আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় বন্ধুগণ, কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক ভাল আছি। আবার আপনাদের সামনে আরেকটি নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আশা করি সবাই শেষ পর্যন্ত আমার পাশে থাকবেন।গত ব্লগে আমি চাঁদ রাতের দিন ঘুরতে যাওয়া নিয়ে প্রথম পর্ব বলেছিলাম। আজকে দ্বিতীয় এবং শেষ পর্ব আপনাদের সামনে তুলে ধরব।
আমরা বন্ধুবান্ধব মিলে দর্শনার সীমান্তবর্তী এলাকায় গিয়ে সময় স্বল্পতার জন্য ভালোভাবে ঘুরতে পারিনি। তাই আমরা আরেকটি জায়গায় যাওয়ার জন্য প্ল্যানিং করেছিলাম। সেই জায়গায় যাওয়ার জন্য আমরা সবাই মিলে রওনা করলাম। জায়গাটি হল জীবননগর থানার উথলী বাস স্ট্যান্ডে অবস্থিত কুটুমবাড়ি ফুড পার্কে। আমরা প্রথমে যেই জায়গায় গিয়েছিলাম সেইখান থেকে ৮/১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই ফুড পার্কটি। স্বাভাবিকভাবে আমরা অল্প সময়ের মধ্যেই ফুড পার্কটিতে চলে গেলাম। যেহেতু চাঁদ রাতে দিন অর্থাৎ ঈদের আগের দিন রাত্রে তাই স্বাভাবিকভাবেই অনেক লোকজনের ভিড় ছিল। আমরা ফুড পার্কটিতে ঢুকে প্রথমেই আমাদের মোটরসাইকেল গুলো সুন্দরভাবে পার্কিং করলাম। এরপর আমরা সবাই মিলে ফুড পার্কটির মধ্যে ঢুকলাম।
ফুড পার্কটি ছোটখাটো জায়গার মধ্যে অনেক সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে তৈরি করেছে কর্তৃপক্ষ। ফুড পার্কটির মধ্যে আমরা একটু ঘুরলাম, আশেপাশের পরিবেশটা উপভোগ করলাম, কিছু ছবি তুললাম।
ফুড পার্কটিতে বসে খাওয়া দাওয়া করার জন্য ছোট ছোট ঘরের মতো করেছে এবং সেই ঘরের মধ্যে টেবিল বসানো হয়েছে। বসার জায়গা গুলো অনেক সুন্দর যেটা নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না।ছোট ছোট ঘর গুলো বাঁশ এবং কাঠ দিয়ে করেছে যা দেখলে একটা গ্রামীণ পরিবেশের অনুভূতি জাগায়। কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ ফুড পার্কটি লাইটিং করে সাজিয়ে রেখেছে। এই লাইটিং এর জন্য পার্কটির সৌন্দর্য আরও দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছিল। ফুড পার্কটির মধ্যে মনোরম নিরিবিলি এবং গ্রামীন পরিবেশ। ফুড পার্কটির মধ্যে ছোট ছোট অনেক ফুল গাছ ছিল যার মুগ্ধতা যে কাউকে ছুঁতে বাধ্য করবে।
আমরা একটি বড় সাইজের টেবিলে বসলাম এরপর ওয়েটর আসলো।সেখানে অনেক খাবারের মেনু ছিল। আমরা আমাদের পছন্দ মত খাবার অর্ডার করলাম। চাঁদ রাতের দিন ছিল তাই অনেক ভিড় ছিল। খাবার আসতে একটু লেট হবে সেটা আমাদেরকে ওয়েটার আগেই বলেছিল। খাবার আসা পর্যন্ত আমরা সবাই মিলে সময়টা উপভোগ করলাম। এরপর ওয়েটার এসে আমাদের টেবিলে খাবার দিয়ে গেল। খাবারটা অনেক সুস্বাদু এবং মজাদার ছিল। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে খাবারের বিলটা দিলাম।সেই সাথে ওয়েটার কেউ কিছু বকশিশ দিলাম কারণ ওয়েটারের ব্যবহারটা অনেক ভালো ছিল।
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমরা কুটুমবাড়ি ফুড পার্ক থেকে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। বাসায় পৌঁছাতে আমাদের প্রায় রাত ১০টা বেজে গিয়েছিল।আলহামদুলিল্লাহ আমরা সবাই খুবই ভালোভাবে বাসায় পৌঁছেছি। এভাবে বন্ধুবান্ধব মিলে একসাথে ঘুরতে যাওয়া স্মৃতি গুলো সব মনে রাখার মত কিন্তু আজকের ঘুরতে যাওয়ার স্মৃতিটা একটু স্পেশাল। স্পেশাল হওয়ার কারণটা হল চাঁদ রাতের দিন ঘুরতে যাওয়া।
প্রিয় বন্ধুগণ, আজকে এই পর্যন্তই। আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।