আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় বন্ধুগণ, এই তীব্র তাপমাত্রা ও গরমে সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক ভালো আছি।আমার শখের প্রিয় মোটরসাইকেল এ ঘুরাঘুরির দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আমি আমার পুরাতন কিছু স্মৃতিচারণ আপনাদের সাথে শেয়ার করব।আমি আমার প্রিয় মোটরসাইকেলটি ২৬/০৩/২০২১ সালে ঝিনাইদহ জেলায় অবস্থিত কোটচাঁদপুর থানার গ্রীন অটো শোরুম থেকে নতুন কিনেছিলাম।
এরপর আমি আমার প্রিয় শখের মোটরসাইকেলটি নিয়ে অনেক জায়গায় ঘুরতে গিয়েছি। ২৩/০৭/২০২১ সালে আমার কয়েকজন প্রিয় বন্ধু বান্ধব ও আমার প্রিয় শখের মোটরসাইকেলটি নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলাম যশোর জেলার অন্তর্গত মনিরামপুর থানার ঝাপা বাওড়ের ভাসমান সেতুতে। এখানে পাশাপাশি দুইটি ভাসমান সেতু আছে।
এটি আমার বাসা থেকে প্রায় ৬০/৬৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।আমরা সকাল ১১টার দিকে বাড়ি থেকে সবাই মিলে একসাথে রওনা দিয়েছিলাম। যশোরে আমাদের একটু কাজ ছিল আমরা কাজ শেষ করে আমাদের এক বন্ধুর শশুর বাড়ি গিয়েছিলাম। সেখানে দুপুরের খাওয়া দাওয়া করে রেস্ট নিয়ে আমরা মনিরামপুর এর উদ্দেশ্যে আবার রওনা দিলাম।
মাঝে মনিরামপুরে রাস্তায় আমরা একটু ব্রেক নিয়েছিলাম। এরপর আবার ভাসমান সেতুর উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আমরা এর আগে কখনো মনিরামপুর এলাকায় যায়নি তাই আমাদের রাস্তাঘাট চিনতে একটু ঝামেলা হয়েছিল কিন্তু আমরা গুগল ম্যাপের সাহায্যে খুব দ্রুত ভাসমান সেতুতে পৌঁছে গিয়েছিলাম। তিনটি মোটরসাইকেলে আমরা মোট ছয় জন ছিলাম। আমরা সবাই টিকিট কেটে মোটরসাইকেল নিয়ে সেতুর উপরে গেলাম।যেহেতু এটা ভাসমান সেতু ছিল তাই এর সৌন্দর্যটা ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল।আমরা যখন সেতুর মাঝামাঝি স্থানে পৌছালাম তখন এত সুন্দর ফুরফুরে বাতাস হচ্ছিল মনে হচ্ছিল এই বাতাসের সাথে আমি উড়ে যায় 😊।এরপর আশেপাশের প্রাকৃতিক পরিবেশের সৌন্দর্য উপভোগ করলাম,সেতুর সৌন্দর্য উপভোগ করলাম,ছবি তুললাম,ঘুরলাম। আমার আরো যে সকল বন্ধু ছিল তাদের সাথে ছবি তুলতে পারি নাই তাই সেই ছবিগুলো এখানে দিতে পারলাম না 😞।
ওইখানে দুইটা সেতু ছিল। একটা সেতুতে ঘুরার পর আমরা আরেকটা সেতুতে গেলাম ওইখানে ঘুরলাম।দুইটা ভাসমান সেতুতে আমরা প্রায় দুই ঘন্টা মত অবস্থান করলাম।দুইটা ভাসমান সেতুর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না এত সুন্দর।
ঘুরাঘুরি শেষ করে পাশে একটি বাজার ছিল আমরা সেখানে নাস্তা করলাম এরপর বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
বাড়ির উদ্দেশ্যে আসার সময় হঠাৎ করে বৃষ্টি শুরু হয়। আমরা ঘুরতে গিয়েছিলাম জুলাই মাসে আর বাংলাদেশে জুন /জুলাই মাসে অনেক বৃষ্টি হয়।আমরা বৃষ্টির জন্য সবাই মিলে একটি জায়গায় দাঁড়ালাম। প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর বৃষ্টি কমলো তারপর আমরা আবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। পথের মধ্যে আবার বৃষ্টি শুরু হল। এমনিতেই অনেক লেট হয়ে গিয়েছিল আর আমাদের যেহেতু অনেক রাস্তা পাড়ি দিতে হবে তাই আমরা আর বৃষ্টি কমার জন্য অপেক্ষা না করে বৃষ্টির মধ্যে ভিজে ভিজেই নিজেদের গন্তব্যের দিকে ছুটটে থাকলাম। এভাবেই ভিজতে ভিজতে আমরা বাড়িতে চলে আসলাম। বাড়িতে আসতে আমাদের প্রায় রাত ৯ টা বেজে গিয়েছিল। এভাবেই আমার প্রিয় বন্ধু বান্ধব ও শখের মোটরসাইকেল নিয়ে মনিরামপুরের ভাসমান সেতুর ঘুরাঘুরির পর্ব শেষ করলাম। আমরা যে বন্ধুগুলো একসাথে ঘুরতে গিয়েছিলাম তাদের মধ্য থেকে দুইজন বন্ধু এখন দেশের বাইরে থাকে। তাদেরকে মাঝে মাঝে অনেক মিস করি😞। সবাই যখন আবার একসাথে হব তখন আবার একই রকমভাবে ঘুরব ইনশাআল্লাহ। আর এই ঘুরার স্মৃতিগুলো আজীবন মনে রাখার মত।