☘️ থানকুনি ☘️
থানকুনি পরিচিত ভেষজ উদ্ভিদ। অঞ্চলভেদে এটি টাকা পাতা, টেয়া, মানকি, তিতুরা, আদামনি, ঢোলামানি, থুলকুড়ি, মানামানি, ধুলাবেগুন, আদাগুণগুণি নামেও ডাকে। ইংরেজি নাম Indian Pennywort. শাক বলুন বা পাতা, উপকারিতার কারণেই থানকুনি একটি পরিচিত নাম।
স্বাদটা একটু তিতকুটে। তবে কার্যকরণ বেশ উপকারী। অসংখ্য রোগের উপশম মেলে এই থানকুনি পাতায়। চলুন জেনে নিই, থানকুনি পাতার কিছু জাদুকরি দিক—
১. বেগুন/পেঁপের সাথে থানকুনি পাতা মিশিয়ে রান্না করে এক মাস খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।
২. থানকুনি পাতার রস ১ চামচ ও শিউলি পাতার রস ১ চামচ মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খেলে জ্বর প্রতিরোধ করবে।
৩. অল্প পরিমাণ আম গাছের ছাল, আনারসের কচি পাতা ১টি, কাঁচা হলুদের রস, ৪/৫ টি থানকুনি গাছের শিকড়সহ ভালো করে ধুয়ে একত্রে বেটে রস করে খালি পেটে খেলে পেটের অসুখ ভালো হয়। ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এটা বেশি কার্যকর।
৪. আধা কেজি দুধে ২৫০ গ্রাম মিশ্রি ও ১৭৫ গ্রাম থানকুনি পাতার রস একত্রে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে ১ সপ্তাহ খেলে গ্যাস্ট্রিক ভালো হয়।
৫. ২ চামচ থানকুনির রস সামান্য চিনিসহ খেলে সঙ্গে সঙ্গে খুসখুসে কাশিতে উপকার পাওয়া যায়। ১ সপ্তাহ খেলে পুরোপুরি ভালো হয়ে যাবে।
৬. প্রতিদিন সকালে খালিপেটে ৪ চা চামচ থানকুনি পাতার রস ও ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে ৭ দিন খেলে রক্তদূষণ দূর হয়।
৭. যেসব বাচ্চা কথা বলতে দেরি করে অথবা অস্পষ্ট, সে ক্ষেত্রে ১ চামচ করে থানকুনি পাতার রস গরম করে ঠাণ্ডা হলে ২০/২৫ ফোঁটা মধু মিশিয়ে ঠাণ্ডা দুধের সাথে কিছুদিন খাওয়ালে উপকার পাওয়া যায়।
৮. প্রতিদিন সকালে ৫/৭টি থানকুনি পাতা চিবিয়ে ৭ দিন খেলে আমাশয় ভালো হয়। থানকুনি পাতা বেটে পাতার রসের সাথে চিনি মিশিয়ে দুই চামচ দিনে দুই বার খেলে আমাশয় ভালো হয়।
৯. থানকুনি পাতা বেটে গরম ভাতের সাথে খেলে পেটব্যথা ভালো হয়।
১০. প্রতিদিন সকালে থানকুনির রস ১ চামচ, ৫/৬ ফোঁটা হলুদের রস সামান্য চিনি ও মধুসহ ১ মাস খেলে লিভারের সমস্যা ভালো হয়।
১১. যদি মুখ মলিন হয়, লাবণ্যতা কমে যায় তবে ৫-৬ চা চামচ থানকুনি পাতার রস দুধ দিয়ে খেতে হবে। নিয়মিত করলে উপকার পাবেন।
১২. কোথাও থেঁতলে গেলে থানকুনি গাছ বেটে অল্প গরম করে আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে প্রলেপ দিলে উপকার পাবেন।
১৩. থানকুনি পাতা বেটে ঘিয়ের সঙ্গে জ্বাল দিয়ে ঠাণ্ডা করে তা ক্ষত স্থানে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
১৪. অপুষ্টি ও ভিটামিনের অভাবে চুল পড়ে গেলে পুষ্টিকর ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবারের পাশাপাশি ৫-৬ চা চামচ থানকুনি পাতার রস দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে।
১৬. মলের সঙ্গে শ্লেষ্মা গেলে, মল পরিষ্কারভাবে না হলে, পেটে গ্যাস হলে, কোনো কোনো সময় মাথা ধরা এসব ক্ষেত্রে ৩-৪ চা চামচ থানকুনি পাতার গরম রস ও সমপরিমাণ গরুর কাঁচা দুধ মিশিয়ে খেতে হবে। নিয়মিত খেলে উপকার পাবেন।
১৭. ঠাণ্ডায় নাক বন্ধ হলে, সর্দি হলে থানকুনির শিকড় ও ডাটার মিহি গুঁড়ার নস্যি নিলে উপকার পাওয়া যায়।
আমাদের ছাদ বা বারান্দা বাগানের টবে বিভিন্ন বড় গাছের গোড়ায় অনায়াসেই থানকুনি লাগাতে পারি, তবে একক টবে হলে ভালো হয় কেননা একটু স্যাতসেতে/ভেজা মাটিতে থানকুনি ভালো হয়
তথ্যসুত্র : শেয়ারনিউজ; ২৪ জুলাই ২০১৮ ও ছবি : ইন্টারনেট থেকে সংগৃহিত
Hi! I am a robot. I just upvoted you! I found similar content that readers might be interested in:
https://www.tipsneed.com/article/5945
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
This post has received a 0.52 % upvote from @drotto thanks to: @wonderboy3e.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit