টোনা Vs টুনি Romantic Love Story
লেখক-: Rj JAHID {জাহিদ হাসান>রিপন}
আপনি এখনে কি করছেন
স্যার ; ও আমাদের বাসার কাজের লোক করিম চাচার
ছেলে , তুমি কি জাহিদ কে চেনো নাকি
জাহিদ; {আল্লাহ্ আর বুঝি বাঁচার কোন উপাই নেই আমার
ছাতা চোর এর কি কি শাস্তি হয় কেও কি বলতে পারো}
আরহি : আসলে আব্বু আমি আজ সকালে যখন
জাহিদ; স্যার স্যার আমি বলি---
আরহি : চুপ কোন কথা বলবেন না
{আজ বুঝবে কতো ধানে কতো চাল }
জাহিদ ; করুন চেহেরা নিয়ে আমি আরহি এর
দিকে তাকিয়ে আছি হয়তো একটু পর
আমকে ছাতা চুরির অপরাধে বার করে দিবে
আমি আর ছাতা চুরি করবো না -
এমনি কি বর্ষা আসলে -আরহি উপার ছাতা হয়ে থাকবো --
এই বার এর মতো ক্ষমা করে দিন
মনে মনে বলছি -আর তখন আরহি বললো
আরহি : আরে আব্বু সকালে এই ছেলেটা এক বাচ্ছা কে
রাস্তার উপর থকে নিয়ে ধারে যাই না হলে
গাড়ি আসে মেরে দিতো
{ বালক অবাক হয়েনা আমার কথা শুনে
তোমার মজা আমি আস্তে আস্তে দেখবো }
স্যার; ও এ তো খুব ভালো কাজ --
আর জন্য তুমি এমন করছিলে কেন
জাহিদ ; স্যার আমি ভালো কিছু করলে তা কাওকে বলি না তাই
{নিজের কানে কি শুনলাম আমি এটা-
চোর না বলে আমার আরো ভালো করে দিলো কেন -
খুব ভালো একটা মেয়ে মনে হয় অন্যের ক্ষতি করে না}
আরহি : জাহিদ চলুন আমি আপনাকে আমাদের
অফিস টা একটু দেখিয়ে দেই
বাইরে আমি খুব খুশি তে আছি --
কিন্তু তা আর থাকা হলো না
আরহি : ওই চোর , আমার ছাতা কোথাই-
কি ভাবছিলি আমি আমার আব্বু কে
বলে দিবো সব আর আমার আব্বু
তোকে অফিস থেকে বার করে দিবে
না না তা হবে না -- তুই আমার ছাতা চুরি করেছিস
এর ফল তোকে পেতে হবে -
আমি তিলে তিলে মাতবো তোকে
যা এখন কাজ কর ---দূর হ
--জাহিদ ; চোখে জল চলে আসলো--এই মেয়ে মনে মনে এতো খারাপ
আমি কি ভাবলাম আর কি হয়ে গেলো --
সামনে কি যে অপেক্ষা করছে তা যানি না
-কাজের স্থান এর বসে আছি কিন্তু কাজ করতে মন চাই না
আমি ও কম যাই না সময় আসলে বুঝিয়ে দিবো
চিন্তাই চিন্তাই অফিস ছুটি হলো
বাসার আসার পর মা আসে বলছে অফিস এ
আজ কেমন লাকছে -
ছোট বন বলে , ভাইয়া আজ প্রথম অফিস করলি
মাসের বেতন পেলে আমাকে শাড়ি, চুরি কিনে দিবি
আমি মাথা টা হলকা নাড়িয়ে রুমে চলে আসলাম
মন টা তো ভালো না
খটে শুয়ে আছি -- দরজার বাইয়ে থেকে কে যেন বলে
উঠলো আসতে পারি-
বলেই চলে আসে পাশে বসলো
জাহিদ ; তুই বাড়ি যা -আমার মন ভালো নেই আজ
টুনি--{ টুনি আমার পাশের বাড়ি মেয়ে -মাঝে মাঝে আসে }
