canva
সকল সদস্যকে জানাই নমস্কার 🙏🏾
গুপ্ত রাজ বংশের কুমার গুপ্ত১ পঞ্চম শতাব্দীতে নালন্দা মহাবিহার স্থাপন করে। কনৌজের রাজা হর্ষবর্ধন (সপ্তম শতাব্দীতে) ও পাল শাসক (অষ্টম- দ্বাদশ শতাব্দী) পৃষ্টপোষকতা করেছিলেন। নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় সারা বিশ্বে বিখ্যাত যেখানে বেদ, যুক্তিবিদ্যা, ব্যাকরণ, চিকিৎসা শাস্ত্র,পদ্য, রচনা, মেটা পদার্থবিজ্ঞান এবং অলংকার শাস্ত্র শেখানো হত। নালন্দায় সকল ছাত্রই মহাযান এবং বৌদ্ধধর্মের আঠারোটি (হীনযান) সম্প্রদায়ের ধর্মগ্রন্থাদি পড়তেন। অসংখ্য ভারতীয় এবং জাভানিজ পৃষ্টপোষক - বৌদ্ধ ও অবৌদ্ধ উভয় দ্বারা সমর্থিত ছিল। প্রায় ৭৫০ বছর ধরে মহায়ানা বৌদ্ধ পন্ডিতরা এখানকার শিক্ষকদের ভূমিকা পালন করে। নালন্দায় শিক্ষার প্রতিটি বিভাগেরই সুযোগ সুবিধা ছিল। সুদূর কোরিয়া, জাপান, চিন, তিব্বত, ইন্দোনেশিয়া, পারস্য এবং তুরস্কের ছাত্র ও পন্ডিতদের আকর্ষীত করেছিল। এই বিহারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ আর্যভট্ট গানিতবিদ, নাগার্জুন শূন্যতা ধারণার সূত্রায়নকারী, অতীশ মহাযান ও বজ্রযান পণ্ডিত, চন্দ্রকীর্তি নাগার্জুনের ছাত্র, ধর্মকীর্তি, নৈয়ায়িক, ধর্মপাল, দিগ্নাগ বৌদ্ধ ন্যায়শাস্ত্রের প্রবর্তক, নারোপা, তিলোপার ছাত্র তথা মারপার শিক্ষক, শীলভদ্র তথা হিউয়েন সাং এর শিখক, হিউয়েন সাং, চীনা বৌদ্ধ তীর্থযাত্রী। আনুমানিক ৬ষ্ঠ শতাব্দী ও ৫ম শতাব্দীতে মহাবীর ও গৌতম বুদ্ধ নালন্দায় এসেছিলো। নালন্দা বিহারে সর্বোচ্চ ১০,০০০ ছাত্র ও ২,০০০ শিক্ষক ছিলেন। ১২০০ শতাব্দীতে মহম্মদ বখতিয়ার খিলজি নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় আক্রমণ করে লুন্ঠন ও ধংস করে। ইউনেস্কো পরবর্তী কালে নালন্দা কে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট স্বীকৃতি দেয়। আর্কিওলজিক্যাল হেরিটেজ সাইট ওফ নালন্দা মহাবিহার নামে পরিচিত হয়। ১৮১১-১২ সালে স্থানীয় মানুষ ও প্রশাসনিক ততপড়তায় নালন্দায় ভগ্নাবশেষ আবিষ্কার হয়। সরকারের উদ্যোগে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া ১৯৬১-৬২ আলেকজান্ডার কানিংহামের সঙ্গে যৌথ ভাবে বিষদ খননকার্য করে ভগ্নাবশেষ উদ্ধার করে। বর্তমান আয়তন ২৪০মি বাই ৪৯০মি ১২ হেক্টর জমিতে সুবিনস্ত ইটের তৈরি ১১ মঠ ও ১২ মন্দির আবিস্কার হয়। বহু প্রত্নতাত্ত্বিক বিষয় উদ্ধার হয় যেমন ভাস্কর্য, মুদ্রা, সিলমোহর ও উৎকীর্ণ লিপিও এগুলো নালন্দা পুরাতত্ত্ব সংগ্রহশালায় রাখা আছে।
নালন্দা মেপ আলেকজান্ডার কানিংহামের
Wikipedia
১৯৫১ সালে নালন্দা মহাবিহারের ধ্বংসাবশেষের কাছে বিহার রাজ্য সরকার প্রাচীন মহাবিহারটির অদলে পালি ও বৌদ্ধধর্ম শিক্ষার কেন্দ্র নব নালন্দা মহাবিহার প্রতিষ্ঠা করে। ২০১৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর রাজগিরে নতুন একটি কেন্দ্রীয় ইউনিভার্সিটি স্থাপন করা হয়। প্রাচীন নালন্দা মহাবিহার পুনরুজ্জীবনের উদ্দেশ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। চীন, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড ও অন্যান্য দেশেও এই বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপনে অর্থসাহায্য করেছে ।
আমার ব্লগ পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