৪জি সিম রিপ্লেস করতে বাধ্য করছে অপারেটররা -
বিনিয়োগের অর্থ আদায় করতে সিম রিপ্লেস করে ৪জিতে আনতে অপারেটররা গ্রাহকদের বাধ্য করছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ। সোমবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।
বিবৃতিতে সংগঠনটির সভাপতি বলেন, ‘প্রথমে তারা গ্রাহককের ফোন করে বর্তমান সিমটি রিপ্লেস করে ৪জি সিম নিতে বলছে, গ্রাহক নতুন সেবা গ্রহণ করতে অস্বীকার করলে অপারেটররা ২-৩দিন পর গ্রাহকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে। গ্রাহক অসহায় হয়ে সার্ভিস সেন্টারে গিয়ে জানতে চাইলে উত্তর হচ্ছে আপনার বর্তমান সিমটি নষ্ট হয়ে গেছে। নতুন করে সিম তুলতে হবে। এতে করে গ্রাহক বাধ্য হয়েই ৪জি সাপোর্টযুক্ত সিমটি গ্রহণ করতে।’
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের সিম/রিম এর কোন গ্যারান্টি বা ওয়ারেন্টি নেই। ফলে সিম/রিম নষ্টের কারণ ব্যাখ্যা করতে বাধ্য নয় অপারেটররা। বাংলাদেশের ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এ ৪৭ -৫২ ধারা গ্রাহককে পণ্য ক্রয়ে বাধ্য করা আইনত অপরাধ। কিন্তু অপারেটররা মহামান্য হাইকোর্টে একটি রীট পিটিশন দায়ের করার ফলে ভোক্তা অধিদপ্তর এ সক্রান্ত অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে পারছে না।
সংগঠনটির সভাপতি আরও বলেন, ‘এই সকল সমস্যা সামাধান করার কথা টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের। কিন্তু কমিশন দর্শকের ভূমিকা পালন করে থাকে। অনেক গ্রাহকই আমাদেরকে এ সংক্রান্ত অভিযোগ প্রদান করেছেন। আমরা নিয়ন্ত্রণ কমিশন ও সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সবিনয় অনুরোধ করছি।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, চলতি বৎসরের ১৪ ফেব্রুয়ারি সরকার ৪র্থ প্রজন্মের দ্রুত গতির টেলিযোগাযোগ ইন্টারনেট সেবা চালু করে। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী রাজধানী ও এর আশপাশ এবং বিভাগীয় শহরে এ সেবা পাওয়া যাবে প্রাথমিকভাবে, পর্যায়ক্রমে তা দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে সময় লাগবে প্রায় দুই বৎসর। কিন্তু অপারেটররা পরদিনই ঘোষণা করলো সারা দেশেই ৪-জি চালু করা হয়েছে।
আবার অনেকেই নতুন করে স্পেকট্রাম না কিনেও ঘোষণা করে ৪.৫জি চালুর। আমাদের দেশের গ্রাহকরা এখন অনেক সচেতন, তারা বুঝাতে পারে যে, ২জি সেবা যেখানে দুঃষ্কর সেখানে ৪জি পাওয়ার সম্ভবনা খুবই কম। এরপর দেখা যায় ৪জি সিম রিপ্লেস করতে ১১০-১২০ টাকা খরচ করতে হয়। যেখানে ভারতের জিও ফোন অপারেটর বিনামূল্যে হ্যান্ড সেট সরবরাহ করে সেখানে আমাদের সিম রিপ্লস করতেই অর্থ ব্যয় করতে হয়। গ্রাহকদের ৪জিতে আগ্রহ নেই। গত ৪ মাসে দেশে ৪জি সিম রিপ্লেসমেন্টের হার ১ভাগ। tech bangla247