এক দেশে এক রাজা ছিল যার নাম ছিল রাজা রত্নরাজ। রাজার ছিল একমাত্র কন্যা, রাজকুমারী সুনয়না। রাজকুমারী খুবই সুন্দর ও দয়ালু ছিল। একদিন রাজকুমারী রাজ্যের বাইরে একটি বনে বেড়াতে গিয়েছিল। হাঁটতে হাঁটতে সে এক মায়াবী পুকুরের কাছে পৌঁছাল।
পুকুরের কাছে একটি বয়স্ক মহিলা বসে ছিল। রাজকুমারী তার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করল, "মা, আপনি এখানে কী করছেন?"
বয়স্ক মহিলা বলল, "আমি একজন জাদুকরী। এই পুকুরে যে সত্যিকারের হৃদয়ের মানুষ হাত ধুয়ে ফেলে, তার সব ইচ্ছা পূরণ হয়।"
রাজকুমারী তার হাত দুটি পুকুরের জলে ধুয়ে ফেলল এবং মনে মনে বলল, "আমার রাজ্য যেন সুখী এবং সমৃদ্ধ হয়।"
হঠাৎ, রাজকুমারীর সামনে একটি সোনালী আলো জ্বলে উঠল এবং সেই আলো থেকে একটি ছোট্ট পরী বেরিয়ে এল। পরী বলল, "তোমার দয়ালু হৃদয়ের জন্য, আমি তোমার ইচ্ছা পূরণ করব।"
রাজকুমারী অবাক হয়ে বলল, "তুমি সত্যি আমার ইচ্ছা পূরণ করবে?"
পরী হেসে বলল, "হ্যাঁ, কিন্তু তোমাকে একটি কাজ করতে হবে।"
"কাজ? কী কাজ?" রাজকুমারী জিজ্ঞেস করল।
পরী বলল, "তোমাকে তোমার রাজ্যের সব মানুষকে ভালোবাসতে হবে এবং তাদের সেবা করতে হবে।"
রাজকুমারী রাজি হয়ে পরীর নির্দেশ মেনে চলতে শুরু করল। সে রাজ্যের সকল মানুষকে সাহায্য করতে লাগল, তাদের সুখ-দুঃখের ভাগিদার হল। ধীরে ধীরে রাজ্যে সুখ এবং সমৃদ্ধি ফিরে এল। মানুষজন খুশি এবং তৃপ্ত হয়ে রাজকুমারীকে আশীর্বাদ করতে লাগল।
একদিন পরী আবার এসে রাজকুমারীকে বলল, "তুমি তোমার কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করেছ। এখন তোমার রাজ্য চিরকাল সুখী থাকবে।"
রাজকুমারী খুশিতে পরীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলল, "তোমার সাহায্য ছাড়া এটি সম্ভব হত না।"
পরী বলল, "তোমার দয়ালু হৃদয় এবং পরিশ্রমই এই সুখের কারণ।" এরপর পরী আবার সোনালী আলো হয়ে মিলিয়ে গেল।
রাজকুমারী সুনয়না তার পিতার সাথে রাজ্য শাসন করতে লাগল। তাদের রাজ্য চিরকাল সুখী এবং সমৃদ্ধ ছিল। আর রাজকুমারীর দয়ালু হৃদয়ের কাহিনী সবার মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ল, যা এক রূপকথার গল্প হয়ে রইল।