টুনি ; আমার সোনা টার মুথ কালো কেন । কি হয়েছে
জাহিদ ; দেখ সোনা সোনা করবি না-
আমার কিন্তু খুব রাগ হয়
আর বাসাই জানলে খুব সমস্যা হবে --যা ভাগ এখন
{ ছোট বেলাই যখন বর বও খেলতাম তখন টুনি আমার
বও হতো --আর এখন ও ওই খেলা মনে রেখে টুনি আমার
বর ভাবে --}
টুনি ; হা চলে যাচ্ছি কিন্তু একটা স্ততে
জাহিদ ; কি , তারাতারি বলে যা
টুনি; আজ বিকালে আমাকে নিয়ে ঘুরতে যেতে হবে --
নতুন চাকরি করছো -বও কে নিয়ে একটু ঘুরবে না
জাহিদ ; আমি এমনি অনেক চাপে আছি -তার মধ্যে তুই
ঝামেলা করিস না --বাড়ি যা বলছি
টুনি ; তুমি নিয়ে যাবে না
জাহিদ ; না না না না
টুনি ; আর একবার বলছি নিয়ে যাবে না
জাহিদ ; না রে না
টুনি ; ঠিক আছে তাহলে আমি আম্মকে কে সব বলে দিবো
জাহিদ ; কি বলবি তুই
টুনি ; বলবো যে তুমি জোর করে আমাকে কিস করছো
আর তা কান্না করতে করতে বলবো
{নিয়ে যাবি না আবার , তুমি নিয়ে যাবে আরো
তোমার আব্বা ও বলবে চলো টুনি ঘুরে আসি ---
আমার নাম টুনি -ছেলেদের আমি কি আর গুনি }
জাহিদ ; ওই ছেরি আমি কখন কিস করলাম তোরে
টুনি ; জানি তো করো নি , ঘুরতে না নিয়ে গেলে আমি মিথ্যা বলবো সবাই কে
জাহিদ ; খোদা আমারে রক্ষা করো
ঘরে টুনি আর অফিসে আরহি
পুরাই শেস আমি
টুনি ; কি সোনা নিয়ে যাবে না মিথ্যা টা বাইয়ে বলে আসবো
জাহিদ ; দিসিছ তো পুরো ফাসিয়ে, এখন তো যাওয়া লাকবেই
বিকলে চলে এই এখন যা ভাগ ...
কাথা শেস না করতেই পাগলি
একটা চুমা দিয়ে পালিয়ে গেলো --
মাঝে মাঝে আমার টুনির এই দুস্তমি খুব ভালো লাগে
মনে চাই ওরেই বও করি -----
ভাইয়া ভাইয়া টুনি আপু আসছে । আমাকে বলে দিলো
তোমাকে তারাতারি বার হতে -- কোথাই যাবে ভাইয়া
জাহিদ ; ও তোর আর শুনতে হবে না তুই যা
আমি আসছি একটু পর
ওই টুনি চল বলতেই মা বললো --সাবধানে যাবি ।
আর টুনি যা বলে তাই শুনবি
ও জানো বাসাই আসে নালিশ না করে --
মা থামো তো হয়েছে
এ কি তোমার বাড়ির বও নাকি যে ওর কথা শুনবো আমি
বও না ঠিক আছে তবে বও হতে তো আর সময় লাগে না
বলে মা হাসতে হাসতে চলে গেলো তার রুমে
টুনি ; মা কি বলেছে শুনছো তো --
বও হতে কিন্তু বেশি সময় লাগে না -হা হা হা
জাহিদ ; তোর ৩২ টা দাঁত আমি এক ঘুশি মেরে
পেটের ভেতরে পুরে দিবো হাসি থামা বলছি
টুনি; আমার তো ৩১ টা দাঁত --৩২ টা কোথাই পাবে --
১ টা তো ছোট বেলা থেকে নেই
হা হা হা হা হা
জাহিদ ; ওরে আমি পাগল হয়ে যাবো রে
