পরিচিতিঃ সুন্দরবন পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যাংরোব বন। বিশ্ব সপ্তাশ্চর্য্যের তালিকায় নাম রয়েছে সুন্দরবনের। সুন্দরবনের আয়তন ১০০০০ বর্গকিলোমিটার। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণে এবং বঙ্গপোসাগরের উপকূলে অবস্থিত।
(source)(https://pixabay.com/images/search/sundarban/)
এই বনে বিভিন্ন প্রকারের পশু-পাখি রয়েছে তার মধ্যে বাঘ এবং চিত্রা হরিন উল্লেখযোগ্য। সুন্দরবনের আঘের বিশ্বব্যাপি পরিচিতি রয়েছে। বাঘ সুন্দরবনকে অনেক বেশি আকর্ষণীয় করে তুলেছে এবং পর্যটকদের আগ্রহের মাত্রা বাড়িয়েছে।
(source)(https://getyourtools.app/BD-Tigerr)
যেভাবে যেতে হবে দুবলারচরেঃ দুবলারচর মোংলা থেকে অনেকটা দূরে হওয়ায় ভ্রমণ করা সহজ না। সম্পূর্ণ পশুর নদী সুন্দরবনের গা ঘেষে রয়েছে তাই কোস্টগার্ড বিভিন্ন স্থানে আটকে দিতে পারে তবে শীতের শুরুতে খুলনা থেকে লঞ্চ পর্যটক নিয়ে দুবলারচরে যায়। আপনি চাইলে তাদের সাথে সামিল হতে পারেন উল্লেখ্য যে, লঞ্চ ভ্রমণ যথেষ্ট ব্য্যবহুল।জনপ্রতি ৮ থেকে ১০০০০ হাজার টাকা। খরচ বেশি হলেও ভ্রমণ হবে বেশ আরামদায়ক। ৩ দিনের ভ্রমণে রয়েছে থাকা খাও্য়ার সুব্যবস্থা।দুবলারচরে গেলে আপনি ব্যাগ বোঝায় করে স্বল্প দামে চিংড়ি আনতে পারবেন।এই চর চিংড়ীর জন্য বিখ্যাত।
(source)(https://getyourtools.app/dublarchar.sundarbon.bd)
২-করমচলঃ এটি মোংলা থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত। মোংলা ঘাট থেকে বোট ভাড়া করে সহজেই ঘুরে আসা সম্ভব। বোট ভাড়া ১৫০০ থেকে ১৮০০ টাকা প্রবেশ মূল্য ১২৫ টাকা। এখানে কিছু হড়িন ও বানর দেখা যায়।
(source)(https://getyourtools.app/karamchal-sundarbon)
হারবাড়িয়াঃ এটি করমচল থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত। সরু একটি নদী দিয়ে যেতে হয় বিধায় সুন্দরবনকে কাছ থেকে উপলব্ধি করা যায়। এখানে যাওয়ার খরচ হবে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা।
কয়েকজন একত্রে ভ্রমণ করলে খরচ একি হবে। কেননা বোট ভাড়া সমান।
(source)(https://getyourtools.app/harbaria-sundarban.BD)
উল্লেখ্য যে, হিন্দুদের রাশ মেলার সময় সুন্দরবন ভ্রমণ করতে পারলে বনের আসল রুপ উপলব্দি করা যায়। সে সময় সুন্দরবনের যাতায়াতে কোস্টগার্ডের নজরদারি কিছুটা শিথীল করে দেও্য়া হয়। প্রতি বছর নভেম্বর মাসের প্রথমদিকে এই মেলা হয়ে থাকে।
(source)(https://getyourtools.app/rush-mela-sundarban)
আবাসিক ব্যবস্থাঃ বিভিন্ন আয়ের মানুষের জন্য বিভিন্ন ধরনের আবাসিক ব্যবস্থা রয়েছে। মোংলা পশুর নদীর ঘাটে “পশুর হোটেল” রয়েছে সেখানে এসি,নন এসি রুম রয়েছে। এসি রুমের ভাড়া ৩০০০ টাকা নন এসি ১৫০০ টাকা। এটি সরকারী হওয়ায় পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে।
(source)(https://www.google.com/search?client=firefox-b-e&q=image+of+pasur+hotel+%2Cmongla)
ভাল মানের অন্য একটি হোটেল রয়েছে যেটি ইপিজেটের ভেতর অবস্থিত এখানে খরচ কিছুটা কম এবং পশুর ঘাট থেকে কিছুটা দূরে অবথিত।
যারা থাকার জন্য কম খরচ করতে চান তাদের জন্যও ব্যবস্থা আছে।
পশুর ঘাটে যাও্য়ার আগে দিগরাজ বাজারে আবাসিক হোটেল আছে যেখানে ৩০০টাকা থেকে ৫০০টাকায় রুম আছে। এখান থেকে পশুর ঘাটের অটো ভাড়া ৪০ টাকা।
ঢাকা থেকে মোংলা পশুর ঘাটে যেভাবে যেতে হবেঃ
এই রুটে যে কয়টি গাড়ি চলাচল করে তার মধ্যে বি এম লাইন,আরমান এবং সুন্দরবন উল্লেখযোগ্য ।এদের মধ্যে বি এম লাইনের সার্ভিস তুলনামূলক ভাল। যাত্রাবারি থেকে ৪.৩০ ঘণ্টা সময় লাগে। ভাড়া ৬৫০টাকা। এই রুটে কোন এসি গাড়ি নেই। সকাল ৭ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত গাড়ি পাও্য়া যায়।এসি ব্যভারকারীদের জন্য ভিন্ন ব্যবস্থা আছে।যাত্রাবাড়ি কিংবা গুলিস্থান থেকে খুলনার গাড়িতে উঠে কাটাখালি নেমে বাউক,প্রাইভেটকার কিংবা লেগুনায় মোংলা পশুর ঘাটে এবং দিগরাজ যেতে পারেবেন এক্ষেত্রে ২৪ ঘণ্টা গাড়ি পাও্য়া যায়।