২০২৪ সালের বাংলাদেশের কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলন একটি জটিল এবং তীব্র সামাজিক ও রাজনৈতিক ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ছাত্র আন্দোলন শুরু হয় প্রধানত সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কোটা প্রথার বিরুদ্ধে, যেখানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা বরাদ্দ ছিল।
আন্দোলনের ফলে দেশজুড়ে বিশাল বিক্ষোভ এবং সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়, যার ফলে অনেক মৃত্যু ও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
আন্দোলনের নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের পদত্যাগ দাবি করেন, কারণ তারা আন্দোলনকারীদের উপর সহিংস হামলার জন্য দায়ী ছিলেন বলে মনে করেন।
আন্দোলনের এক পর্যায়ে দেশজুড়ে কারফিউ এবং ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট আরোপ করা হয়, যার ফলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা এবং দেশের অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়।
আন্দোলনকারীরা প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সাথে সংলাপের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে এবং তার পদত্যাগ দাবি করে।
আন্দোলনের ফলে সরকারের কিছু পরিবর্তন আনা হলেও, ছাত্ররা তাদের পূর্ণ দাবিসমূহ না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছে। এর ফলে দেশে এক অস্থির পরিস্থিতি বিরাজ করছে।