সরাসরি বলি, আমার জীবনে আমি তোমাকে চাই।
এটা শোনার পর তিতির চিত্রনাট্য অনুযায়ী মুখ নামাবে এবং বলবে, 'আমাকে ভাবতে হবে।'
মনিটার তো রিহার্সালই তবে আলো জ্বেলে ক্যামেরাতে দেখা হয়, শুধু ছবি তোলা হয় না। বলা যায় ক্যামেরার চোখে রিহার্সাল। এই অংশটুকুতে অভিনয় করতে গিয়ে কৌশিক তিনবার সংলাপে হোঁচট খেল, দু'বার ভুল বলল। অশোক হাসিমুখে ওকে উৎসাহ দিচ্ছিল। তিতিরের ভুল হচ্ছে না দেখে কৌশিক জিজ্ঞাসা করল: 'কী ব্যাপার? আপনি দেখছি খুব ভাল মুখস্থ করতে পারেন।'
যখন ফাইনাল টেক শুরু হল তখন তিতির বুঝতে পারল এতক্ষণ রিহার্সালে নিজেকে তৈরি করার সময়ে কৌশিক যে ভাবে সংলাপ বলছিল তার থেকে অনেক ভাল বলছে, অভিনয় করছে, একবারেই নির্ভুল হল দৃশ্যটি। অশোক খুশি হল। আলো নেভাতে বলে কাছে এল, 'কৌশিক, তুমি কিন্তু একদম হোমওয়ার্ক করছ না। একটু সময় দিলেই তুমি যে ভাল কাজ করতে পারো তা নিজেও জান।'

ধন্যবাদ।আল্লাহ হাফেজ।
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...