ফ্যাশনে বাহারি গাউন-সালোয়ার

in trendy •  6 years ago  (edited)

গাউন যেমন মাটি অবধি হয় ঠিক তেমনি এই পোশাকটির ফ্রিল মাটি অবধি অর্থাৎ পায়ের পাতা অবধি হয়। দেখতে গাউনের মতো দেখায়। তাই এটিকে গাউন- সালোয়ার বলা হয়। গাউন আর সালোওয়ারের এক অপূর্ব মেলবন্ধনে তৈরি হয়েছে এই চমৎকার সুন্দর পোশাকটি। এই ধরনের পোশাকের ফ্রিল পায়ের পাতা অবধি হয়। উপরের অংশ টাইট হয় আর নীচের অংশ অর্থাৎ কোমরের কাছ থেকে ঘাগড়ার মতো ছড়িয়ে থাকে। এই পোশাকটি সাধারণত বেশ ভারী ধরনের হয়ে থাকে। সালোয়ারের ক্ষেত্রে চুড়িদার পা হয়। গাউন-সালোয়ার সাধারণত বেশ জমকালো হয় তাই এটি যেকোনো অনুষ্ঠানে পড়লে খুব ভালো দেখাবে। সাজের ক্ষেত্রে পরিপাটি ভাবে সাজ কখনো সম্পূর্ণ হতে পারেনা তার সাথে মানানসই গয়না ছাড়া। আর এই গাউন-সালোয়ারের সঙ্গে কস্টিউম জুয়েলারি বা মাল্টিকালারের পাথরের গয়না সবচেয়ে ভালো মানায়। গাউন সালোয়ারে যেহেতু অনেক ভারী ডিজাইন করা থাকে তাই খুব ভালো হবে যদি শুধু কানে ভারী পাথরের গয়না পরা যায়। তাহলেই সাজটা সব থেকে বেশি ভালো লাগবে। গলায় খুব সরু একটা চেইন পড়া যেতে পারে। যদি ফুল হাতা হয় গাউন-সালোয়ার তাহলে কোনোকিছু না পড়াই ভালো। যদি ছোট হাতার হয় গাউন-সালোয়ার তবে হাতে একটা ব্যাঙ্গেল পড়লে ভালো লাগবে।
A.jpg
কোথায় পাবেন

অন্যান্য ঋতুর তুলনায় শীত এলেই বেড়ে যায় গাউনের কদর। নন ব্র্যান্ডের পশমি গাউনের দাম দুই হাজার ৫০০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। মখমল ও জর্জেটের গাউনের দাম ৪ থেকে ৯ হাজার টাকা। কটন গাউনের দাম এক হাজার ৫০০ থেকে দুই হাজার ২০০ টাকা। ব্র্যান্ডের শপ বা বুটিকসগুলোতে নানা প্যাটার্নের গাউন পাবেন। মকমল ও জর্জেটের দাম ১৫ থেকে ৩৫ হাজার টাকা, সিনথেটিক গাউন মিলবে পাঁচ হাজার ৪০০ থেকে ১২ হাজার টাকায়। কটিসহ টিস্যুর গাউনের দাম ছয় হাজার টাকা। পরিচিত দর্জি দিয়েও গাউন বানিয়ে নিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে পছন্দের ডিজাইন দর্জিকে বুঝিয়ে দিতে হবে। কাপড়ের বহর অনুযায়ী তিন থেকে পাঁচ গজ কাপড় প্রয়োজন। সঙ্গে ডিজাইন অনুষঙ্গ, যেমন— লেইস, চুমকি, পাথর ও ইয়ক। আবার ফেসবুকের অনলাইন শপগুলো থেকে পছন্দমতো অর্ডার করেও কিনতে পারেন।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!