Story

in story •  7 years ago 

 রিক্সাচালক বাবার বেশ আদরের মেয়ে কুসুম। ৭ বছরের বাচ্চা মেয়েটি বাবার যত্ন নেয়ার চেষ্টা শুরু করে দিয়েছে এর মধ্যেই। বাবাকে খাইয়ে দেয়ার চেষ্টা কিংবা বাবার চুল আচড়ে দেয়ার তার শিশুসুলভ চেষ্টা ওর দরিদ্র বাবাকে ভীষণ আনন্দ দেয়। যখন সারাদিন রিক্সা চালিয়ে রাতে ক্লান্ত শরীরে মেয়ের জন্য কেনা ৫ টাকা দামের চকলেট টা এনে কুসুমের হাতে দেয়, তখন কুসুমের মুখের মায়াবী হাসিটার দাম ওর বাবার কাছে কোটি টাকার চেয়েও বেশী মনে হয়। মেয়েকে আকড়েই ওর বাবা মা দারিদ্রের দু:খ ভুলে যায়। কুসুমই যেন তাদের সুখের ভান্ডার।

সাজিদ আর মুনা দম্পতির একমাত্র কন্যা ক্যামেলিয়া। সাজিদের ধন সম্পদের কোনো কমতি নেই। ওর একমাত্র কমতি হল প্রিয় কন্যার শারীরিক প্রতিবন্ধীতা। চাঁদের মত মিষ্টি মেয়েটি জন্ম থেকেই হাঁটতে পারেনা। অনেক উন্নত চিকিৎসা দেয়া হলেও কোনো লাভ হয়নি। রাতে যখন প্রায়ই ক্লায়েন্টের কাছ থেকে ব্যাগভর্তি টাকা নিয়ে এবং মেয়ের জন্য দামী উপহার নিয়ে সাজিদ ঘরে ফেরে তখন মেয়ের মলিন মুখখানি দেখে ওর বুকের ভেতরটা কেমন জানি মুচড়ে ওঠে। টাকা পয়সা, গাড়ি বাড়ির সুখগুলো সব অর্থহীন মনে হয়।#নোট_: কিছুকিছু সুখ কখনোই অর্থের সাথে সামঞ্জস্য রেখে চলে না। আর যেগুলো অর্থের সাথে সামঞ্জস্য রেখে চলে সেগুলোকে প্রকৃত সুখ না বলে শুধু স্বাচ্ছন্দ্য বলা যেতে পারে। সুখ এমনই এক বস্তু, যে কখনো দালানকোঠা কিংবা বস্তিঘরে তফাৎ করতে জানেনা। যেখানে সে আসার, সেখানে সে ঠিকই আসে। তবুও আমরা বোকা মানুষগুলো সম্পদের বিনিময়ে সুখ খুঁজে বেড়াই। অথচ দেখা যায় সেই সুখ হয়তো কোনো দরিদ্রের সন্তানের মুখের হাসিতেই আশ্রয় নিয়েছে।
সত্যিই সম্পদে সুখ খোঁজা একপ্রকার মানসিক #অসুখ

@banjo

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!