'হ্যাঁ। আমাদের হাতে বেশি সময় নেই কিন্তু মনে হচ্ছে ভেনু পালটাতে হবে। হেড অফিস চাইছে ওটা তাজে হোক।'
ব্যাগ খুলে ছোট প্যাড বের করে নোট করল রঞ্জনা, 'তারপর?' করে
'স্বাভাবিক ভাবেই অতিথিদের তাজে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। এক হোটেল থেকে আর এক হোটেলে রোজ যাতায়াত করার কোনও মানে হয় না।' নবীন দত্ত একটা কাগজ দেখে কথাগুলো বললেন।
রঞ্জনা নোট নিয়ে বলল, 'এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে ওই সময়ে তাজে কতটা জায়গা পাওয়া যাবে তার ওপর।'
'পাওয়া যাবে। আমি একটু আগে খোঁজ নিয়েছি।'
'তা হলে কোনও সমস্যা হবে না।'
'আর ইউ শিওর?'
'সমস্যার সমাধান করাই তো আমাদের কাজ।'
'গুড! আপনার মতো এত দৃঢ় গলায় কথা বলতে খুব কম মহিলাকে দেখেছি।' নবীন দত্তের কথা বলার মধ্যেই দরজায় শব্দ হল। কথা শেষ করে তিনি আসতে বললে বেয়ারা কফির ট্রে নিয়ে ঢুকল। পট, কফি, চিনি আলাদা রয়েছে, বেয়ারাকে বিদায় করে নবীন নিজে কফি বানালেন, 'চিনি?'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
'নর্মাল।'
'গুড। আপনি তা হলে অতিরিক্ত স্বাস্থ্যসচেতন সম্প্রদায়ের মধ্যে পড়েন না। কফির কাপ এগিয়ে দিলেন ভদ্রলোক। সেটা নিয়ে সামনে রেখে রঞ্জনা বলল, 'হ্যাঁ, এই যে পরিবর্তনটা আপনারা চাইছেন তা কি আজ লিখিতবাবে পেতে পারি?'
'কী ব্যাপারে বলুন তো?' নবীন যেন বুঝতে পারলেন না।
'তাজে শিফট করার ব্যাপারটা।'
'ও হ্যাঁ। সরি, আমি বুঝতে পারিনি আপনি এখনও কাজের মধ্যেই আছেন।'
'সেই কারণেই তো আমার এখানে আসা ।' কফির কাপ তুলে নিল রঞ্জনা।
'ঠিক আছে। আপনি চাইলে আমি দিয়ে দিচ্ছি।'
'এর পরের ব্যাপারগুলো নিয়ে কথা বলি। সেমিনার হল কীভাবে সাজানো হবে তা আপনারা অ্যাপ্রুভ করেছেন। কিনতু গেস্টদের লিস্ট আমরা এখনও পাইনি। ওটা অন্তত ওঁরা আসার দু'দিন। আগে পাওয়া দরকার।'
'অফকোর্স।'
'এয়ারপোর্ট টু এয়ারপোর্ট যাতায়াতের জন্যে আপনারা কী গাড়ি চাইছেন?'
'অ্যাট লিস্ট এস্টিম।'
'ঠিক আছে। গেস্টদের বিশেষ খাবার পছন্দ থাকলে সেটাও দু'দিন আগে জানানো দরকার।
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
আমরা তা হলে তৈরি থাকতে পারব।'
'এটা নিয়ে না ভাবাই বোধ হয় ঠিক। আমি বাঙালি, বেজিং-এ গেলে নিশ্চয়ই ডালভাত খেতে চাইব না, চাইনিজ পছন্দ করব। আর তাজে যে সব খাবার পাওয়া যায় তা মোটামুটি আন্তর্জাতিক। গেস্টরা নিশ্চয়ই সেটা মেনে নেবেন।' নবীন বললেন।
কফি শেষ করল রঞ্জনা। তারপর বলল, 'আপনার চিঠিটা পেলে আমরা রিভাইজড বাজেট পাঠিয়ে দেব। আমি কি চিঠিটার জন্যে অপেক্ষা করব?'
হাঁ হয়ে গেলেন নবীন। কিন্তু চট করে নিজেকে সামলে নিলেন ভদ্রলোক, 'এখন বাজেট বাড়াতে চাইলে হেড অফিস রাজি হবে বলে মনে হয় না। একবার ওটা অ্যাপ্রুভ হয়ে যাওয়ার পর সেটা সম্ভব নয়।'
'তা হলে এই চেঞ্জগুলোর কথা ভাবা যাবে না।'
'কেন?'
'আপনার হেড অফিস যে যে ফেসিলিটিস পাবে বলে বাজেট অ্যাপ্রুভ করেছিল আমরা তা থেকে সরে আসব কী করে?'
'দেখুন, যখন ওরা এটা অ্যাপ্রুভ করেছিল তখন আমি বাইরে ছিলাম, কিন্তু আমার শহরে কনফারেন্স হবে এবং বেস্ট জিনিসটা দিতে পারব না, তা কি হয়?'
'হওয়া উচিত নয়। এতে আপনার সম্মানের প্রশ্ন জড়িয়ে আছে।' রঞ্জনা মাথা নাড়ল।