টুনি ; পাবনাই কি তোমার জন্য টিকিট কাটবো হা হা
বুঝতে পেরেছি যতো কথা বলবো এই পাগলি আমার মাথা টা
পুরো নষ্ট করে দিবে --- তাই কথা কম , কাজ বেশি
--
বাড়ির বাইরে আসে একটি রিকশা ডাক দিয়ে উঠলাম
পাশে বসে আছে টুনি --
এতো সময় তো খেয়াল করে নি -
আজ টুনি বও আর সাঁজ দিছে
- বেগুনি রং এর শাড়ি পরা -
-কপালে লাল টিপ
-মুখে হালকা মেখাব { এটা তো সব মেয়ের সভাব }
-চুল গুলো বাতাসে উড়ছে --
এক ভাবে আমি তাকিয়ে টুনিকে দেখেই যাচ্ছি
হেবলার মতো তাকিয়ে থাকতে দেখে টুনি বললো
টুনি; ওই কম করে দেখো -- যা ভাব দেখছি তা মনে হয়
মুখ দিয়ে লালা পড়বে এখন
জাহিদ ; পুরাই ও অপস্তুত হয়ে গেলাম ----
না না আমি কিছু দেখছি না --
শুধু ভাবছি আটা ময়দা আর বাড়ি আছে না
সব এক সাথে মুখে দিয়ে আইছো --হা হা হা
টুনির দিকে এখন কে তাকাই ---
যা তাকাবে টুনির রাগের আগুনে জ্বলে যাবে রে
টুনি ; আমি আটা মাখি আর তুমি কি করো --
রাতের আধারে ফ্রেন লাবলি মাখো
-----আমাদের ঝগড়ার কথা শুনে রিকশা চালক ও হা হা হা করে উঠছে
২০ মিনিট পর আমরা ঘুরবো বলে লাবলাম...
সোনা আমার খুব ইচ্ছা তুমি আমার হাত ধরে হাঁটবে --
প্লিজ আমার হাত ধরে হাটো না
জাহিদ ; আর কি কি করা লাকবে রে তোর জন্য আমার নে হাত ধর
{ মনে মনে আমি ও ভাবছিলাম-যদি
আমি টুনির হাত ধরে হাটতে পারতাম -}
টুনি ; বাদাম খাবো
জাহিদ ; ঠং দেখলে আর বাঁচি না --চল কিনে দিচ্ছি
টুনি ; বও রে খাবাবে না তো আর কাকে খাবাবে --
আর কেও আছে নাকি ---
জাহিদ ; না রে তোরে নিয়ে তাই পারি না আর কে ----
বাকি টা বলার আগে আমার
গলা শুখিয়ে আসলো --
সামনে দিয়ে বিপদ আসছে রে
এই বিপদ আর নাম হল আরহি
টুনি; কি হল জোরে হাটছো কেন তুমি
-------মনে মেন বলছি বিপদ বিপদ -পালাতে হবে
বিপদ আসে হাজির -
আরহি : তুমি এখনে কি করছো --
আর পাশের এই পেয়ে টা কে
টুনি ; আমি কে তা পরে বলছি --
তুমি কে তাই বলো
আরহি : ওই তোমাকে কেন বলবো -
Who Are You
টুনি ; ইংলিশ দিয়ে ফট ফট করবি না --
তুই কে ভালো ভাবে বল
আর জাহিদ কে কিভাবে চিনিস --
মাথা গরম করাবি না
জাহিদ; এই ২ মেয়ের ঝগড়া উপভোগ করছি -- আর ঠিক তখন
'''
'''----next part এ বলবো
'''চলবে >>>>>?
আপনার একটি Like + Comment + Share
আমাকে পরের part লিখতে সাহায্য করবে
তাই এটি আশা করবো
{মতামত দিয়ে জানাবেন কেমন হলো}
<ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন>
,,
।।।।।।।।।ধন্যবাদ।।।।।।।