প্রিএকলামসিয়া – বাসায় চিকিৎসা

in preeclampsia •  6 years ago 

রক্তদূষণ(টকজেমিয়া) – স্বচিকিৎসা; পিআইএইচ - স্বচিকিৎসা; গর্ভাবস্থার জন্য উচ্চরক্তচাপ - স্বচিকিৎসা

বর্ণনা
প্রিএকলামসিয়া হল গর্ভাবস্থার ২০তম সপ্তাহ পর উচ্চরক্তচাপ এবং প্রস্রাবে প্রোটিন(আমিষ) থাকা। এটি মৃদু বা মারাত্মক হতে পারে, কিন্তু একমাত্র চিকিৎসা হল বাচ্চা প্রসব করা।

কি প্রত্যাশা

যদি আপনি ৩৭ সপ্তাহ পার করে ফেলেন এবং আপনার রক্তচাপ যদি মোটামুটি বেশি থাকে, তাহলে আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী আপনাকে আগেই ডেলিভারি করার পরামর্শ দিবেন। তাহলে পরিকল্পিত প্রস্রব(লেবার) শুরু করার জন্য ওষুধ খাওয়া লাগতে পারে অথবা অস্ত্র পাচারের মাধ্যমে জন্ম (সি-সেকশন) করা লাগতে পারে।
যদি আপনার গর্ভাবস্থা ৩৭ সপ্তাহের কম হয়, তাহলে উদ্দেশ্য থাকবে আপনার গর্ভাবস্থা যত দিন সম্ভব ও নিরাপদ তত দিন চালিয়ে যাওয়া। এটি আপনার গর্ভের শিশুকে বেড়ে উঠতে সময় দিবে।
• যদি আপনার প্রিএকলামসিয়া মারাত্মক পর্যায়ের হয়, তাহলে আপনাকে কাছাকাছি পর্যবেক্ষণের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হওয়া লাগতে পারে।
• যদি আপনার প্রিএকলামসিয়া মৃদু হয়, তাহলে আপনি বাড়িতে বিছানায় বিশ্রামরত অবস্থায় থাকতে পারেন। কিন্তু আপনাকে সবসময়ই দেখানো লাগবে এবং পরীক্ষা করাতে হবে।

বাড়িতে বিশ্রাম এবং স্বচিকিৎসা

যখন আপনি বাড়িতে থাকবেন, তখন আপনার ডাক্তার আপনাকে শারিরিক পরিশ্রম কমাতে বলবেন।
আপনার স্বাস্থ্যসেবা কর্মী আপনাকে বলে দিবে দিনে কতটুকু তরল জাতীয় বা পানি পান করবেন এবং আপনার খাদ্য তালিকায় আর কি কি পরিবর্তন করতে হবে। আপনাকে খাবারে লবণের পরিমান কমানো লাগতে পারে।
আপনাকে রক্তচাপ কমানোর জন্য ওষুধ খাওয়া লাগতে পারে। এইসব ওষুধ আপনার ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন।
ডাক্তারের সাথে কথা না বলে আলাদা কোন ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, অ্যাস্পিরিন, বা অন্য কোন ওষুধ খাবেন না।
প্রায়ই, যেসকল মহিলাদের প্রিএকলামসিয়া থাকে তারা অসুস্থবোধ করে না বা কোন লক্ষন দেখায় না। কিন্তু তারপরও আপনি এবং আপনার বাচ্চা ঝুঁকির মধ্যে থাকতে পারেন। নিজেকে ও নিজের বাচ্চাকে সুস্থ্য রাখার জন্য আপনাকে বিছানায় বিশ্রামরত থাকতে হবে। আপনার অস্বস্তিবোধ এবং ক্লান্ত লাগতে পারে, কিন্তু বিছানায় বিশ্রাম নেওয়ার অভ্যাস হয়ে গেলে আর কষ্ট লাগবে না।

প্রিএকলামসিয়ার ঝুঁকি

যদি আপনার প্রিএকলামসিয়া থাকে তাহলে তা আপনার এবং আপনার বাচ্চার দুইজনের জন্যই ঝুঁকিপূর্ণ :
• মায়ের কিডনি নষ্ট, খিঁচুনি, স্ট্রোক, বা লিভারে রক্তক্ষরণ হতে পারে
• নবজাতক শিশুটি খুবই ছোট হয়ে জন্মাতে পারে (বৃদ্ধি সীমাবধতা), এবং প্লাসেন্টা (অমরা) জরায়ু থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার এবং মৃত অবস্থায় জন্মের ঝুঁকি বেশি থাকে।

আপনি ও আপনার বাচ্চার পর্যবেক্ষণ

যখন আপনি বাড়িতে থাকবেন, তখন আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী আপনাকে বলতে পারে :
• আপনার রক্তচাপ মাপার জন্য
• কতটুকু পানি পান করেন তা খেয়াল রাখার জন্য
• ওজন ঠিক রাখা
• কত বার আপনার গর্ভের শিশুটি নড়াচড়া করে ও লাথি দেয় তা খেয়াল রাখা

আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী আপনাকে বলে দিবে এগুলো কিভাবে করতে হয়।

আপনাকে বার বার আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে দেখা করতে হবে আপনার ও আপনার বাচ্চার সুস্থতা নিশিত করার জন্য আপনার উচিত:
• সপ্তাহে এক বা তার অধিকবার আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে দেখা করা
• আপনার বাচ্চার পরিমাপ ও নড়াচড়া দেখার জন্য এবং বাচ্চার চারপাশের তরলের জন্য আলট্রাসাউন্ড করা
• বাচ্চাটি কেমন আছে তা জানার জন্য একটি ক্লান্তিহীন পরীক্ষা
• রক্ত এবং প্রস্রাব পরীক্ষা করা

কখন ডাক্তারের শরনাপন্ন হবেন

আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে জলদি যোগাযোগ করুন যদি আপনার :
• হাত, পা, বা চোখ ফুলে যায়
• হঠাৎ করে ১ বা ২ দিনের মধ্যে ওজন বেড়ে গেলে, অথবা এক সপ্তাহের মধ্যে যদি ২ পাউন্ডের চেয়ে বেশি ওজন বেরে যায়
• মাথা ব্যথা থাকলে যেটি সহজেই কমে না বা আরও বেশি খারাপ হয়
• ঠিক সময়মত প্রস্রাব না হলে
• বমি বমি ভাব থাকলে এবং বমি হলে
• দৃষ্টিশক্তিতে পরিবর্তন হলে, যেমন আপনি কিছু সময় ধরে দেখতে না পারলে, আলোর ঝলকানি বা বিন্দু বিন্দু দেখলে, আলোর প্রতি সংবেদনশীল হলে, বা ঝাপসা দেখলে
• মাথা হাল্কা হাল্কা লাগ্লে অথবা অজ্ঞান হলে
• পাঁজরের নিচের পেটে ব্যথা করলে
• ডান কাঁধে ব্যথা করলে
• শ্বাস নিতে কষ্ট হলে
• ত্বক নিম্নস্থে সহজেই রক্তক্ষরণ হলে

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!