এইমাত্র পাওয়া তাজা খবর
ঢাকাঃ সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের দৈনিক ভাতা, ভ্রমণ ভাতা ও বদলিজনিত ভ্রমণ ভাতা বিল দাখিল সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কিলোমিটার প্রতি ভ্রমণ ভাতা পুনঃনির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে।
পরিপত্রে বলা হয়, অর্থ বিভাগ থেকে ২০২২ সালের ১৪ জুলাই জারিকরা প্রজ্ঞাপনে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দৈনিক ভাতা, ভ্রমণ ভাতা ও বদলিজনিত ভ্রমণ ভাতা পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। যা একই বছর ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর করা হয়েছে।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, বিমানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের ২০২২ সালের ১৪ জুলাই জারিকৃত প্রজ্ঞাপনের ৭৮ নং নির্দেশনা অনুযায়ী, ভ্রমণ শুরুর স্থান থেকে গন্তব্যস্থলের দূরত্ব পর্যন্ত বিমানযোগে ভ্রমণের জন্য নির্ধারিত হার প্রযোজ্য হবে। প্রসঙ্গত, গত ৩১ মে অর্থ বিভগ-এর এক প্রজ্ঞাপনে পরবর্তী আদেশ না- দেওয়া পর্যন্ত সরকারি খরচে আকাশ পথে বিদেশে প্রথম শ্রেণিতে ভ্রমণ স্থগিত রাখা হয়েছে।
পরিপত্র অনুযায়ী, ক্যাটাগরি-২-এর আওতাভুক্ত কর্মচারীরা ১৯৯ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রতি কিলোমিটার ১৫ টাকা এবং ১৯৯ কিলোমিটার-পরবর্তী প্রতি কিলোমিটার ১২ টাকা হারে ভ্রমণ-ভাতা পাবেন। আর ক্যাটাগরি ৩ ও ৪-এর আওতাভুক্ত কর্মচারীরা ১৯৯ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রতি কিলোমিটার ৮ টাকা এবং ১৯৯ কিলোমিটার-পরবর্তী প্রতি কিলোমিটার ৬ টাকা হারে ভ্রমণ-ভাতা পাবেন।
এতে বলা হয়েছে, যেকোনো ভ্রমণের জন্য অগ্রীম গ্রহণ ও সমন্বয়ের ক্ষেত্রে অন-লাইন সিস্টেম কার্যকর হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে বিল দাখিল করা যাবে এবং একই উপজেলার অভ্যন্তরে ৮ কিলোমিটারের অধিক দূরত্ব ভ্রমণের ক্ষেত্রে অন-লাইন সিস্টেম কার্যকর হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে বিল দাখিল চলমান থাকবে।
পরিপত্রে বলা হয়, মন্ত্রণালয়, বিভাগের সচিব, সিনিয়র সচিব, সামরিক বাহিনীর মেজর জেনারেল ও তদুর্ধ্ব কর্মকর্তা এবং অধঃতন আদালতের জেলা জজ পদ মর্যাদার কর্মকর্তা ছাড়া সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ট্যুরের ডায়রি নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে।
উল্লেখ্য, গত বছর বেসামরিক প্রশাসনের আওতাধীন দেশের সকল সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের দৈনিক ভাতা, ভ্রমণ ভাতা ও বদলিজনিত ভ্রমণ ভাতার হার পুনঃনির্ধারণ করেছে সরকার। ভাতার পরিমাণ বা হার নির্ধারণে ১ম গ্রেড থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মকর্তা- কর্মচারিদের চারটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ক্যাটাগরি-১-এর আওতায় রয়েছেন ১ম থেকে পঞ্চম গ্রেডের কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা; ক্যাটাগরি-২-এর আওতায় ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম গ্রেডভুক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারি, ক্যাটাগরি-৩-এর আওতায় ১১ থেকে ১৬তম গ্রেডভুক্ত কর্মচারি এবং ক্যাটাগরি-৪-এর আওতায় ১৭ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীরা রয়েছেন।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, সকল প্রকার বেতন-ভাতা
সংক্রান্ত বিল এ সময়সীমার আওতামুক্ত থাকবে।