12 May 2024
Sunday
[email protected]
THE DAIRY GAME :
আমার নাম সৌরভ বিশ্বাস ।আমি ভূতের গল্প ভালবাসি ও বিশ্বাস করি ভুতের একটু ভয়ও পাই । রাত তখন ১০টা বাজে ,খাওয়া-দাওয়া সেরে বিছানাকে এসেছি। বিছানাতে শুয়ে মোবাইলে ফেসবুক খুললাম।
ফেসবুকের প্রথম ভিডিওতে দেখলাম, হরিতলা গ্রামে রহস্যময় ভাবে চারজন গলাকাটা লাশ পাওয়া গেছে।
রাতে খবরটা শুনে কেমন বুক ধক, ধক বেড়ে গেল। তারপর মোবাইল বন্ধ করে দিলাম। তারপরঘুমিয়ে পড়লাম।
আমি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখছি আমি হরিতলা গ্রামের সেই গলাকাটা বাড়িতে এখন আসি।
সেখানে আমি দেখতে পেলাম সেই চারটি গলাকাটা মৃতদেহ পড়া রয়েছে।
হঠাৎ মৃতদেহগুলো উঠে দাঁড়িয়ে পরল। দেখি হাড় হিম হয়ে গেল আমার।
তারপর গলাকাটা মৃতদেহ আমার দিকে চারজন চারদিক থেকে আসছে।
তাদের হাতে এক একটা ছুরি ছিল। তারপর তারা ছুরি দিয়ে আমার উপর আঘাত করার জন্য তুলল।
ছুরি দিয়ে আমার উপর আঘাত করতে যাচ্ছে। এমন সময় কেউ বলছে এত বেলা হয়ে গেলে এখন উঠে পর।
তারপর উঠে মাকে দেখলাম বললাম মা তুমি। ও এটা স্বপ্ন ছিল। কিন্তু ভোরের স্বপ্ন মনের মধ্যে আতঙ্ক থেকেই গেল।
মা তোমাকেও অনেক ধন্যবাদ তোমাকে ডাকার জন্য। না হলে আমি এখনি মারা যেতাম সেই চারজন গলাকাটা।
কি বলছিস তুই?
তারপর আমি মাকে সকল ঘটনা খুলে বললাম। তারপর মা বললেন :রাম রাম তখনই দৌড়ে ঠাকুর ঘর থেকে গঙ্গা জল
এনে আমার গায়ে হাত পায়ে ছিটিয়ে দিল। বাবা সাবধানে থাকিস।
তারপর এগারোটার সময় আমি আমার বন্ধু অজয়ের কাছে ভাবলাম যাব। তারপর যাওয়ার জন্য 11 টায় রওনা হলাম।
ওদের বাড়ি যেতে একটা ফাঁকা মাঠ পরে। আমাকে মাঠে যেতে কেমন জেনো সায় দিচ্ছে না । মনের ভেতর কেমন ভয় ভয় লাগছে।
অনিচ্ছার সত্ত্বেও আমার বন্ধুর বাড়ি যাওয়ার জন্য যেতেই হলো। আমি ভাবলাম মাটিতে কি হবে?
তারপর মাঠের মাঝখানে আমি গেলাম মাঝখানে গিলাম। যা দেখলাম তা আমি কল্পনাও করতে পারিনি ।
আমি দেখলাম সেই চারজন গলাকাটা ভূত। দেখে তো আমার হয়ে গেছে। ভয়ে কোন কিছু না ভেবে আমি এক দিকে দৌড় দিলাম।
কিন্তু মাঠের ঢিলে বেদে ড্রাম করে পরলাম। ক্রমে গলাকাটা লাশ গুলো আমার দিকে এগিয়ে আসছে।
আতঙ্কে আমার সারা শরীর কেমন অবাক হয়ে যেতে লাগল। আমার পুরো কাছে চলে আসলো ,হাতে ছুরি নিয়ে।
তারপর তারা ছুরি নিয়ে আমাকে মারতে গেল।
এমন সময় আমার পেছনে কেউ একজন হাত দিল। তখনি আমি পেছনে তাকালাম দেখলাম অজয়।
আমি বললাম ভাই আমার বাঁচা। আমাকে ওরা মেরে ফেলবে। কে, কোই, তুই কার কথা বলছিস।
আমি তাকিয়ে দেখি সেখানে কেউ ছিল না। এখানে গলাকাটা ভুত ছিল, আমি অজয়কে সবকিছু খুলে বললাম।
অজয় বলল এই সব সত্যিই তোর সাথে ঘটেছে।
অজয় আমাকে ওদের বাড়িতে নিয়ে গেল। অজয়ের বাবা ঝাড়-পোছ করে। ওর বাবাকে সব বললাম।
তিনি বললেন আমি এখন ঠাকুরের ধূলি দিয়ে দিচ্ছি। তোমাকে ভালো সাদু বাবার কাছে নিয়ে যেতে হবে l
আমরা তিনজন গাড়িতে করে নিমতলা খুব জাগ্রত কালি মায়ের মন্দিরে যাচ্ছি।
সেখানে গিয়ে দেখলাম ঘড়িতে ২টো ৪৬ বাজে। কালি মন্দিরের মেন যিনি পূজা দেয় তার কাছে গেলাম,
তিনি বললেন আমাদের সাথে সাড়ে ৩ টে দেখা করবেন। সাড়ে ৩টের সময় সব কথা বললাম।
তিনি তুমি মৃতদেহকে চেন, আমি তার মুখ দেখতে পাইনি মুখ ছিল না। আমার এখন মৃতদেহের বাড়িতে যাব।
শুনে শুনে বাড়িতে গিয়ে পৌছালাম। বাড়ির কাছে গিয়ে অবাক হয়ে গেলাম। আমি ঠাকুরমশাইকে বললাম বাড়িটা আমি চিনি।